৩৩ আয়াতের আমল (33 Ayater amol)
৩৩ আয়াত কার আমল ছিলো?
৩৩আয়াত এশিয়া মহাদেশে যিনি সর্বপ্রথম হাদিস শরিফ এর সনদ এনেছেন,যাকে পাক ভারত বাংলার সকল আলিম মান্য করে,যার উপাধি,খাতামুল মুহাক্কিকিন,মুহাদ্দিসে দিল্লি,শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী (رحمة الله عليه) এর আমল।উনাদের ঘরে কেউ পেরেশানি নিয়ে আসলে তাদেরকে এই আমল শিখিয়ে দেয়া হত।এর বরকতে সকল বিপদ দূর হয়ে যেত।
এই ৩৩ আয়াত হচ্ছে নিরাপত্তার ৩৩টি দেয়াল।শত্রুর অনিষ্টতা, বদ-জ্বীনের আসর,বদ নজর,যাদু,শয়তান ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে সকাল সন্ধ্যা পূর্ণ একিনের সাথে এই আমল তিলাওয়াত করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ •রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
৩৩ আয়াত কাকে বলে?(33 ayat kake bole)
কুরআন শরিফ থেকে বাচাই করে এমন কিছু মুবারক আয়াত নেয়া হয়েছে যাতে আল্লাহর উপর পুর্ন ঈমান, আল্লাহর কুদরত ক্ষমতা,আল্লাহ পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সহ আরো খাস খাস বর্ননা এসেছে।আর আল্লাহ এর বানী খুদ জিন শয়তান এদের কাছে আল্লাহর বানীর জালালিয়তের কারনে সকল বিপদ দূর হয়।আর এই আয়াত সব মিলিয়ে ৩৩টি।তাই একে ৩৩বলা হয়।বরকতের জন্য পরবর্তী বুযুর্গানে দ্বীনগন এর সাথে আরো ৩৩টি আয়াত মিলাতেন।এখানে মিলানো সহ মোট ৬৬আয়াত আছে।
আর আশ্চার্যের কথা হলো ৬৬হলো আল্লাহ পাকের নাম আল্লাহ এর আবযাদ মান বা সংখ্যা। তাই এর মধ্যে এতো তাসির।
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
•শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।
•৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।
•আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।
•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
•ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।
•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।
•মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।
•দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।
• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।
• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।
•নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া।
•গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ।
•জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।
•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।
৩৩ আয়াতের ফযিলত বা বরকত:(33 Ayater fojilot borkot)
(ক) জ্বিনের আসর অথবা জাদুবান টোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই ৩৩ আয়াতের তাবিজ লিখে খাওয়ার পানিতে ভিজিয়ে রেখে ১৩ দিন পর্যন্ত পানি পান করালে এবং গোসল করার পর কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে ১৩ দিন পর্যন্ত ৩৩ আয়াত ভিজানো পানি হতে কিছু পানি মাথায় ও সর্বাঙ্গে (কোমরের উপর পর্যন্ত) ঢেলে দিলে আল্লাহ তায়ালার রহমতে উল্লেখিত বিষয়ে আক্রান্ত লোক ভালো হবে। ইনশাআল্লাহ। একটি তাবিজে ভালো না হলে উক্ত নিয়মে ২, ৩, ৪, ৫, ৬ অথবা ৭টি তাবিজ ব্যবহার করতে হবে।
(খ) যে ব্যক্তি এই ৩৩ আয়াত ভক্তির সাথে পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার সকল নেক মকসুদ পূর্ণ করে দিবেন এবং সে নিরাপদে কালযাপন করবে। সে সব সময় আল্লাহ তায়ালার রহমতের মধ্যে থাকতে পারবে।
(গ) আল কাওলুল জামিল কিতাবে আল্লামা শাহ অলি উল্যাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله عليه) লিখেছেন- “এই ৩৩ আয়াত যাদু টোনার আছরকে ধ্বংস করে দেয়। জ্বিন, চোর ডাকাত আর হিংস্র জন্তুর আক্রমন ও অনিষ্ট হতে হেফাজত করে।”
(ঘ) পরিপূর্ণ বিশ্বাস এর সাথে এই আয়াত সমূহ পাঠ করলে জাদু টোনার আসর থাকবে না এমনকি এগুলোর মাধ্যমে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।
(ঙ) সকাল সন্ধ্যায় এই আয়াত সমূহ পাঠ করলে, সকল প্রকার বিপদ আপদ, পেরেশানি, যে কোন ভয়, শয়তান, খারাপ জ্বিনের অনিষ্ট, বান টোনা জাদুর আসর এবং মানুষের পক্ষ থেকে অনিষ্ট, রাতের সকল বিপদ থেকে হিফাযতে থাকবে৷ ان شاء الله
আরো পড়ুনঃ •আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
(চ) এই আয়াত সমূহ লিখে সাথে রাখলে সকল বিপদ থেকে নিরাপদে থাকবে। জ্বিন, জাদু, শয়তান, চোর ডাকাত, দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদে থাকবে। মানুষে সম্মান করবে এবং তার কথা সবাই মান্য করবে।
(ছ) অনেক মাশায়েখে কিরাম এই আয়াত সমূহকে সকল প্রকার বিপদাপদ থেকে রক্ষাকবচও বলেছেন।
(জ) এই আয়াত সমূহ পাঠ করলে সকল কাজে সফলতা পাবে। শত্রুর ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকবে। তার শত্রু ধ্বংস হবে। মুসিবতে, বিপদে জড়িয়ে পড়লে ৭ দিন নিয়মিত পড়লে মুক্তি পাবে। কাজের শুরুতে পড়লে সেই কাজের সফল হবেই। কঠিন হৃদয়ের মানুষ বা বিচারকের সামনে যাওয়ার আগে পড়ে গেলে তার প্রতি দয়া করবে এবং মিথ্যা মামলার সময় পাঠ করলে মামলার রায় অনুকূলে আসবে। যে কোন রোগে এই আয়াত সমূহ পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে খেলে বা যে কোন সুতায় পড়ে ফুক দিয়ে বা রুগী নিজে পড়লে বা রুগীর পাশে বসে পড়লে সুস্থতা লাভ করবে। ان شاء الله
(ঝ) এই আয়াত সকাল সন্ধ্যায় বা যেকোনো বিপদে পড়তে হয়। শুরুতে এবং শেষে ১ বার দূরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ •পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দোয়া বাংলায়।
•আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।
৩৩ আয়াত আমলের নিয়মঃ
আগে ১বার দুরুদ শরিফ পড়ে
• বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
এরপর নিছের আয়াত গুলো পড়তে হবে।
•সুরা বাকারা: ১-৫ আয়াত।
•সুরা বাকারা- আয়াতুল কুরসি সহ পরের দুই আয়াত খালিদুন পর্যন্ত। সুরা বারাকা আয়াত নং:২৫৫-২৫৭ আয়াত পর্যন্ত।
•সুরা বাকারা:শেষ ৩ আয়াত- ২৮৪-২৮৬ আয়াত পর্যন্ত।
•সুরা আ’রাফ:৫৪-৫৬ আয়াত পর্যন্ত।
•সুরা বনি ইসরাইল: ১১০-১১১ আয়াত পর্যন্ত।
•সুরা আস সাফ্ফাত: ১-১১ আয়াত পর্যন্ত।
•সুরা আর রহমান-৩৩-৩৫ আয়াত পর্যন্ত।
•সুরা হাশর:শেষ চার আয়াত ২১-২৪ আয়াত পর্যন্ত।
•সূরা জ্বীন: প্রথম ৫ আয়াত, ১-৫ আয়াত পর্যন্ত।
• ৩৩ আয়াত এর আমল শেষ করতে হবে ৪টি সূরা দিয়ে, সূরা কাফিরুন,সূরা ইখলাস,সূরা ফালাক ও সূরা নাস।এরপর দুই হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মুছেহ করতে হবে।
•সকল ৩৩ আয়াত একসাথে বাংলা ফযিলত সহ পিডিএফ পেতে চাইলে শেয়ার করে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
জনপ্রিয় পোস্ট আরো পড়ুনঃ
দুরুদ শরিফের ফযিলত, বরকত এবং আমল।
•দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত।
•সায়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম।
•স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।
•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ।
•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি।
৩৩ আয়াতের ব্যাপারে মানুষ জানতে চায়:
৩৩ আয়াত
33 ayat fojilot
33 ayat bangla
৩৩ আয়াত আরবি pdf
৩৩ আয়াত পড়ার নিয়ম
৩৩ আয়াত বাংলা উচ্চারণ
৩৩ আয়াত লিস্ট
৩৩ আয়াত ডাউনলোড
৩৩ আয়াত অডিও ডাউনলোড
৩৩ আয়াত আরবি
৩৩ আয়াত pdf
৩৩ আয়াত pdf download
৩৩ আয়াত এর ফজিলত
৩৩ আয়াত মনজিল
৩৩ আয়াত বাংলা উচ্চারণ সহ
৩৩ আয়াত বাংলা
৩৩ আয়াত কি কি
৩৩ আয়াত কাকে বলে?
কুরআন শরিফ এর বিভিন্ন সূরা থেকে বাচাই করে এমন কিছু মুবারক আয়াত নেয়া হয়েছে, যাতে আল্লাহর উপর পুর্ন ঈমান, আল্লাহর কুদরতের ক্ষমতা, আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সহ আরো খাস খাস বিশেষ বর্ননা এসেছে।আর আল্লাহ এর বানী খোদ জিন শয়তান এদের কাছে আল্লাহর বানীর জালালিয়তের কারনে সকল বিপদ দূর হয়। আর এই আয়াত সব বাচাই করা আয়াত মিলিয়ে ৩৩টি আয়াত হয়। তাই একে ৩৩ আয়াত বলা হয়।
৩৩ আয়াতের আয়াত গুলো কি কি?
বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। এরপর নিছের আয়াত গুলো পড়তে হবে। •সুরা বাকারা: ১-৫ আয়াত। •সুরা বাকারা- আয়াতুল কুরসি সহ পরের দুই আয়াত খালিদুন পর্যন্ত। সুরা বারাকা আয়াত নং:২৫৫-২৫৭ আয়াত পর্যন্ত। •সুরা বাকারা:শেষ ৩ আয়াত- ২৮৪-২৮৬ আয়াত পর্যন্ত। •সুরা আ’রাফ:৫৪-৫৬ আয়াত পর্যন্ত। •সুরা বনি ইসরাইল: ১১০-১১১ আয়াত পর্যন্ত। •সুরা আস সাফ্ফাত: ১-১১ আয়াত পর্যন্ত। •সুরা আর রহমান-৩৩-৩৫ আয়াত পর্যন্ত। •সুরা হাশর:শেষ চার আয়াত ২১-২৪ আয়াত পর্যন্ত। •সূরা জ্বীন: প্রথম ৫ আয়াত, ১-৫ আয়াত পর্যন্ত। • ৩৩ আয়াত এর আমল শেষ করতে হবে ৪টি সূরা দিয়ে, সূরা কাফিরুন,সূরা ইখলাস,সূরা ফালাক ও সূরা নাস।
৩৩ আয়াতের ফজিলত কি?
আল কাওলুল জামিল কিতাবে আল্লামা শাহ অলি উল্যাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله عليه) লিখেছেন- “এই ৩৩ আয়াত যাদু টোনার আছরকে ধ্বংস করে দেয়। জ্বিন, চোর ডাকাত আর হিংস্র জন্তুর আক্রমন ও অনিষ্ট হতে হেফাজত করে।”
1 মন্তব্যসমূহ