সাইয়েদুল ইস্তেগফারের দোয়া।ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়?ইস্তেগফারের দুয়া বাংলা।ইস্তেগফারের ফযিলত ও গুরুত্ব। Istegfar kivabe korte hoy?

  

সাইয়েদুল ইস্তেগফারের  দোয়া



সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

ইস্তেগফার কীভাবে করতে হয়?

সকল গুনাহ ক্ষমা পাওয়ার মাধ্যম হলো ইস্তেগফার। মহান রবের সাথে বান্দার সম্পর্কের নিগূঢ়তা ইস্তেগফার বা তাওবার মাধ্যমে হয়।আসুন আজ তাওবা বা ইস্তেগফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

ইস্তেগফার কীভাবে করতে হয়?

ইস্তেগফার কেনো করবেন? তওবা কেনো করবেন?

আল্লাহ রব্বুল আলামীন নিজ বান্দাদেরকে বেশি বেশি ইস্তেগফার করার প্রার্থনার তাগিদ দিয়েছেন।কেননা, মহান ও খাস বান্দাগন ব্যতিত সবাই কমবেশি গুনাহগার। আর এরমধ্যে তারাই উত্তম যারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।  আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত পবিত্র কোরআনে ইস্তেগফার করার ব্যাপার হুকুম করে ইরশাদ করেন, "আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা,আয়াত নং- ১৯৯;)।

আরেক যায়গায় আল্লাহ তওবা করার ব্যপারে বলেন, "তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো,খাঁটি অন্তরের তওবা।"

(দুরা তাহরীম:আয়াত নং:০৮;)

 অন্য এক যায়গায় আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও।’ (সুরা হুদ,আয়াত নং- ৩;)


ইস্তেগফার কাকে বলে?

তওবা কাকে বলে?
ইস্তেগফার মানে কি?

অত্যন্ত বিনম্রতার সাথে,নিজেকে তুচ্ছ মনে করে,কায়োমনো বাক্যে,নিজেকে দুর্বল ও অসহায় মনে আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয়ে নিজের অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা চাওয়াকে  ইস্তেগফার বা তাওবা বলে।

 ইস্তেগফার করার নিয়ম। 
তাওবা করার নিয়ম।
ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়?

তাওবা করার শর্ত তিনটি।

(১)নিজের গুনাহকে স্বীকার করা। (২)নিজের কৃত গুনাহের জন্য লজ্জাবোধ করা।(৩)ভবিষ্যতে একই গুনাহ না করার জন্য আল্লাহর দরবারে ওয়াদা করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা।

ইস্তেগফার কখন কবুল হবে?  তওবা কখন কবুল হবে?

কার তাওবা কখন কবুল হয়,সেটা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল ভালো যানেন।তবে ওলামায়ে কিরামগন বলেন,যদি কারো ইস্তেগফার/তওবায় উপরের ৩টি শর্ত পাওয়া গেলে আসা করা যায় তার তাওবা কবুল হয়েছে বা হবে। 

বান্দার হকের গুনাহের মাফ।| বান্দার হক নষ্টের জন্য তওবা।

 যদি কোনো ব্যক্তির গুনাহের সাথে অন্য আরেক বান্দার হক নষ্ট করাও থাকে,তাহলে উক্ত হক নষ্ট হওয়া ব্যক্তির কাছে তাওবার সাথে ক্ষমা চাইতে হবে।এবং তার ক্ষতিপূরণ মাফ নেয়া অথবা আদায় করে দিতে হবে।


ইস্তেগফারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ।
তাওবার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ। 

ইস্তেগফার করার অনেক দোয়া কোরআন এবং হাদিসে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার أَستَغْفِرُ اللهَ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

 পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাযে সালাম ফিরানোর পর রাসুলে পাক  (صلى الله عليه و سلم) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। (মেশকাতুল মাসাবীহ: হাদীস নং-৯৬১)

তওবার দোয়া বাংলায় উচ্চারণ সহ 

 এটিও ইস্তেগফার এর দোয়া:

 أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومُ وأتُوبُ إلَيْهِ 

উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।’

অর্থ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া কেউ ইবাদতের হকদার নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং:১৫১৭;)। 

আরেকটি  ইস্তেগফারের দোয়াঃ

 رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ  أنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ 

উচ্চারণ: ‘রব্বিগফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহিম।’ অর্থ: "হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চই আপনি তাওবা কবুলকারী, অতি দয়ালু।’ (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং:১৫১৬;)

আরেকটি তাওবার দোয়াঃ

উচ্চারণ :

 "আস্তাগফিরুল্লাহাল আউযিমা ওয়া আতুবু ইলাইহি"

অর্থ: আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। এবং তাঁর নিকটই ক্ষমা চাই।

  সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার:

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফারের দোয়াঃ

 اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ 

উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।’ 

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সাথে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের গুনাহ থেকে তোমার কাছে ক্ষমা চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার   গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’ (সহীহ বুখারি শরীফ : হাদিস নং: ৬৩০৬;)

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার এর ফযীলতঃ

‘যে ব্যক্তি সকালে পূর্ন বিশ্বাসের সাথে এ ইস্তেগফার পড়বে আর সন্ধ্যা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এই ইস্তেগফার পড়ে সকালের আগে মারা গেলে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।।’ (সহিহ বুখারি শরিফ: হাদিস নং:৬৩০৬;)


ইস্তেগফার এর ফযিলত ||তাওবা এর ফযিলত:

সুনাহে ইবনে মাজাহ শরীফে এসেছে, "যে ব্যক্তি সত্য অন্তরে ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তায়ালা তার সকল গুনাহকে ক্ষমা করে দিবেন।সে এমন হয়ে যাবে যেনো সে কিছুক্ষন পূর্বে মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হয়েছে।

তাওবা কবুল শর্ত কি?

তাওবা করার শর্ত তিনটি। (১)নিজের গুনাহকে স্বীকার করা। (২)নিজের কৃত গুনাহের জন্য লজ্জাবোধ করা।(৩)ভবিষ্যতে একই গুনাহ না করার জন্য আল্লাহর দরবারে ওয়াদা করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা।

তাওবার দোয়া বাংলা উচ্চারণ কি?

তওবার দোয়া বাংলায় উচ্চারণ সহ তওবার দোয়া বাংলায় উচ্চারণ সহ এটিও ইস্তেগফার এর দোয়া: أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومُ وأتُوبُ إلَيْهِ উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া কেউ ইবাদতের হকদার নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং:১৫১৭;)। أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومُ وأتُوبُ إلَيْهِ উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া কেউ ইবাদতের হকদার নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং:১৫১৭;)।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার কি?

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার: সাইয়্যেদুল ইস্তেগফারের দোয়াঃ اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।’ অর্থ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সাথে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের গুনাহ থেকে তোমার কাছে ক্ষমা চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’ (সহীহ বুখারি শরীফ : হাদিস নং: ৬৩০৬;)

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত কি?

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার এর ফযীলতঃ ‘যে ব্যক্তি সকালে পূর্ন বিশ্বাসের সাথে এ ইস্তেগফার পড়বে আর সন্ধ্যা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এই ইস্তেগফার পড়ে সকালের আগে মারা গেলে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।।’ (সহিহ বুখারি শরিফ: হাদিস নং:৬৩০৬;)

<√/p>

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ