নাদে আলী শরীফ বাংলা | নাদে আলি শরিফের ফজিলত। নাদে আলী বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

 
Nade ali sharifer fojilot

নাদে আলী দোয়ার ফজিলতঃ

 (1) রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর স্বপ্নে দিদার পাওয়ার জন্য ভালো ভাবে পাক পবিত্র হয়ে ইশারের নামাযের পর প্রথমে ১০০ বার (একশত বার) দরূদ শরীফ পাঠ করে ৫০০ বার (পাঁচশত বার) নাদে আলী দোয়া শরীফ পাঠ করে। তারপর, পুনরায় ১০০ বার (একশত বার) দরুদ শরীফ পাঠ করে অযু অবস্থায়  বিছানায় শুয়ে যাবে। আল্লাহ চাইলে সে রাতে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর যিয়ারত নসিব হবে।

আরো পড়ুনঃ দুরুদ শরিফের ফযিলত,  বরকত এবং আমল।

দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত। 

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

(2) যত বড় বিপদাপদ হোক না কেন প্রতিদিন যে কোন সময় ৪১বার (একচল্লিশ বার) 'নাদে আলী শরীফ' পাঠ করিলে খুব দ্রুত বিপদ হতে মুক্তি লাভ করবে। এটি খুবই পরীক্ষিত আমল। 

(3) কঠিন রোগ-ব্যাধির  জন্য যে রোগী ডাক্তার কবিরাজ হইতে নিরাশ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় 'নাদে আলী দোয়া শরীফ' ৭ বার (সাত বার) পাঠ করে বৃষ্টির পানিতে দম করে বা ফুঁক দিয়ে সে পানি কয়েক দিন পর্যন্ত পান করলে আল্লাহ পাকের রহমতে আরোগ্য লাভ করবে। অধিক ভালো একবার বেশি করে পানি নিয়ে রেখে দিবে,এর পর প্রতিদিন নতুন নতুন বারে পানিতে ফুঁক দিয়ে পান করালে।

(4) জিনের আসরের জন্য, আসর করা ব্যক্তিকে ১৫ (পনেরো)বার নাদে আলী দোয়া পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে উক্ত পানি রোগীর শরীরে ছিটিয়ে দিলে আল্লাহ চাইলে জিনের আসর দূর হয়ে যাবে।এই আমল কয়েক বিজোড় দিন করা ভালো।

আরো পড়ুনঃ

• দরুদে তাজের ফযিলত ও বরকত। 

স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।

•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

(5) কোন বিপদাপদ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে  সালাতুল হাযত অর্থাৎ মনের আশা পূরণের নিয়তে ২ রাকাত নফল নামায পড়বে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর তিন বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে। এই নামাজের সওয়াব হযরত আলী(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ) এর পবিত্র রুহে ইসালে সাওয়াব করবে।অর্থাৎ এই নিয়ত করবে হে আল্লাহ এই নামাযের সাওয়াব হযরত আলী(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ)এর রুহে পৌছিয়ে দিন। এরপর ৭০(সত্তর) বার নাদে আলী দোয়া শরীফ পাঠ করবে। আল্লাহ চাইলে সে দিন-ই কামীয়াবী পাবে বা খুব দ্রুত  ফলাফল পাবে। তা না হলে লাগাতার ৩ দিন এই নিয়মে আমল করবে।আল্লাহ মনের আশা পুরণ করে দিবেন।

(6) শত্রু-দুষমন এবং নিজের পিছে বদনাম তথা গীবতকারীর মুখ বন্ধ করতে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর ১০(দশ) বার  'নাদে আলী দোয়া' পাঠ করবে।

(7) কোনো কাজ শুরুর আগে বিসমিল্লাহ সহ ৩বার ৫বার ৭বার নাদে আলী শরীফ পাঠ করলে আল্লাহ চাইলে সেই কাজে বরকত হবেই এবং সেই কাজ কামিয়াব হবেই।

আরো পড়ুনঃ

 •সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি। 

শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।

দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ। 

(8)কাউকে কোনো কাজে পাঠানোর সময় তার কানে ৩বার ৫বার ৭বার নাদে আলী দোয়া পড়ে ফুক দিলে সে ব্যক্তি সেখানে আশানুরূপ সাফল্য নিয়ে ফিরে আসবে।

(9) বদ নজর, জীনের আসর, যাদুর আসর থেকে বাচাঁর জন্য ১১বার পড়ে পানি বা তেলে ফুক দিয়ে ব্যবহার করলে উপকার হবে। ان شاء الله

নাদে আলী দোয়া শরীফ আরবী উচ্চারণঃ

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ نَادِ عَلِيًّا مَظْهَرَ الْعَجَايْبِ

 تَجِدُهُ عَوْنَالكَ فِي النَّوَايْبِ كُلُّ هَمَ وَغَمَ سَيَنْجَلِي

 بِعَظَمَتِكَ يَا اللَّهُ وَبِنَبُوتِكَ يَا مُحَمَّدُ

 وَبِوَلَا يَتِكَ يَا عَلِىُ يَا عَلِىُ يَا عَلِىُ

আরো পড়ুন:

• দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ। 

দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।

দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ। 

নাদে আলী দোয়া শরীফ বাংলা উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। নাদে আলীয়াম মাজহারাল আজায়িবি তাযিদহু আওনাল্লাকা ফিন নাওয়ায়িবি কুল্লু হাম্মিও ওয়া গাম্মিন ছাইয়ানযালী বিআযমাতিকা ইয়া আল্লাহু বিনাবু ওয়াতীকা ইয়া মুহাম্মাদ ওয়া বিবিলাইয়াতিকা ইয়া আলীয়ু ইয়া আলীয়ু ইয়া আলী।

নাদে আলী দোয়ার অর্থসহঃ

 আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু। (আল্লাহর দেয়া) মহান অলৌকিক কারামতের অধিকারী হযরত আলী(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ)কে স্মরণ করো। তুমি তাঁকে সাহায্যকারী ও প্রতিনিধি হিসেবে পাবে, সকল বিপদাপদ ও দুঃক্ষ কষ্ট অতি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।হে আল্লাহ আপনার ইজ্জতের উসিলায়, আপনার রসূল(ﷺ)এর মহান নুবুয়তের উসিলায়!  এবং আপনার মহান বেলায়ত প্রাপ্ত হযরত আলী(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ)এর উসিলায়। হে আলী! হে আলী! হে আলী!

আরো পড়ুনঃ

• দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।

•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।

নাদে আলী শরীফ দোয়ার ছবিঃ

nade ali dua


নাদে আলী দোয়ার ইতিহাসঃ

বর্নিত আছে এই দোয়া খায়বারের যুদ্ধের সময় হযরত জিবরাইল(عَلَيْهِ السَّلَامْ) আল্লাহর রসুল(ﷺ)কে কানে কানে বলেন, এই দোয়ায় ঈঙ্গিতে এটি বুঝা যায়। আর খায়বারের যুদ্ধে হযরত আলী(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ)এক হাতে খায়বারের দূর্গের দুয়ার নিজ হাতে খুলে যুদ্ধের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন এবং খায়বার বিজয় করেন। এই দোয়া হযরত গাউ গোয়ালিরী(رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ )নিজ কিতাব যাওয়াহিরে খামসা বা পাঁচ মহা মুল্যবান রত্ন কিতাবে বর্ণনা করেন।এবং শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী নিজ কিতাবে এবং আমলে এটি উল্লেখ করেন।

আরো পড়ুনঃ 

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

আপনার কাছে অনুরোধ পোস্ট টি শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ