রিজিক বাড়ানোর দোয়া ও আমল
হালাল রিজিকের তালাশ করা ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিয়ামতের শহীদের মর্যাদা পাবে।যারা হালাল রিজিকের জন্য চেস্টা করে তাদের গুনাহ গাছের পাতা শীত কালে যেভাবে ঝরে সেভাবে তাদের গুনাহ ঝরে যায়।এই আমল গুলো যে নিয়মিত করবে আল্লাহ পাক যদি চাই তাহলে দ্রুত সে ধনী হবে,রিজিকে ব্বরকত হবে,তার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে। আসুন আজ রিজিক বৃদ্ধির আমল শিখে নিন।
(১) যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের দিকে মুখ করে بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ৩০০বার ও দরূদ শরীফ ৩০০বার পড়বে, তাহলে আল্লাহ্ তাআলা তাকে এমন স্থান থেকে রিযিক দান করবেন যা সে ধারণাও করতে পারবে না। আর (প্রতিদিন পড়ার দ্বারা) ان شاء الله এক বছরের মধ্যে সে ধনী হয়ে যাবে । (শামসুল মায়ারিফ-অনুদিত, ৩৭ পৃষ্ঠা)
(২) যে ব্যক্তি কাগজে আগে পরে একবার করে দরূদ শরীফ সহ ৩৫বার ِبِسْمِ اللّٰه الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ লিখে ঘরে ঝুলিয়ে রাখবে, তাহলে সে ঘরে শয়তানের যাতায়াত হবে না এবং সে ঘরে খুবই বরকত হবে। আর যদি দোকানে ঝুলিয়ে দেন তাহলে ان شاء الله ব্যবসাতে খুব উন্নতি হবে । (প্রাগুক্ত, ৩৮ পৃষ্ঠা)
আয় রোজগারে বরকতের দোয়াঃ
(৩) যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০০ বার (يَا رَحِيْمُ) ইয়া রহিমু যে কোনো এক সময় বা যে কোনো এক নামাযের পর বসে পাঠ করবে ان شاء الله সে ধন-সম্পদ লাভ করবে এবং সকাল মানুষ তাকে সম্মান করবে।
অভাব মুক্তির দোয়া
(৪) গরীব ও সহায়-সম্বলহীন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ৯০বার (يَا مَلِكُ) 'ইয়া মালিকু' পাঠ করবে ان شاء الله সে দ্রুত অভাব থেকে মুক্তি পাবে ।
(৫) যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত , একনিষ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়বে, সে সব সময় রিজিকের অভাব থেকে মুক্ত থাকবে।
اَللّٰهُ لَطِيْفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ
উচ্চারণ: আল্লাহু লাতীফুম্ বি-ইবাদিহি ইয়ারজুকু মাইয়্যাশায়ু, ওয়া হুয়াল কাভিয়্যুল আজিজ।
অর্থ: আল্লাহ তায়ালা নিজের বান্দাদের প্রতি দয়াবান। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। (সূরা: শুরা, আয়াত: ১৯)
ধনী হওয়ার দোয়া ও আমল
(৬) যে ব্যক্তি ফজরের সুন্নাত ও ফরজ নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ৪১ দিন পর্যন্ত ৫৫০বার (يَا رَزَّا قُ) ইয়া রাজ্জাকু পাঠ করবে । ان شاء الله সে সম্পদশালী হয়ে যাবে।তার রিজিক বৃদ্ধি হবে।
(৭) যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০বার অথবা ৫০০বার (يَا مَلِكَ الْمُلْكِ) ইয়া মালিকাল মুলকি পাঠ করবে, সে আল্লাহ পাকের রহমতে সব সময় ভালো থাকবে।
(৮)প্রতিদিন মাগরিবের পরে বা রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে, সকল রকমের রিজিকের অভাব দূর হবে। আয় রোজগারে অপুরন্ত বরকত হবে। সুরা ওয়াকিয়া এবং সুরা মুজাম্মিল নিয়মিত তিলাওয়াত করলে সকল পেরেশানি রিজিকের পেরেশানি দূর হয়।
(৯) রিজিক বৃদ্ধির দোয়া আমল বাংলা
আগে পরে ১১বার দুরুদ শরিফ, এবং ইয়া মুগনিউ ১১১১(এগারশত এগারো)বার এবং সুরা মুজাম্মিল ১বার পাঠ করলে সে খুবই দ্রুত রিজিকের সকল অভাব থেকে মুক্তি পাবে।সকল অভাব দূর হয়ে যায়।রিজিকে খুবই বরকত হবে যা সে কল্পনা ও করতে পারবেনা।
রিজিক বাড়ানোর সহজ দোয়া
(১০) সবচেয়ে সহজ খাস 'রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল'
একব্যক্তি রাসুলে পাক(صلى الله عليه و سلم) এ কাছে আসলো এবং নিজের অভাবের কথা বলল, তখন হুজুরে পাক তাকে এই দুয়া শিখালেন, যেই দোয়া ফিরিস্তাদের দোয়া।সে এই দোয়া পড়ার এক বছরের মধ্যে তার এমন সম্পদ হলো তার সম্পদের হিসাব রাখাও ঐ ব্যক্তির জন্য কষ্টকর হয়ে গেলো।
سبحان الله و بحمده ، سبحان الله العظيم و بمحمد ، استغفرالله
(সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি,সুবহানাল্লাহিল আযিমি ওয়াবি হামদিহি,আস্তাগফিরুল্লাহ)
এই দোয়াকে ফেরেস্তাদের দোয়া বলা হয়।এর বরকত ফজরের পর পর ১০০বার প্রতিদিন পড়েলে অবশ্যই দেখা যাবে। ان شاء الله
আরো পড়ুন:
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
•আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।
•সায়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম।
•দুরুদ শরিফের ফযিলত, বরকত এবং আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
•শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।
•৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।
•আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।
•আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।
বি.দ্র. আপনার কাছে অনুরোধ: একটা শেয়ার করলে আমাদের লিখার কষ্ট সার্থক হবে। আপনার ঘর পরিবার, বন্ধুদের কাছে,আপনার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার গ্রুপে শেয়ার করুন।যাতে তারাও আমল করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ