আয়াতে মুনজিয়াতের ফযিলত ও বরকতঃ
আয়াতে মুনজিয়াত হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭ আয়াত।
হযরত কা'বুল আহবার(رحمة الله عليه)বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন এই আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের ৭টি আয়াত পাঠ করবে, সে আসমান যমিনের সকল বিপদাপদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। এবং মৃত্যু ব্যতীত অন্য কোনো বিপদ তার জন্য আসবেনা।
ইবনে শিরীন (رحمة الله عليه) বলেন,আমার কাছে প্রমানিত যে, বিপদ দূর করার জন্য,বরং বিপদ না আসার জন্যই, দুশ্চিন্তা দূর করা, বিভিন্ন সমস্যা ও অসুবিধা দূর করার জন্য এই ৭টি আয়াত পরশ পাথর তুল্য।
আয়াতে মুনজিয়াত এর মহাত্ব বা বরকত কেনো?
এই ৭টি আয়াত আল কোরআনের ৬টি সূরা থেকে নেয়া হয়েছে, যেগুলো নবীদের জীবনের বিভিন্ন বিপদাপদে মঙ্গল-অমঙ্গলের জন্য আল্লাহর উপর নির্ভর করার কথা বর্ননা করা হয়েছে।তাই এই আয়াতে মুনজিয়াত বা হেফাজতের ৭টি আয়াতের এমন ফযিলত বরকত।
আয়াতে মুনজিয়াত কি?
আয়াতে মুনযিয়াত আল কোরআনুল কারীমের ৭টি ফযিলত পূর্ন আয়াত।যা আল কুরআন এর ৬টি আলাদা সূরা থেকে একত্রিত করা হয়েছে।আয়াতে মুনজিয়াত অর্থঃ নাজাত বা মুক্তির আয়াত, নিরাপত্তার আয়াত, নেক আয়াত।
আয়াতে মুনজিয়াতের বাংলা উচ্চারণঃ
১. কোল্ লাইইউসীবানা ইল্লা মা কাতাবাল্লাহু লানা হুয়া মাওলানা ওয়া আলাল্লাহি ফাল্ইয়াতাওয়াক্কালিল মো'মিনুন। (সূরা তাওবা, আয়াত ৫১ )
২. ওয়া ই-ইয়ামসাসকাল্লাহু বিদুরিন ফালা কাশিফা লাহু ইল্লা হুয়া, ওয়া ই-ইউরিদকা বিখাইরিন ফালা র-দ্দা লেফালিহী ইউসীবু বিহী মাইয়াশা-য়ু মিন এবাদিহী, ওয়া হুয়াল গাফুরুর রাহীম। (সূরা ইউনুস, আয়াত ১০৭ )
৩. ওয়ামা মিন্ দাব্বাতিন্ ফিল্ আরদি ইল্লা আলাল্লাহি রিযক্বুহা ওয়া ইয়া'লামু মুসতাক্বারাহা ওয়া মুসতাওদাআ'হা; কুল্লুন ফী কিতাবিম্ মুবীন । (সূরা হুদ, আয়াত ৬ )
৪. ইন্নী তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি রাব্বী ওয়া রাবৃবিকুম, মা মিন্ দা-বাতিন ইল্লা হুয়া আখিযুম বিনা- সিয়াতিহা ইন্না রাব্বী আলা সিরাতিম মুসতাকীম। (সূরা হুদ, আয়াত ৫৬ )
৫. ওয়া কাআইয়্যিম মিন্ দা- বাতিল লা তাহমিলু রিক্বাহা ; আল্লাহু ইয়ারযুকুহা ওয়া ইয়্যাকুম ওয়া হুয়াস্ সামিউল আলীম। (সূরা আনকাবুত, আয়াত ৬০ )
৬. মা ইয়াফ্তাহিল্লাহু লিন্নাসি মিররাহমাতিন ফালা মুসিকা লাহা, ওয়া মা ইয়উম্সিক্ ফালা মুরসিলা লাহু মিম্ বা'দিহী ওয়া হুয়াল আযীযুল হাকীম। (সূরা ফাতের, আয়াত ২ )
৭। ওয়া লাইন্ সায়ালতাহুম মান্ খালাচ্ছ্বাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা লাইয়াকুলুন্নাল্লাহু ক্বুল আফারায়াইতুম মা তাদ্দাউনা মিন দূনিল্লাহি ইন্ আরাদানিয়াল্লাহু বি দুরিন হাল হুন্না কাশিফাতু দুররিহী আও আরাদানী বিরাহমাতিহি হাল হুন্না মুমসেকাতু রাহমাতিহী; ক্বুল হাসবি আল্লাহু : আলাইহে ইয়াতাওয়াকালুল মুতাওয়াককিলুন। (সূরা যুমার আয়াত-৩৮ )
আয়াতে মুনজিয়াতের বাংলা অর্থঃ
১) তুমি বলো, আল্লাহ আমাদের জন্য যা লিখেছেন, তা ব্যতিত আমাদেরকে কোনো বিপদ স্পর্শ করতে পারবেনা।তিনি আমাদের মালিক।আর মু'মিনদেরকে তাঁর প্রতি ভরসা করা উচিত।
২)যদি আল্লাহ তোমাকে অমঙ্গল দ্বারা আক্রমণ করেন, তবে তিনি ব্যতীত কেউ তা থেকে মুক্তি দিতে পারবেনা।আর তিনি যদি তোমার মঙ্গল করার করেন,তবে তিনি ব্যতীত কেউ তা রোধ করতে পারবেনা।তিনি ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু।
৩) পৃথিবীতে এমন কোনো প্রানী নেই যার জীবিকার দ্বায়িত্ব আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো আয়ত্বে আছে।এবং তিনি তোমাদের স্থায়ী অস্থায়ী অবস্থান ও বাসস্থান সম্পর্কে জানেন।আর সু-স্পষ্ট কোরআনে সকল কিছুই রয়েছে।
৪)নিশ্চই আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর নির্ভর করি।নিশ্চয়ই সকল প্রানীর ভাগ্য নির্ধারণ করা রয়েছে।এটি ব্যতীত কোন প্রানী নেই।নিশ্চয় আমার প্রতিপালক সরল সঠিক পথে রয়েছেন।
৫)নিশ্চয়ই এমন অনেক জীব-জন্তু রয়েছে যারা নিজেরা নিজেদের জীবিকা বহন করেনা,নিশ্চয়ই তিনি তাদেরকে এবং তোমাদেরকে জীবিকা দিয়ে থাকেন।এবং তিনি শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী।
৬)নিশ্চয়ই তাঁর অনুগ্রহ হতে যা কিছু দেন, তা কেউ-ই বন্ধ করতে পারেনা এবং তিনি যা বন্ধ করেন কেউই তা খুলতে পারেনা। নিশ্চয়ই তিনি মহা পরাক্রমশানী ও বিজ্ঞানময়।
৭)এবং তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাস করো, কে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন?অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ।তুমি বলো, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাকে ডেকে থাকো,তোমরা ভাবচো কি? যদি আল্লাহ আমাকে দুঃক্ষ-কষ্ট দিতে ইচ্ছা করেন, তবে তারা কি সেই দুঃক্ষ দূর করতে পারবে?অথবা তিনি যদি অনুগ্রহ দিতে ইচ্ছে করেন, তাহলে তারা কি তা রোধ করতে পারবে?তুমি বলো,আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। নির্ভরশীলগন তাঁর উপর নির্ভর করে থাকেন।
আয়াতে মুনজিয়াত পড়ার নিয়মঃ
আগে পরে একবার দরূদ শরিফ পড়ে এই আয়াত ৭টি(সাত) একবার তিলাওয়াত করুন সকাল সন্ধ্যা এই আমল করা যায়।এবং বিপদের স্থানে রাতে ভয়ের অবস্থায় এটি পড়া যায়।এতে জ্বিন,শয়তান,শত্রুসহ সকল প্রকার বিপদ ও ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
বিপদ দূর হওয়ার দোয়া কি?
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ বাংলা উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। প্রতিদিন ১০০বার থেকে ৩০০বার পড়ুন, সকল বিপদ দূর হবে, রাজিক বরকত হবে, সকল রকম সমস্যার সমাধান হবে।
বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া কি?
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الْعَظِيمَ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ বাংলা উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল আউযিমা ওয়া আতুবু ইলাইহি। ( আল মুনাব্বাহাত, পৃষ্ঠা -৫৭; ) প্রতিদিন এই দোয়া ইস্তেগফার টি ৭০০বার পড়ুন সকল বিপদ পানির মত কেটে যাবে।
দোয়া- আমল
•রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
•শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।
•৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।
•আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।
•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
•ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।
•গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল।
•নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল।
•গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।
মানুষ আরো জানতে চায়:
দরুদ শরীফ
দরূদ শরিফ এর ফজিলত
দরূদ শরীফের আমল
দরূদ শরীফের বরকত।
দরূদ শরিফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
দরূদে নারিয়া
দরূদে তাজ
দরূদে তুনাজ্জিনা
দরূদে শিফা
দরূদে শিফা
দরূদে মাহি
দরূদে মুকাদ্দাস
দরূদে যিয়ারত
দরুদ শরীফ
দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ সহ
দরুদ শরীফের ফজিলত
দরুদ অর্থ কি
দরুদ ইব্রাহিম
দরুদ পাঠের ফজিলত
সকল দরুদ শরিফ একসাথে
দরুদ শরীফের ফজিলত pdf
দরুদ বাংলা উচ্চারণ
0 মন্তব্যসমূহ