আওয়াবিন নামায কাকে বলে? আওয়াবিন নামাযের নিয়ম,আওয়াবিন নামাযের ফযিলত ও আদায়ের পদ্ধতি।

  

Awabin namaz


আওয়াবিনের নামায কাকে বলে?আওয়াবিন নামাযের ফযিলত ও নিয়ম।

ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, মাগরিবের নামাযের ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর যে নফল নামাজ পড়া হয়, তাকে আওয়াবিন নামাজ বলে।

আওয়াবিনের নামায কি নামায?

আওয়াবিনের নামায খবই গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম নফল নামাজ। হাদিস শরিফে  ‘সালাতুল আওয়াবিন’ নামে এই নামাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। (জামেউস সগির: ২/৪২৭)

আরো পড়ুনঃ 

•খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়। 

•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও  ফযিলত 

খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত।

আওয়াবিনের নামাযের ওয়াক্ত কখন শুরু হয়? 

মাগরিবের নামাজের পর আওয়াবিনের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং এশার আগ পর্যন্ত আওয়াবিনের নামাযের সময় বাকি থাকে।

আওয়াবিনের নামাযের ফযিলত ও গুরুত্ব:

সালাতুল আওয়াবিনের ফযিলত ও গুরুত্ব:

আওয়াবিন নামাযের দলিল:

আওয়াবিন নামাযের ফযিলতের হাদিস

হাদিস শরিফে আওয়াবিন নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

(১) নবী করিম (صلى الله عليه و سلم) ইরশাদ করেছেন, ‘মাগরিবের নামাজের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নফল নামাজ পড়বে তার গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।’ -মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৩৩৮০

(২) রাসুলে পাক  (صلى الله عليه و سلم) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর সালাতুল আওয়াবিন নামাজ পড়বে, তার মর্যাদা জান্নাতের উচ্চ স্থানে হবে।’ -ইতহাফুস সাদাহ: ৩/৩৭১

(৩) নবী করিম (صلى الله عليه و سلم) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাকাত নফল নামাজ পড়বে, (এখানে আওয়াবিনের নামায উদ্দেশ্য) আল্লাহতায়ালা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মান করবেন।’ (জামে তিরমিজি: ১/৯৮)

আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুনঃ 

দুরুদ শরিফের ফযিলত,  বরকত এবং আমল।

দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত। 

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

দরুদে তাজের ফযিলত ও বরকত। 

স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।

•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি। 

শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।

দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ। 

দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ। 

দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।

দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ। 

দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।

•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।

(৪) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত: রাহমাতুল্লিল আলামীন,হুযুরে পাক(صلى الله عليه و سلم) ইরশাদ করেছেন : “যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাযের পর ৬ রাকাত নামায এমনভাবে আদায় করবে যে, এর মাঝখানে কোন মন্দ কথা বার্তা বলবে না, তাহলে এই ৬ রাকাত ১২ বছরের ইবাদতের সমান হবে।”

(তথ্যসূত্র: সুনানে ইবনে মাযাহ, ২য় খন্ড, ৪৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১১৬৭)

আরো পড়ুনঃ

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

আওয়াবিনের নামায কয় রাকাত?

 আওয়াবিন নামাজ কমপক্ষে দুই রাকাত, চার রাকাত, ছয় রাকাত,বারো রাকাত এবং সর্বোচ্চ বিশ রাকাত নফল পড়া যায়। ছয় রাকাত পড়ার সুযোগ না হলে মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত মিলিয়ে আর নফল চার রাকাত মিলিয়ে ছয় রাকাত পড়া যায়। নবী করিম (صلى الله عليه و سلم) কখনও ৬ রাকাত  কখনও ৪ রাকাত কখনও ১২ রাকাত আবার কখনও ২০ রাকাত পড়েছেন, তবে ৬ রাকাত আওয়াবিনের নামায অধিকাংশ সময় পড়তেন।

সাহাবায়ে কেরাম, আউলিয়ায়ে কিরাম,বুযুর্গানে দ্বীন এই নামাযের খুবই গুরুত্ব দিতেন,এখনো অনেক তরিকতপন্থি বয়স্ক ব্যক্তি নিয়মিত এই নামাযের আমল করেন।

আরো পড়ুনঃ 

•লাশ কবরে নামানোর নিয়ম দোয়া। দাফনের নিয়ম দোয়া। মাটি দেয়ার নিয়ম ও দোয়া।

•আইয়্যামে বিজের রোজা কি?এ রোজার ফযিলত।এ রোজা রাখার নিয়ম ও নিয়ম।

আওয়াবিন নামাযের সুরা:

আওয়াবিন নামাযে যেকোনো সুরা পড়া যায়।

আওয়াবীনের নামায আদায়ের পদ্ধতি:

আওয়াবিন নামায পড়ার নিয়ম ও নিয়ত:

মাগরীবের ৩ রাকাত ফরয নামায আদায়ের পর ৬ রাকাত নামায এক নিয়্যতে পড়ুন। প্রতি দু'রাকাত পর কা'দা করুন অর্থাৎ বসুন, এতে তাশাহুদ, দরূদে ইবরাহীম ও দোয়া পাঠ করুন, প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম রাকাতের শুরুতে ছানা, সম্পূর্ন আউজু ও বিসমিল্লাহ পাঠ করুন। ৬ষ্ঠ রাকাতের বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নিন। প্রথম দু'রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায় হলো ও অবশিষ্ট চার রাকাত হলো নফল । আর এটাই হলো আওয়াবীন তথা তাওবাকারীর নামায ।

 (তথ্যসূত্র: আল অযিফাতুল করীমা, ২৪ পৃষ্ঠা, সংক্ষেপিত)

আরো পড়ুনঃ 

পরীক্ষা ভালো ফলাফলের দোয়া ও পরীক্ষা পাসের আমল।

পরীক্ষা ভালো রেজাল্টের সেরা টিপস ও কৌশল 

স্মরণ শক্তি বা স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর দোয়া ও আমল। 

আওয়াবিন নামাযের নিয়ত ও সুরা:

আওয়াবিন নামায দুই রাকাত করেও আদায় করতে পারবেন। বাহারে শরীয়তের ৪র্থ অংশের ১৫ ও ১৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে: মাগরীবের পর ছয় রাকাত আদায় করা মুস্তাহাব, তাকে সালাতুল আওয়াবীন বলা হয়। চাইলে এক সালাম দ্বারা সব আদায় করবেন অথবা দুই সালাম দ্বারা অথবা তিন সালাম দ্বারা অর্থাৎ প্রতি দুই রাকাত পর সালাম ফিরানো উত্তম। (তথ্যসুত্র: দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৪৭ পৃষ্ঠা)


আওয়াবিন অর্থ কি?

আওয়াবিন নামায তাওবাকারীদের নামায।কিয়ামতের দিন আওয়াবিন নামায আদায়কারী ব্যক্তি, যাদের তাওবা কবুল হয়েছে তাদের সাথে উঠবে।তাই এই নামাযকে তাওবাকারীদের নামায বলে।

আরো পড়ুনঃ

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

দয়া করে পোস্ট টি শেয়ার করার অনুরোধ। 

মানুষ আরো জানতে চায়:


আওয়াবিন 

আওয়াবিন নামাজ

আওয়াবিন নামাজের ফজিলত

আওয়াবিন নামাজের নিয়ত

আওয়াবিন নামাজের সময়

আওয়াবিন নামাজের নিয়ম

আওয়াবিন নামাজ কত রাকাত

আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম

আওয়াবিন অর্থ

আওয়াবিন সালাত

আওয়াবিন নামাজের সময়সূচী

আওয়াবিন নামাজের ফজিলত কি

আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল

আওয়াবিন নামাজের সময় কখন

আওয়াবিন নামাজের ফজিলত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ