খিজির (আঃ) এর জীবনী | খিজির(আঃ) ও মুসা(আঃ)এর ঘটনা।

 

খিজির আঃ এর জিবনী

হযরত মুসা(عليه السلام) ও খিজির (عليه السلام)-এর রহস্যময় ঘটনা।

বর্ণিত রয়েছে, একদিন মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) বনি ইসরাইলের  সামনে খোতবা বা নসিহত দিচ্ছিলেন, তখন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী কে? মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) বললেন,যেহেতু আমি আল্লাহর নবী তাই মানুষের মধ্যে আমিই সবার চেয়ে বেশি জ্ঞানী। কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ)'র এই উত্তর পছন্দ করননি। এখানে এটা বলাই আদব ছিলো  আল্লাহই ভালো জানেন কে অধিক জ্ঞানী। 

এ ঘটনার পর মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ)-এর কাছে ওহি নাজিল হলো যে, দুই সমুদ্রের মিলনস্থানে  আমার এক বান্দা কিছু বিষয়ে আপনার থেকে বেশি জ্ঞানী। এ কথা শুনে মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) তাঁর (খিজির عليه السلام ) কাছ থেকে সেই সব বিষয়ের জ্ঞান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে আরজ করলেন। বললেন, হে আল্লাহ! আমাকে তার ঠিকানা বলে দিন। আল্লাহ তাআলা বললেন, থলের মধ্যে একটি ভাজা মাছ নিয়ে নিন এবং দুই সমুদ্রের মিলনস্থানের দিকে সফরে বের হোন।যেখানে পৌঁছার পর মাছটি পানিতে পড়ে যাবে, সেখানে আমার সে বান্দার সাক্ষাৎ পাবেন। মুসা (عليه السلام) হুকুম মত থলের মধ্যে একটি মাছ নিয়ে সফরে রওনা হয়ে গেলেন। তাঁর সাথে আরেকজন নবী ইউশা বিন নূন(عليه السلام)সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

যাত্রা পথে তাঁরা একটি পাথরের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। এখানে হঠাৎ মাছটি নড়াচড়া করে উঠলো এবং থলে থেকে বের হয়ে সমুদ্রে চলে গেল। মাছটি জীবিত হয়ে সমুদ্রে যাওয়ার সময় একটি মুজেজা বা অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেল, মাছটি সমুদ্রের যে পথ দিয়ে চলে গেল, আল্লাহ তাআলা সে পথের পানির স্রোত বন্ধ করে দিলেন। ফলে সেখানে পানির মধ্যে একটি সুড়ঙ্গের মতো হয়ে গেল। ইউশা ইবনে নূন (عَلَيْهِ السَّلَامْ)এই অলৌকিক ঘটনা দেখলেন।

আরো পড়ুনঃ সায়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

মুসা (عليه السلام) যখন ঘুম থেকে জাগলেন, তখন ইউশা ইবনে নুন(عليه السلام) আশ্চর্যজনক ঘটনাটি তাঁকে বলতে ভুলে গেলেন এবং সেখান থেকে তাঁরা সামনে রওনা হয়ে গেলেন। একদিন একরাত সফর করার পর সকালে  মুসা (عليه السلام) ইউশা বিন নূন (عليه السلام) কে বললেন, আমাদের নাশতা আনো। নাশতা চাওয়ার পর ইউশা ইবনে নূন(عليه السلام)এর মাছের কথা মনে পড়লো। তিনি ভুলে যাওয়ার ওজর পেশ করে বললেন,আমাকে শয়তান  ভুলিয়ে দিয়েছিল।তিনি বললেন, মৃত মাছটি জীবিত হয়ে আশ্চর্যজনকভাবে সমুদ্রে চলে গেছে। তখন মুসা (عليه السلام) বললেন,যেই স্থানে মাছ পানিতে পড়ে গিয়েছিল সে স্থানটিই  আমাদের গন্তব্যস্থল ছিল।দ্রুত তাঁরা ফেলে আসা স্থানের দিকে পিচলে ফিরে চললেন।

সেই পাথর খণ্ডের নিকট পৌঁছে দেখলেন, এক ব্যক্তি মাথা থেকে পা পর্যন্ত চাদর জড়িয়ে শুয়ে আছেন। বুখারি শরীফে এ ব্যক্তির নাম 'খাদির' বা খিজির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ হলো 'সবুজ-শ্যামল'।তিনি যেখানে বসতেন, সেখানে সবুজ ঘাস উদ্ভিদ গজিয়ে যেতো। মুসা (عليه السلام) তাঁকে সালাম করেন। এবং বললেন, আমি  মুসা (عليه السلام)। খিজির (عليه السلام) জিজ্ঞাস করলেন, বনী-ইসরাইলের মুসা(عليه السلام)? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ, আমিই বনি-ইসরাইলের মুসা(عليه السلام)। আমি আপনার কাছ থেকে ওই বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে এসেছি, যা আল্লাহ তাআলা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।

এই বিষয়ে পবিত্র কোরআন মাজিদে এসেছে, 

আর তারা (মুসা ও তাঁর সঙ্গী) আমার বান্দাদের মধ্যে একজনের সাক্ষাৎ পেলো (যার নাম খিজির(عليه السلام), যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ দান করেছি। আর তাকে আমার পক্ষ থেকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছি। -সুরা কাহাফ: ৬৫

খিজির (عليه السلام) বললেন, যদি আপনি আমার সাথে থাকতে চান, তবে কোনো বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষন পর্যন্ত আমি নিজে তার প্রকৃত অর্থ আপনাকে না বলি। একথা বলার পর উভয়ে সমুদ্রের কিনারা ধরে চলতে লাগলেন। ঘটনাক্রমে একটি নৌকা এসে গেলে তারা নৌকায় উঠার জন্য কথাবার্তা বললেন। মাঝিরা খিজির(عليه السلام)কে চিনে ফেলল এবং পারিশ্রমিক ছাড়াই তাঁদেরকে নৌকায় তুলে নিলো। নৌকায় চড়েই খিজির কুড়ালের সাহায্যে নৌকার একটি তক্তা তুলে ফেললেন।

এটা দেখে মুসা (عليه السلام) স্থির থাকতে পারলেন না, এবং বললেন, তারা কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই আমাদেরকে নৌকায় তুলে নিয়েছে।আর আপনি  তাদের নৌকা ভেঙে দিলেন যাতে সবাই ডুবে যায়? আপনি খুবই খারাপ কাজ করলেন। খিজির (عليه السلام) বললেন, আমি আগেই বলেছিলাম, আপনি ধৈর্য ধরতে পারবেন না। তখন মুসা (عليه السلام)বললেন, আমি মার ওয়াদার কথা ভুলে গিয়েছিলাম, আমার প্রতি রাগ হবেন না। 

এই ব্যপারে পবিত্র কোরআনে মাজিদে এসেছে,

আর যখন তারা উভয়ে চলতে লাগল। পরে যখন তারা নৌকায় আরোহণ করল তখন সে (খিজির عليه السلام) তা বিদীর্ণ করে দিল। সে (মুসা عليه السلام) বলল, আপনি কি আরোহীদের সমুদ্রে ডোবানোর জন্যই কি এটা ছিদ্র করে দিলেন? আপনি তো এক কঠিন অন্যায় কাজ করেছেন।-সুরা কাহাফ;আয়াত- ৭১)

 সহীহ রেওয়ায়াত মতে, এরমধ্যে একটি কালো চড়ুই পাখি এসে নৌকার এক প্রান্তে বসে এবং সাগর থেকে ঠোট দিয়ে একটু পানি তুলে নিল। সেদিকে ইঙ্গিত করে খিজির (عليه السلام) মুসা (عليه السلام)কে বললেন, ‘আমার-আপনার এবং সমস্ত সৃষ্টিজগতের জ্ঞান একত্র করলেও আল্লাহ রব্বুল আ'লামীনের জ্ঞানের মোকাবিলা সাগরের বুক থেকে এই পাখির ঠোটে ওঠানোর এক ফোঁটা পানির সমান হবেনা। ( বুখারি শরীফ: হাদিস নং- ৪৭২৭)

এই ব্যপারে কোরআনে মাজিদে এসেছে , 

আর তারা নৌকা থেকে নেমে সমুদ্রের তীর ধরে চলতে লাগলেন। হঠাৎ খিজির এক বালককে অন্যান্য বালকের সাথে খেলা করতে দেখলেন। খিজির নিজ হাতে বালকটির মাথা তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। বালকটি মারা গেলো। মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) বললেন, আপনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছেন। এটি আপনি অনেক বড় গুনাহের কাজ করলেন। খিজির(عَلَيْهِ السَّلَامْ) বললেন, আমি তো আগেই বলেছিলাম, আপনি ধৈর্য ধরতে পারবেন না। মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) দেখলেন, এ ব্যাপারটি আগের ঘটনার চাইতেও গুরুতর। তাই বললেন, এরপর যদি কোনো প্রশ্ন করি তবে আপনি আমাকে পৃথক করে দেবেন।আমি আর কোনো আপত্তি করবোনা।

এরপর তাঁরা আবার চলতে লাগলেন। এক গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তারা গ্রামবাসীদের কাছে খাবার চাইলেন। গ্রামবাসীরা তাদেরকে খাবার দিতে অস্বীকার করল। খিজির(عَلَيْهِ السَّلَامْ) এই গ্রামের একটি প্রাচীরকে দেখলেন ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অবস্থায়। তিনি নিজ হাতে প্রাচীরটি সোজা করে দিলেন। মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) অভাক হয়ে বললেন, আমরা তাদের কাছে খাবার চাইলে তারা আমাদেরকে খাবার দিতে অস্বীকার করলো। অথচ আপনি তাদের এত বড় কাজ করে দিলেন; আপনি ইচ্ছা করলে এর পারিশ্রমিক তাদের কাছ থেকে আদায় করতে পারতেন। খিজির (عَلَيْهِ السَّلَامْ) বললেন, এটাই আমার ও আপনার মধ্যে পৃথক হওয়ার সময়।

এরপর খিজির (عَلَيْهِ السَّلَامْ) মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ)'র কাছে তিনটি ঘটনার রহস্য বর্ণনা করলেন,  যেগুলো আপনি দেখে ধৈর্য ধরতে পারেননি। এ ব্যপারে পবিত্র কোরআন মাজিদে এসেছে, ‘সে (খিজিরعَلَيْهِ السَّلَامْ) বলল, এখানেই আমার এবং আপনার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হলো; যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি অচিরেই আমি সেগুলোর রহস্য ব্যাখ্যা করছি।’ (সুরা কাহাফ: আয়াত- ৭৮)

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সম্পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, মুসা (عَلَيْهِ السَّلَامْ) যদি আরো কিছুক্ষণ ধৈর্য ধরতেন, তবে আরো কিছু জানা যেত ৷ (মুসলিম শরিফ-হাদিস নং- ২৩৮০)

আরো পড়ুনঃছোট ছেলে বাবুর আধুনিক ইসলামিক সুন্দর নাম।

ছোট মেয়ে বাচ্চার ইসলামিক আধুনিক সুন্দর নাম।

পবিত্র কোরআনে খিজির (عَلَيْهِ السَّلَامْ)-এর তিনটি কাজের কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে,

নৌকা ছিদ্র করার রহস্য হলো: 

‘নৌকাটির ব্যাপারে, সেটি ছিল কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির। তারা সমুদ্রে জীবিকা অন্বেষণ করত। আমি ইচ্ছা করলাম যে, সেটিকে ত্রুটিযুক্ত (নষ্ট) করে দেই। (কেননা) তাদের নদীর অপর পাড়েই ছিল এক বাদশাহ। সে জোরপ্রয়োগে সকল ভালো নৌকা ছিনিয়ে নিত।’ (সুরা কাহাফ: আয়াত: ৭৯)

আর ছোট বাচ্চাকে মারার রহস্যঃ

আর কিশোরটি, তার পিতামাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমরা আশঙ্কা করলাম যে, সে সীমালঙ্ঘন ও কুফরির মাধ্যমে তাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। তাই আমরা চাইলাম যে, তাদের রব যেন তাদেরকে তার পরিবর্তে এক সন্তান দান করেন, যে হবে পবিত্রতায় উত্তম ও দয়া-মায়ায় ঘনিষ্ঠতর। (সুরা কাহাফ: আয়াত- ৮০,৮১)

দেয়াল সোজা করার কারণঃ

দেয়ালের ব্যাপার, সেটি ছিল নগরের দুজন পিতৃহীন বালকের। এর নিচে ছিল তাদের (বাবার রেখে যাওয়া) গুপ্তধন এবং তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। সুতরাং আপনার পালনকর্তা দয়াপরবশ ইচ্ছা করলেন যে, তারা যৌবনে পদার্পণ করুক এবং নিজেদের গুপ্তধন উদ্ধার করুক। আমি নিজ মতে এটা করিনি। আপনি যে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করতে অক্ষম হয়েছিলেন, এই হল তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ; আয়াত- ৮২)

রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم) এ ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, মুসা (عليه السلام)'র প্রথম আপত্তি ভুলক্রমে হয়েছিলো, দ্বিতীয় আপত্তি শর্ত হিসেবে হয়েছিল এবং তৃতীয় আপত্তি ইচ্ছাক্রমে হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃনামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।

•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দোয়া বাংলায়। 

খিজির (عليه السلام) এর নাম:

আরো পড়ুনঃ 

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

খিজির(عليه السلام)এর নামের বরকত: 

বুযুর্গানে দ্বীনগণ বলেছেন, হযরত খিজির (عليه السلام) এর নাম, উনার উপনার ও মায়ের নাম সহ যে ব্যক্তি স্মরণ রাখবে,ان شاء الله তার মৃত্যু ঈমানের সাথে হবে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় ঈমান নিরাপদ থাকবে।

হযরত খিজির (عليه السلام)এর উপনাম ও মায়ের নাম সহ পূর্ন নাম: আবুল আব্বাস বালিয়া বিন মালকান।

(তাসসিরে সাবী; সুরা কাহাফ আয়াত-৬৫; ৪ খন্ড,পৃষ্ঠা ১২০৭)

ইমাম নববী,ইবনে আসাকির,ইবনে কাসির,আল্লামা বগভী, আল্লামা মুজাহিদ, আল্লামা শুদ্দি (رحمة الله عليهم)'গন লিখেছেন, খিজির(عليه السلام)কে খিজির এজন্য বলা হয় যে, আরবীতে খিজির এর অর্থ হলো সবুজ। তিনি যখন কোনো স্হানে বসতেন তখন সে স্থানটি সবুজ হয়ে যেত,অর্থাৎ সেখানে সবুজ উদ্ভিদ গজাত।

যে স্থানে হযরত খিজির(عليه السلام) নামাজ আদায় করতেন তার চারপাশে সবুজ হয়ে যেত। এমনকি হযরত খিজির(عليه السلام) কোন স্থানে দাঁড়ালে সাথে সাথে তার পায়ের তলদেশে সবুজ  উদ্ভিদের জন্ম হতো যা তার দুই পাকে ঢেকে ফেলত।

আরো পড়ুনঃ •রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

কোরআন হাদিসে খিজির عليه السلام:

আল কোরআনে  এবং হাদিস শরীফে খিজির عليه السلام এর কথা বহুবার এসেছে। কুরআনুল কারিমের ১৬ পারায় সুরা কাহাফের শেষাংশে আয়াত: ৭৫-১১০ এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা হযরত মুসা(عليه السلام) ও হজরত খিজির (عليه السلام )এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। 

হাদিস শরীফের সহীহ ও বিখ্যাত কিতাব বুখারি শরিফে তার নাম 'খাদির' বা খিজির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ হলো 'সবুজ-শ্যামল'।

বুখারীর হাদীসে রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم) তাঁর নামকরণের কারণের ব্যপারে বলেছেন, তিনি যেখানে বসতেন, সেখানেই সবুজ ঘাস উঠে হয়ে যেত, মাটি যেমনি হোক না কেন। (বুখারী শরীফ; হাদিস নং-৩৪০২)

আরো পড়ুনঃ •মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়

খিজির عليه السلام নবী নাকি ওলী?

জমহুর অর্থাৎ অধিকাংশ আলিমে দ্বীনের মতে এবং বিশুদ্ধ মত এটাই, খিজির(عليه السلام)একজন নবী এবং তিনি এখনো জীবিত।এর এটির উপরেই ফয়সালা। বুখারীর শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ উমদাতুল কারী।২য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৮৪-৮৫;)

সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও বিশ্বস্ত সবচেয়ে বেশি আলিমগণ উনাকে নবী বলেছেন।এটাই সত্য এই কথার অসংখ্য দলিল রয়েছে।সয়ং বুখারী শরিফেও এসেছে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

খিজির عليه السلام এখনো জীবিত আছেন?

আল্লামা ইবনে কাসির,  ইমাম নববী, ইবনুস সালাহ(رحمة الله عليهم)সহ অসংখ্য জগদ্বিখ্যাত মুসলিম মনীষীদের মতে,  খিজির (عليه السلام) এখনো জীবিত আছেন।

 (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৪৫)

‘সকল  আলেম এই বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে খিজির (عليه السلام) এখনো জীবিত রয়েছে। এবং তিনি আমাদের সামনে বিদ্যমান। এবং সুফিদের সবাই এ মতটি বিশ্বাস করে থাকেন ।

(শারহুন নববী, বাবু মিন ফাযাইলিল খিযির, পৃষ্ঠা ৫১৯)

বুখারী শরীফের সহিহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত, হযরত খিজির (عليه السلام) এখনো জীবিত এবং তিনি মানুষের সাথে মিলিতও হন, নবী করিম (صلى الله عليه و سلم) এরশাদ করেছেন খিজির (عليه السلام) আল্লাহর হকুমে আবে হায়াত পান করেছেন, সুতরাং তিনি কেয়ামত পযন্ত জীবিত থাকবেন। তিনি মানুষের সাথে মানুষের সুরতে উপস্থিত হয়ে মুলাকাত করে থাকেন। কোন কোন সময় নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন বলেন আমি হলাম খিজির। আর কোন কোন সময় অনেকে উনার সাথে মিলিত হয়ে যান, সাক্ষাৎপ্রাপ্ত হন, কিন্তু তারা বুঝতেও পারে না যে উনি খিজির (عليه السلام)।

ইমাম বায়হাকীর হাদিসের এসেছে তিনি জীবিত। এমনকি রাসুলে পাকে(صلى الله عليه و سلم)র  ইন্তেকালের পরেও সেখানে  উনাকে সাহাবিগন দেখেছেন।

আরো পড়ুনঃ •খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়। 

•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও  ফযিলত। 

 খিজির (عليه السلام) আবে হায়াতের পানি পান করেছেনঃ

হযরত খিজির عليه السلام আবে হায়াত এর পানি গোসল করেছেন এবং আবে হায়াতের পানি  পান করেছেন। যখন সেই পানি ও গোসল শেষ হয়েছে, তখন ঐ পানি গায়েব হয়ে যায়।

(তাফসিরে সিরাতুল জিনান। খন্ড ৬; পৃষ্ঠা -২৭)

হযরত জুলকারনাইন (رضي الله عنه)কিতাবের মধ্যে পড়লেন,  নুহ عليه السلام এর ছেলে শাম এর বংশের একজন সন্তান 'আবে হায়াতের পানি' পান করবে।এবং তার মৃত্যু হবেনা। আর এটা দেখার পর জুলকারনাইন رضي الله)  عنه)  আবে হায়াতের পানি খোঁজার জন্য পশ্চিম দিক ও পূর্ব দিক রওনা দেন।আর ঐ সফরের সময় জুলকারনাইন رضي الله عنه এর সাথে হযরত খিজির عليه السلام ও ছিলেন।খিজির عليه السلام একটা ঝর্নার কাছে যান,সেখানে গোসল করেন এবং পানি পান করে নেন। মুলত সেটাই ছিলো আবে হায়াতের পানি। তখন জুলকারনাইন رضي الله عنه উনার সাথে ছিলনা। আর জুলকারনাইন رضي الله عنه সেই ঝর্নার পানি পান করতে পারেনি। এর আগেই আবে হায়েত ঝর্নার পানি বন্ধ হয়ে শুকিয়ে  যায় অর্থাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়।

(তাফসিরে সিরাতুল জিনান,খন্ড-৬,পৃষ্ঠা-৩০;)

আর এখানে মৃতু না আসা মানে দীর্ঘ হায়াত।কিন্তু এক সময় মৃত্যু আসবেই।কেননা এটা কোরআনে পাকে এসেছে।প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।

এক বর্ননায় এটাও রয়েছে হযরত খিজির(عليه السلام)হযরত জুলকারনাইন(رضي الله عنه) এর খালাতো ভাই ছিলো। এবং উনার উজির ও ছিলো। 

আবে হায়াতের কথা তাওরাত এর মধ্যেও এসেছে। এবং হাজারো হাজার বছর পূর্বের বিভিন্ন বইতেও এসেছে। বলা হয়েছে ৩ ব্যক্তি আবে হায়াতের কাছে পৌছবে। আর তারা হলো হযরত ইলিয়াস  (عليه السلام) হযরত খিজির (عليه السلام) হযরত জুলকারনাইন (رضي الله عنه।) এর মধ্যে হযরত ইলিয়াস(عليه السلام) এবং খিজির  (عليه السلام)  আবে হায়াত পান করেছিলেন। আর  জুলকারনাইন( رضي الله عنه) পান করতে পারেননি।

( তথ্যসূত্র: তারিখে ইবনে আসাকির-খন্ড  ৬; আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া-আল্লামা ইবনে কাসির-খন্ড-৭; তাফসিরে খাযেন- খন্ড-২;)

এক বর্ণনায় এসেছে, কিতাবে হযরত খিজির( عليه السلام )এর দীর্ঘ হায়াত এবং মৃত্যু না আসার কারণ এটা লিখা হয়েছে, তিনি আবে হায়াতের পানি পান করেছেন। বর্ণনায় এটাও এসেছে, হযরত জুলকারনাইন(عليه السلام) পুরনো কিতাবে পড়েছেন, সাম বিন নূহ এর একজন বংশধর আবে হায়াতের পানি পান করবেন।আর তার মৃত্যু আসবেনা।সে দীর্ঘ হায়াত পাবে।জুলকারনাইন ( رضي الله عنه) সেই পানির খোঁজে পূর্ব পশ্চিম সফর করেন।জুলকারনাইন ( رضي الله عنه)জনতেন আবে হায়াত একটি অন্ধকার রাস্তায় রয়েছে।এবং সেখানে ৩৬০ ঝর্না রয়েছে। তিনি ৩৬০জন লোক বাচাই করে হযরত খিজির( عليه السلام )এর নেতৃত্বে সবাইকে আবে হায়াতের উদ্দেশ্যে রওনা করান।সবার সাথে একটা একটা মাছ দেয়া ছিলো।তারা মাছের নিয়ে সেই ঝর্নায় নেমে যাবে। আর সেখান থেকে ফিরে এসে নিজ নিজ মাছ জমা করাবে। সবাই যখন ফিরে আসলো খিজির ( عليه السلام ) ছাড়া বাকি সবাই নিজ নিজ মাছ জমা করালো।জুলকারনাইন ( رضي الله عنه) জিজ্ঞাসা করলো আপনার মাছ কোথায়? খিজির ( عليه السلام )বললেন আমি যখন ঝর্ণায় নামি।তখন মাছ আমার হাত থেকে পানিতে ছলে যায়।আমি পানিতে অনেক ডুব দিয়ে খুজেও মাছকে ধরতে পারিনি।এটা শুনে জুলকারনাইন ( رضي الله عنه)বললেই আবে হায়াতের পানি আপনার নসিবে ছিলো। আবে হায়াতে ডুব দেয়া এবং পানি পান করায়  তিনি দীর্ঘ হায়াত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন। আর উনার মোলাকাত হযরত মুসা( عليه السلام )এর সাথেও হয়।যা কোরআনুল কারীমে সুরা কাহাফে এসেছে।

আরো পড়ুনঃ ৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

খিজির عليه السلام কে যারা দেখেছেনঃ

অসংখ্য সুফি, আল্লাহর ওলী,দরবেশ,বুযুর্গ হযরত খিজির(عليه السلام)এর সাক্ষাত পেয়েছেন। বিভিন্ন বর্ণনায় এটাও রয়েছে, হযরত খিজির ( عليه السلام )রাসুলে পাকে(صلى الله عليه و سلم)র হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন সময় রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم)এর সাথে দেখা করার জন্যও আসতেন। এমনকি বায়হাকী সহ আরো অনেক কিতাবে এসেছে রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم)এর দুনিয়া থেকে পর্দা(ইন্তিকাল) করার সময় তিনি এসেছেন এবং অনেক সাহাবায়ে কিরাম উনাকে দেখেছেন।

ওমর বিন আব্দুল আযিয(رضي الله عنه)ও খিজির( عليه السلام )এর সাক্ষাৎ পেয়েছেন, যুগে যুগে ইসলামের মহান মনীষীদের সাথেও হযরত খিজির ( عليه السلام )এর সাক্ষাৎ হয়েছে।এবং খিজির( عليه السلام )তাদেরকে রেহনুমায়ী করেছেন।

আরো পড়ুনঃআয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

খিজির(عليه السلام)এর কাজ:

এটি একটি প্রসিদ্ধ বিষয়,হযরত খিজির( عليه السلام ) পথ ভোলা মানুষদের পথ দেখান।যদি আল্লাহর নেক বান্দা বিপদের মধ্যে পথ ভুলে যায়,তখন খিজির( عليه السلام ) তাদের রাস্তা দেখান।

বর্নিত হয়েছে, হযরত ইলিয়াস ( عليه السلام )সমুদ্রে মানুষের রেহনুমায়ী করেন, আর হযরত খিজির ( عليه السلام ) যমিনে মানুষের রেহনুমায়ী করেন।

সহীহ মুসলিম শরীফের এক হাদিস মোতাবেক যখন দজ্জাল মদিনা কাছে আসবে,তখন এক ব্যক্তি দজ্জালের শক্ত মোকাবেলা করবেন,আর সে ব্যক্তি হযরত খিজির عليه السلام হবেন। অনেক আলীমে দ্বীনের এর মতে হযরত খিজির( عليه السلام ) এবং হযরত ইলিয়াস ( عليه السلام ) জীবিত আর উনারা হজ্জের  সময় হজ্জে একত্রিত হন।

অনেক ওলী আল্লাহদেরকে হযরত খিজির(عليه السلام)কয়েক বছর ইলেম ও শিখিয়ে ছিলেন। অনেক ওলি আল্লাহ এর সাথেও হযরত খিজির (عليه السلام) এর মোকাকাত হয়।

আরো পড়ুনঃ •আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

খিজির عليه السلام আদম عليه السلام কে দাফন করেনঃ

আল্লামা ইবনে আসাকির(رحمة الله عليه) উনার কিতাব 'তারিখে দামেশকে' লিখেন, আদম( عليه السلام ) এর ওফাতের সময়,উনার ছেলেদের অসিয়ত করেন, জমিনের মধ্যে বড় একটি গযব (প্লাবন বা বন্যা) আসবে। আমার ইন্তেকালের পর আমার শরীরকে পাহাড়ের চুড়ায় রাখবে। আর যমিন শান্ত হলে মুলকে শামে দাফন করবে। আদম( عليه السلام )এর ইন্তিকালের পর উনার শরীর উনার ছেলেদের কাছে পাহাড়ে রাখা হয়। এরপর নূহ( عليه السلام )এর মহা প্লাবনের পর তিনি বাবেল শহরে থাকেন। নুহ ( عليه السلام )এর ৩ ছেলে- শাম, হাম, ইয়াফিজকে ডেকে তিনি অসিয়ত করেন আদম ( عليه السلام )এর শরীর ঐ পাহাড় থেকে নিয়ে শামে দাফন করার জন্য। যেখানে আদম( عليه السلام )অসিয়ত করেছিলেন। তারা বলল, যমিন খুবই ভয়ংকর। আর  আমরা ঐ যায়গার রাস্তাও চিনিনা। হযরত নুহ( عليه السلام )বললেন,হযরত আদম( عليه السلام ) ঐ ব্যক্তির জন্য দোয়া করেছেন, যে উনার শরীরকে দফন করবে, তাকে কিয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকার দেয়া দিয়েছেন। পরবর্তীতে হযরত নূহ ( عليه السلام ) এর ছেলে সাম এর একজন বংশধর যার নাম খিজির উনি আদম( عليه السلام )কে দাফন করেন। আর কিয়ামত পর্যন্ত হায়াত পান। তারিখে দামেশক।ইবনে আসাকির।খন্ড-৬)

আরো পড়ুনঃ • ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

খিজির(عليه السلام) এর জন্ম ও ইন্তেকালঃ

খিজির(عليه السلام)এর জন্ম সাল জানা যায়না  তবে এটাই অধিক প্রশিদ্ধ, তিনি হযরত নূহ (عليه السلام) এর ছেলে শাম বিন নূহ এর বংশধর ছিলেন। নূহ(عليه السلام) এর মহাপ্লাবনের বহু বছর পরে খিজির عليه السلام এর জন্ম। আর উনার ইন্তেকাল কিয়ামতের পূর্বে দজ্জাল আসার পরে হবে।

সহীহ মুসলিম শরীফের এক হাদিস মোতাবেক যখন দজ্জাল মদিনা নিকটবর্তী  এক যায়গায় আসবে,তখন এক ব্যক্তি দজ্জালের সাথে শক্ত মোকাবেলা করবেন, আর সে ব্যক্তি হযরত খিজির عليه السلام হবেন। অনেক আলীমে দ্বীনের এর মতে হযরত খিজির( عليه السلام ) এবং হযরত ইলিয়াস ( عليه السلام ) জীবিত আর উনারা হজ্জের  সময় হজ্জে একত্রিত হন।

আরো পড়ুনঃ দরুদে তাজের ফযিলত ও বরকত। 

স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।

•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি। 

খিজির عليه السلام এর দোয়া ও আমলঃ

হযরত খিজির(عليه السلام) এক আবিদ ব্যক্তিকে  আমলটি শিখিয়ে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ জুমার রাত ইশার নামাযের পর গোসল করে,পাক পবিত্র জামা-কাপড় পরিধান করে সুগন্ধি ব্যবহার করে 

 এ নিয়মে  দু'রাকাত নফল নামাজ পড়বে, প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা কাফিরুন ১০ বার পড়তে হবে, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ১১বার পড়বে... এরপর তাশাহুদ, দরূদে ইব্রাহিম ও দোয়ায়ে মাসূরা পড়ে নামাজ শেষ করবে,

নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে এই দোয়া  ১০ বার পড়বে, দোয়াটি হলো সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লা ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম, এরপর ১০ বার "রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আযাবান নার"।

এরপর আপনার নিজ মনের আশার কথা  আল্লাহর কাছে বলবেন দোয়া করবেন, ان شاء الله  আল্লাহ তাআলা আপনার সকল মনের আশা পূর্ণ করবেন,একটু ধৈর্য রাখুন, আশা পুরণ হবে।অনেক বুযুর্গানেদ্বীন এই নামাযের মাধ্যমে হাজারো মনের আশা পূরন করেছেন।

খিজির(عليه السلام)এর আরেকটি অমুল্য দোয়া যে দোয়ার ১০টি আশ্চর্য ফযিলত। দোয়াটি পড়ুন- খিজির عليه السلام এর১০ফযিলত এর দোয়াঃ

খিজির عليه السلام এর দোয়া টি পড়ুন>>

আরো পড়ুনঃ 

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।

খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।

মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।

দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।

• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।

• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।

সাওয়াবের নিয়তে শেয়ার করার অনুরোধ। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ