খিজির আলাইহিস সালামের দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।
মুসাব্বাতে আশারা হলো হযরত খিজির(عليه السلام)এর দেয়া আমল বা দুয়া। এটি হযরত খিজির(عليه السلام)এর শিক্ষাদেয়া ইসলামের মহান মনীষী, বুযুর্গানে দ্বীন যারা রুহানী ও মা'রেফাতের শক্তিতে সুউচ্চ ছিলেন তাদের আমলের দুয়া, যাতে ১০টি মুল্যবান দোয়া যার প্রতিটি দোয়া ৭বার করে পড়তে হয় এই কারনে এটিকে মুসাব্বাতে আশারা বলে।
হযরত খিজির (عليه السلام) এটি হযরত ইবরাহিম তাইমী (رحمة الله عليه)কে এই দোয়া শিক্ষা দেন।ইসলামের মহান মনীষী দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী(رحمة الله عليه)তার কিতাবে এই মুসাব্বাতে আশারা এর দোয়ার উল্লেখ করেছেন।
মুসাব্বাতে আশারার অলৌকিক ঘটনা:
হযরত ইবরাহিম তাইমী(رحمة الله عليه)একদিন হযরত খিজির(عليه السلام) এর সাক্ষাৎ পান।তখন তিনি এই দোয়া ইবরাহীম তাইমীرحمة الله) (عليه কে শিক্ষাদেন। তিনি এর ফযিলত জানতে চাইলে হযরত খিজির(عليه السلام)বলেন, আপনি রাসুল(صلى الله عليه و سلم) থেকে এর ফযিলত জেনে নিবেন।ইবরাহিম তাইমী(رحمة الله عليه)বললেন,আমি কিভাবে রাসুল(صلى الله عليه و سلم)এর দেখা পাবো।খিজির(عليه السلام)বললেন, আপনি এই আমল নিয়মিত ফজরের পর ও মাগরিবের পর আদায় করুন। এবং একদিন ইশারের পর ২রাকাত নামায যিয়ারতের নিয়তে পড়ে শুয়ে যাবেন এবং স্বপ্নে রাসুল(صلى الله عليه و سلم)এর যিয়ারত পাবেন।ইবরাহীম তাইমী(رحمة الله عليه)যিয়ারত পাওয়ার পর এই আমলের ফযিলত জানতে চাইলে রাসুলে পাকর(صلى الله عليه و سلم)যা বললেন, তার সারমর্ম হলো।
মুসাব্বাতে আশারার ফযিলতঃ
এই ওযিফা নিয়মিত পড়লে
(১) সকল প্রকার আসমানি-যমিনি বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
(২)দ্বীন দুনিয়ার সকল কাজে বরকত ও উন্নতি হবে।
(৩)সবাই এই আমল কারীকে খুবই সম্মান করবে।সবাই তার কথা মান্য করবে।
(৪)রোগ বিমারী,পেরেশানি,জাফু আসর,বদ নজর থেকে নিরাপদ থাকবে।
(৫)এই মুসাব্বাতে আশারা পাঠকারী সব সময় আনন্দের জীবন অতিবাহিত করবে।
(৬)এটি নিয়মিত পাঠকারী আল্লাহ ও রাসুলের প্রিয় হবে।
(৭)এই অযিফার দ্বারা তার ঘরের লোকের, তার কাজ কর্ম,ব্যবসা বানিজ্য সকল কিছুতে বরকত হবে এবং নিরাপদ হবে।
(৮)এই আমল ফযিলত বর্ননা করে শেষ করা যাবেনা। সবচেয়ে বড়কথা এই আমল বড় বড় আওলিয়ায়ে কামিলীনগনের আমল ছিলো এবং তারা তাদের খাস মুরিদ এবং খাস কাছের ব্যক্তিদের শিক্ষা দিতেন।
(৯)যারা নিয়মিত একাগ্রতার সাথে মুসাব্বাতে আশারা পড়বে তারা খিজির(عليه السلام)এর সাক্ষাৎ লাভ করবে।
১০)মুসাব্বাতে আশারার অলৌকিক ফযিলত বিশেষ ভাবে যে এটির আমল করবে সবাই তাকে ভালোবাসবে, সবাই তাকে সম্মান করবে।
খিজির عليه السلام এর দোয়া মুসাব্বাতে আশারা আমলের নিয়মঃ
প্রথমে ১বার যেকোনো দরূদ শরিফ
১)সূরা ফাতিহা-৭বার।
২)সূরা নাস-৭বার।
৩)সূরা ফালাক-৭বার।
৪)সূরা ইখলাস-৭বার।
৫)সূরা কাফিরুন-৭বার।
৬)আয়াতুল কুরসী-৭বার।
৭)সুবহানাহু ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর।ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম-৭বার।
৮)আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সায়্যেদিনা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা আননাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া চহবিহি ওয়া সাল্লিম।-৭বার।
৯)আসতাহফিরুল্লাহাল আযিমা ওয়ালি ওয়ালিদায়্যা ওয়ালিল মু'মিনিনা ওয়াল মু'মিনাত।ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।আল আহয়ায়ি মিনহুম ওয়াল আমওয়াত।ইন্নাকা সামিউন কারিবুন মুজিবুদ দা'ওয়াত।-৭বার।
১০)আল্লাহুম্মা আফয়াল বি ওয়া বিহিম আ'যিলান ওয়া আ-জিলান ফিদ দ্বীন ওয়াদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি।মা আংতা লাহু আহ্লুন।ওয়ালা তাফয়াল বিনা ইয়া মাওলানা মা নাহনু লাহু আহলুন ইন্নাকা গফুরুন হালিমুন জাউওয়াদুন কারিমুন রউফুন রহীম।-৭বার।
শেষে ১বার যেকোনো দরূদ শরিফ।
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
•শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।
•৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।
•আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।
•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
•ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।
•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।
•মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।
•দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।
• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।
• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।
•নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া।
•গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ।
•জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।
•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।
মুসাব্বাতে আশারা কি?
মুসাব্বাতে আশারা কি? মুসাব্বাতে আশারা হলো হযরত খিজির(عليه السلام)এর দেয়া আমল বা দুয়া। এটি হযরত খিজির(عليه السلام)এর শিক্ষাদেয়া ইসলামের মহান মনীষী, বুযুর্গানে দ্বীন যারা রুহানী ও মা'রেফাতের শক্তিতে সুউচ্চ ছিলেন তাদের আমলের দুয়া, যাতে ১০টি মুল্যবান দোয়া যার প্রতিটি দোয়া ৭বার করে পড়তে হয় এই কারনে এটিকে মুসাব্বাতে আশারা বলে। হযরত খিজির (عليه السلام) এটি হযরত ইবরাহিম তাইমী (رحمة الله عليه)কে এই দোয়া শিক্ষা দেন।ইসলামের মহান মনীষী দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী(رحمة الله عليه)তার কিতাবে এই মুসাব্বাতে আশারা এর দোয়ার উল্লেখ করেছেন।
মুসাব্বাতে আশারার দোয়াগুলো কি?
প্রথমে ১বার যেকোনো দরূদ শরিফ ১)সূরা ফাতিহা-৭বার। ২)সূরা নাস-৭বার। ৩)সূরা ফালাক-৭বার। ৪)সূরা ইখলাস-৭বার। ৫)সূরা কাফিরুন-৭বার। ৬)আয়াতুল কুরসী-৭বার। ৭)সুবহানাহু ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর।ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম-৭বার। ৮)আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সায়্যেদিনা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা আননাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া চহবিহি ওয়া সাল্লিম।-৭বার। ৯)আসতাহফিরুল্লাহাল আযিমা ওয়ালি ওয়ালিদায়্যা ওয়ালিল মু'মিনিনা ওয়াল মু'মিনাত।ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।আল আহয়ায়ি মিনহুম ওয়াল আমওয়াত।ইন্নাকা সামিউন কারিবুন মুজিবুদ দা'ওয়াত।-৭বার। ১০)আল্লাহুম্মা আফয়াল বি ওয়া বিহিম আ'যিলান ওয়া আ-জিলান ফিদ দ্বীন ওয়াদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি।মা আংতা লাহু আহ্লুন।ওয়ালা তাফয়াল বিনা ইয়া মাওলানা মা নাহনু লাহু আহলুন ইন্নাকা গফুরুন হালিমুন জাউওয়াদুন কারিমুন রউফুন রহীম।-৭বার। শেষে ১বার যেকোনো দরূদ শরিফ।
খিজির (আঃ) এর দোয়ার ফজিলত কি?
Amal Dua Bangla হোম দোয়া আমল খিজির (আঃ) এর দোয়া | অত্যন্ত ফজিলত মুসাব্বাতে আশারা খিজির (আঃ) এর দোয়া | অত্যন্ত ফজিলত মুসাব্বাতে আশারা Amal Dua Bangla খিজির আলাইহিস সালামের দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা। খিজির আঃ এর দোয়া মুসাব্বাতে আশারা কি? মুসাব্বাতে আশারা হলো হযরত খিজির(عليه السلام)এর দেয়া আমল বা দুয়া। এটি হযরত খিজির(عليه السلام)এর শিক্ষাদেয়া ইসলামের মহান মনীষী, বুযুর্গানে দ্বীন যারা রুহানী ও মা'রেফাতের শক্তিতে সুউচ্চ ছিলেন তাদের আমলের দুয়া, যাতে ১০টি মুল্যবান দোয়া যার প্রতিটি দোয়া ৭বার করে পড়তে হয় এই কারনে এটিকে মুসাব্বাতে আশারা বলে। হযরত খিজির (عليه السلام) এটি হযরত ইবরাহিম তাইমী (رحمة الله عليه)কে এই দোয়া শিক্ষা দেন।ইসলামের মহান মনীষী দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী(رحمة الله عليه)তার কিতাবে এই মুসাব্বাতে আশারা এর দোয়ার উল্লেখ করেছেন। মুসাব্বাতে আশারার অলৌকিক ঘটনা: হযরত ইবরাহিম তাইমী(رحمة الله عليه)একদিন হযরত খিজির(عليه السلام) এর সাক্ষাৎ পান।তখন তিনি এই দোয়া ইবরাহীম তাইমীرحمة الله) (عليه কে শিক্ষাদেন। তিনি এর ফযিলত জানতে চাইলে হযরত খিজির(عليه السلام)বলেন, আপনি রাসুল(صلى الله عليه و سلم) থেকে এর ফযিলত জেনে নিবেন।ইবরাহিম তাইমী(رحمة الله عليه)বললেন,আমি কিভাবে রাসুল(صلى الله عليه و سلم)এর দেখা পাবো।খিজির(عليه السلام)বললেন, আপনি এই আমল নিয়মিত ফজরের পর ও মাগরিবের পর আদায় করুন। এবং একদিন ইশারের পর ২রাকাত নামায যিয়ারতের নিয়তে পড়ে শুয়ে যাবেন এবং স্বপ্নে রাসুল(صلى الله عليه و سلم)এর যিয়ারত পাবেন।ইবরাহীম তাইমী(رحمة الله عليه)যিয়ারত পাওয়ার পর এই আমলের ফযিলত জানতে চাইলে রাসুলে পাকর(صلى الله عليه و سلم)যা বললেন, তার সারমর্ম হলো। মুসাব্বাতে আশারার ফযিলতঃ এই ওযিফা নিয়মিত পড়লে (১) সকল প্রকার আসমানি-যমিনি বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। (২)দ্বীন দুনিয়ার সকল কাজে বরকত ও উন্নতি হবে। (৩)সবাই এই আমল কারীকে খুবই সম্মান করবে।সবাই তার কথা মান্য করবে। (৪)রোগ বিমারী,পেরেশানি,জাফু আসর,বদ নজর থেকে নিরাপদ থাকবে। (৫)এই মুসাব্বাতে আশারা পাঠকারী সব সময় আনন্দের জীবন অতিবাহিত করবে। (৬)এটি নিয়মিত পাঠকারী আল্লাহ ও রাসুলের প্রিয় হবে। (৭)এই অযিফার দ্বারা তার ঘরের লোকের, তার কাজ কর্ম,ব্যবসা বানিজ্য সকল কিছুতে বরকত হবে এবং নিরাপদ হবে।
0 মন্তব্যসমূহ