আইয়ামে বীজ অর্থ কি? আইয়ামে বীজের রোযা কয়টি? আইয়ামে বীজের রোযা কখন রাখতে হয়।

  


আইয়ামে বীজের রোজার ফযিলত ও নিয়ম

প্রত্যেক চাঁদের আরবী মাসে কমপক্ষে তিনটি রোযা প্রত্যেক মুসলমান ভাই ও  বোনের রাখা উচিত। এর অগণিত ইহকালীন ও পরকালীন উপকারীতা ও ফযীলত রয়েছে। উত্তম হলো; এই রোযাগুলো ‘আইয়্যামে বীয’ অর্থাৎ প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখা ।


আইয়ামে বীযের রোযার ৯টি ফযিলতঃ

(১) উম্মুল মু'মিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা হাফসা(رضي الله عنها) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم) চারটা জিনিস কখনোই ছাড়তেন না: (১) আশুরার রোজা। (২) যিলহজ্জ্ব মাসের প্রথম দশদিন দিনের রোজা। (৩) প্রতি মাসে তিনদিনের আয়্যামে বিজের  রোজা এবং (৪) ফযরের ফরয নামাযের পূর্বে দু'রাকাত সুন্নাত নামায” । (সুনানে নাসায়ী, ৪র্থ খন্ড, ২২০ পৃষ্ঠা)

(২) হযরত সায়্যিদুনা ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (صلى الله عليه و سلم)  ‘আইয়ামে বীয’-এর রোযা সফর অবস্থায় হোক বা সফর ছাড়া হোক তা বাদ দিতেন না । ”

(সুনানে নাসায়ী শরীফ, ৪র্থ খন্ড, ১৯৮ পৃষ্ঠা)

(৩) উম্মুল মু'মিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা (رضي الله عنها)বর্ণনা করেন: রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم) এক মাসের মধ্যে শনি, রবি, সোমবার অন্য

মাসের মধ্যে মঙ্গল বুধ ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।” অর্থাৎ আয়্যামে বিজের রোজা রাখতেন।

(তিরমিযী, ২য় খন্ড, ১৮৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৭৪৬)

আইয়ামে বিজের রোজার হাদিস

(৪) হযরত সায়্যিদুনা ওসমান বিন আবু আস(رضي الله عنه) বলেন: আমি খাতামুল মুরসালীন, রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم) কে ইরশাদ করতে শুনেছি: “যেমনিভাবে তোমাদের মধ্যে কারো নিকট যুদ্ধে শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ঢাল থাকে, তেমনিভাবে জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য রোযা হচ্ছে তোমাদের জন্য ঢাল স্বরূপ। আর প্রতি মাসে ৩দিন রোযা রাখা সর্বোত্তম রোযা।” (সহিহ ইবনে খুযাইমা, ৩য় খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২১২৫)

(৫) রাসুল(صلى الله عليه و سلم)এর “প্রতি মাসে তিন দিনের রোযা এমন, যেমন- সারা বছরের সার্বক্ষণিক রোযা।” (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ৬৪৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৯৭৫)

(৬) “রমযানের রোযা এবং প্রতি মাসে তিন দিনের রোযা বুকের সমস্যা দূর করে দেয় ।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ, ৯ম খন্ড, ৩৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৩১৩২)

(৭) “যার দ্বারা সম্ভব হয় প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করবে। কারণ, প্রতিটি রোযা দশটি গুনাহ নিশ্চিহ্ন করে দেয়। আর গুনাহ থেকে তেমনভাবে পবিত্র করে দেয়, যেমন পানি কাপড়কে পবিত্র করে।”

(তাবারানী ফিল মু'জামিল কবীর, ২৫তম খন্ড, ৩৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬০) (৮) “যখন মাসে তিনটি রোযা রাখবে, তখন ১৩, ১৪ ১৫ তারিখে রাখবে।”

(সুনানে নাসায়ী শরীফ, ৪র্থ খন্ড, ২২১ পৃষ্ঠা)

(৯) বর্নিত আছে, আইয়্যামে বিজের রোজা নিয়মিত থাকলে সারা বছর রোজার সাওয়াব পাওয়া যায়। 

(তথ্যসূত্র: আমলে নাযায়।পৃষ্ঠা নং- ১৪৭;)

আইয়ামে বিজ কাকে বলে বা আইয়্যামে বিজ কি?

 ‘আইয়াম’ আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো-দিবসসমূহ, কাল, সময় ইত্যাদি। এটি বহুবচন, এর একবচন হলো ‘ইয়াওম’, অর্থ হলো দিন।

‘বিজ’ বা ‘বিদ’ অর্থ শ্বেতবরণ, শুভ্রবর্ণ, ঔজ্জ্বল্য, সফেদ, সাদা রং ইত্যাদি। যার পারিভাষিক অর্থ দাঁড়ায় উজ্জ্বল দিনের রোযা।চন্দ্রমাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ  এই দিনগুলোতে চাঁদপূর্ণ চাঁদে পরিণত হয়,অর্থাৎ রাতভর পূর্ণিমার জোস্নার আলো ছড়াতে থাকে বলে এই নামকরণ করা হয়েছে আয়্যামে বিজ।

 আইয়ামে বিজের রোযা আদম (عليه السلام) থেকে শুরু:

এই রোজাকে সওমে আদম বা আদম  (عليه السلام) এর রোজা বলা হয়। হজরত আদম (عليه السلام)ও মা হাওয়া  (عليه السلام) দুনিয়ায় আসার পর প্রথম এই তিনটি রোজা পালন করেন; যার বদৌলতে তারা আগের মতো জান্নাতি রূপ–লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য,সৌন্দর্য  ফিরে পান।

আইয়ামে বিজের রোজা কয়টি:

আইয়্যামে বিজের রোজা ৩টি।প্রতি আরবী মাসের চাঁদের ১৩,১৪,১৫তারিখ হলো আইয়্যযামে বিজের রোজা।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার পদ্ধতিঃ

আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতি মাসে এই তিনটি রোজা রাখলে সারা মাস রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ যেহেতু আইয়ামে তাশরীক এর অন্তর্ভুক্ত সেহেতু ওই দিন রোজা‌ রাখা জায়েজ নেই।

সে কারণে জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ দিন রোজা রাখা যাবে। তাহলেও সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যাবে। 

এবং রমযান মাস যেহেতু গোটা মাসই রোজা তাই রমজান মাসে আইয়্যামে বিজের রোজা নেই।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।

খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।

মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।

দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।

• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।

• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।

নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া

গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ। 

জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।

•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।

মানুষ আরো জানতে চায়:

আইয়ামে বীজের

আইয়ামে বীজের রোজা

আইয়ামে বীজের রোজার ফজিলত

আইয়ামে বীজের রোজা কাকে বলে

আইয়ামে বীজের রোজা কত তারিখ

আইয়ামে বীজের রোজা হাদিস

আইয়ামে বীজের রোজার নিয়ত

আইয়ামে বীজের রােজা আগস্ট ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা নভেম্বর

আইয়ামে বীজের রােজা ডিসেম্বর ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজার নভেম্বর 2024

আইয়ামে বীজের রোজা ইতিহাস

আইয়ামে বীজের রোজা সেপ্টেম্বর ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা জানুয়ারী ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা মার্চ ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা এপ্রিল ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা মে ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা জুন ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা জুলাই ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা অগস্ট ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা সেপ্টেম্বর ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা অক্টোবর ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা নভেম্বর ২০২৪

আইয়ামে বীজের রোজা ডিসেম্বর ২০২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ