খতমে শেফা | খতমে আম্বিয়া।খতমে তাহলীল।খতমে শিফা পড়ার নিয়ম ও ফযিলত|

khatme tahlil khatme ambiya.


আবাহমানকাল থেকেই মানুষের নানান রোগ-শোক বিপদাপদে বিভিন্ন বরকতময় দোয়া, যিকির, অযিফা, আমল এর উপকারিতা পরিলক্ষিত হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।কেননা আল্লাহ পাকের কালাম, আল্লাহ পাকের জিকির, রাসুলুল্লাহ (ﷺ)'র আমল দোয়া এবং বুযুর্গানে দ্বীনদের আমলগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ পাকের রহমত লাভ হয়।তাই বিপদাপদে এই সকল খতম দোয়ার অকল্পনীয় ফযিলত পরিলক্ষিত হয়।

আরো পড়ুনঃ জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।

নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।

 খতমে আম্বিয়া কি বা খতমে তাহলীল কাকে বলে? 

রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন সবচেয় শ্রেষ্ঠ জিকির হচ্ছে

(لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ ) 

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু"। অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নাই” 

আর এই পবিত্র কালিমার অংশকে যে কোনো বিপদাপদ, কঠিন, রোগ মামলা মুকাদ্দমা, অথবা কোনো মৃত ব্যক্তির ক্ষমা লাভের নিয়তে বা মৃতব্যক্তির ইসালে সাওয়াবের নিয়তে দ্বীনদার মু'মিনদের নিয়ে  ১ লক্ষ্য ২৫ হাজার বার পড়াকে খতমে আম্বিয়া বা খতমে তাহলীল বলে।কোনো এলাকায় একে খতমে আম্বিয়া আবার কোনো এলাকায় একে খতমে তাহলীল বলে।

খতমে আম্বিয়া বা খতমে তাহলীল পড়ার ফযিলতঃ

(১) কঠিন বিপদের সময় পরিপূর্ণ একিনের সাথে এই খতম পড়লে আল্লাহ চাইলে সহজে বিপদ দূর হবে।

(২) সকল প্রকার কঠিন রোগ থেকে মুক্তির জন্য খতমে আম্বিয়া বা খতমে তাহলীল খুবই উপকারী। এটি রুগীর পাসে বসে পড়া বেশি উত্তম।এত আওয়াযে পড়া যাতে রুগী কানে শুনতে পায়।এতে আল্লাহ চাইলে দ্রুত রুগীর আরাম হবে।

(৩)মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে পড়লে উদ্ধারের জন্য খতমে আম্বিয়া বা খতমে তাহলীল খুবই কার্যকরী। 

(৪)সকল জায়েজ মনের আশা পুরণের জন্য এই খতম শোয়া লক্ষ বার পড়তে হয়।

(৫)মৃতব্যক্তির গুনাহ মাফের জন্য এই খতমে আম্বিয়া বা খতমে তাহলীল ১লক্ষ ২৫হাজার পড়ে মৃত ব্যক্তির গুনাহ মাফের দোয়া করলে, আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন।আর মৃত ব্যক্তির বান্দার হক ক্ষমা করাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ •গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হলো উত্তম যিকির ও দোয়াঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ার বরকত ও ফযিলতঃ

হযরত সায়্যিদুনা জাবের (رضي الله عنه) বলেন, আমি নবী করীম (صلى الله عليه و سلم) কে ইরশাদ করতে শুনেছি: “সর্বোত্তম যিকির হলো (لا اله الا الله)।(সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪র্থ খন্ড, ২৪৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৮০০ )

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়লে আসমানের দরজা সমূহ খুলে যায়ঃ

হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত; প্রিয় রাসূল, (صلى الله عليه و سلم)ইরশাদ করেছেন: “যেই বান্দা ইখলাসের তথা একনিষ্টতার সাথে (لا اله الا الله )বললো তবে আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়। এমনকি তা আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।(সুনানে তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৩৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬০১ )

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়লে ঈমান নবায়ন হয়ঃ

হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত; রাসুলে পাক(صلى الله عليه و سلم)ইরশাদ করেছেন: তোমরা ঈমানের নবায়ন করে নাও। আরয করো হলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (صلى الله عليه و سلم) আমরা আমাদের ঈমানের নবায়ন কিভাবে করে নিবো? হুযুর(صلى الله عليه و سلم) ইরশাদ করেন: (لا اله الا الله )অর্থাৎ কলেমা শরীফ বেশি পরিমাণে পাঠ করে নিও।”(মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৩য় খন্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৮৭১৮)

আরো পড়ুনঃ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

খতমে আম্বিয়া বা খতমে  তাহলীল পড়ার নিয়মঃ

•যে কোনো বিপদ উদ্ধারের জন্য কয়েকজন নেককার ফরহেযগার মুত্তাকী ব্যক্তিদের নিয়ে এই খতম একত্র হয়ে পড়তে হয়।

•এক মজলিসে নাহলে কয়েক মজলিসে পড়া যাবে।তবে এক খতম শুরুর ৪০দিনের ভিতরে অবশ্যই শেষ করতে হবে।

•মজলিসে না হলে আলাদা আলাদা  নিজ নিজ স্থানে পড়েও দোয়া মুনাযাত করা যায়।

•অজুসহ পড়া,ফাহেশা কথা বার্তা না বলা এবং খতমের আদবের খেয়াল রাখা।

•এই খতম শত শত বছর ,  হাজারো বছর পূর্ব থেকে আমাদের নেক পূর্বপুরুষদের আমল ছিল।আর যেই কিতাব থেকে এটি লিখা সংগ্রহ করা হয়েছে, সে কিতাবের বয়সও ১০০ বছর হয়েগেছে।

সওয়াব অর্জনের নিয়তে এবং মানুষকে দ্বীনের আমলের উৎসাহের জন্য শেয়ার করুন। 


মানুষ আরো খোঁজে:

খতমে তাহলীল,  খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম, খতমে তাহলীল pdf, খতমে তাহলীল কিভাবে পড়তে হয়, খতমে তাহলীল পড়া কি জায়েজ, খতমে তাহলীল কেনো পড়া হয়, খতমে তাহলীল পড়ার দোয়া, খতমে আম্বিয়া, খতমে আম্বিয়া পড়ার নিয়ম,  খতমে আম্বিয়া কাকে বলে, খতমে আম্বিয়ার ফজিলত,  খতমে আম্বিয়া কিভাবে পড়তে হয়, খতমে আম্বিয়া পড়লে কি লাভ, খতমে শিফা, খতমে শিফা পড়ার ফজিলত,  খতমে শিফা কিভাবে পড়তে হয়, খতমে শিফার উপকারী,  খতমে শিফা পড়ার নিয়ম।

খতমে খাজেগান,  খতমে জালালী,  খতমে জালালী পড়ার নিয়ম, খতমে শিফা,

খতমে শিফা, খতমে শিফার আয়াত, খতমে শিফা তাসবিহ, খতমে শিফা কাকে বলে, খতমে শিফার দোয়া সমূহ, খতমে শিফা pdf, খতমে শিফার তাসবিহ, খতমে শিফা আরবি, খতমে শিফা আয়াত, খতমে শিফা দোয়া, খতমে শিফা কি, খতমে শিফা আল কাউসার

আরো পড়ুনঃ 

দুরুদ শরিফের ফযিলত,  বরকত এবং আমল।

দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত। 

সায়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

দরুদে তাজের ফযিলত ও বরকত। 

স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।

•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ