ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম । ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিস।

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম


ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম । ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিস।


আল্লাহ পাকের বরকতময় দুটি নাম হলো 'ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম'। যে নামকে হাদিসে এসমে আজম বলা হয়েছে।  ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ৫২১বার পড়ে দোয়া করলে তা আল্লাহ পাকের অশেষ দয়ায় কবুল হবে। 



Table of Contents

1. ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম এর ফজিলত। 

2. সকল রোগ মুক্তির দোয়া।

3. ইয়া হাইয়ু এর ফজিলত।

4. ইয়া কাইয়ুম এর ফজিলত।



ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম এর ফজিলত:

ইয়া হাইয়ু (يَا حَيُّ) হে চিরজীবন্ত!

• ইয়া হাইয়ু এই পবিত্র নাম ১০০বার পড়ে রোগীর উপর ফুঁক দিলে অথবা পানির উপর ফুঁক দিয়ে পানি খাওয়ালে রোগ সুস্থ হবে। এই আমল কয়েকদিন করা উপকারী। 

 ফেরেশতাগণ সর্বদা এই নাম জিকির করেন এবং এর বরকতে তাঁদের খাবার-দাবার ও ঘুমের প্রয়োজন হয় না। সর্বদা এই নামের জিকির করলে সকল প্রকার রোগ থেকে সুস্থ থাকা যায়।

• যে ব্যক্তি সর্বদা 'ইয়া হাইয়ু' এই পবিত্র নাম শরীফ পাঠ করিবে তাহার রূহানী শক্তি খোদার রহমতে বৃদ্ধি পাবে।

• অসুস্থ ব্যক্তি অধিকাংশ সময় 'ইয়া হাইয়ু'  নামটি পাঠ করলে আল্লাহর দয়ায় অতি সত্তর রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবে।

 • প্রতিদিন 'ইয়া হাইয়ু' ৭০ বার করলে আল্লার রহমতে আয় রুজিতে বরকত হবে।

• যদি কেউ অসুস্থ হয়, বা ঘরের কেউ অসুস্থ হলে, 'ইয়া হাইয়ু' পবিত্র নামটি ১০০০ বার পাঠ করুন اِنْ شَاء الله দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ 

দুরুদ শরিফের ফযিলত,  বরকত এবং আমল।

দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত। 

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

দরুদে তাজের ফযিলত ও বরকত। 

স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।

•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি। 

শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।

দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ। 

দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ। 

দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।

দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ। 

দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।

•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।

সকল রোগ মুক্তির দোয়া:

সকল রোগের জন্য নিছে লিখিত দোয়াটি লিখে গলায় বাঁধলে আল্লাহর দয়ায় সুস্থতা লাভ করবে!

এই নিছের দোয়াটি ৩ লক্ষ বার পাঠ করলে সে আল্লাহর রহমতে সব সময় সুস্থ থাকবে।

এই দোয়াটি সুরা ফাতিহা সহ ৪০টি চিনা মাটির প্লেটে লিখে ৪০দিন রুগীকে ধুয়ে পান করালে, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের উপকার হবে, লা ইলাজ বিমারী অর্থাৎ যে রুগির আশা নাই, এমন ব্যক্তিও আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে যাবে।

সকল রোগমুক্তির দোয়াটি এইঃ-

يا حي حين لاحي في ديمومة ملكه و بقائه  يا حى

বাংলা উচ্চারণ: ইয়া হাইয়ু হিনা লা ইয়ায়ুন ফি দাইমুমাতিন মুলকিহি ওয়া বাকায়িহি ইয়া হাইয়ু।

আরো পড়ুন:

• চাকরি পাওয়ার দোয়া ও ইন্টারভিউতে পাসের দোয়া। 

তারাবীহ নামাজের সকল দোয়া, তারাবির মুনাযাত, ও নিয়ম কানুন।

আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।

জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।

নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।

•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সব দোয়া বাংলায়। 

আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।

•দোয়ায়ে কুনুত শিখুন। দোয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।

•দোয়ায়ে মাসুরা শিখুন। দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।

দোয়া কুনুত এর মাসয়ালা  শিখার নিয়ম।

সকাল সন্ধ্যার আমল দোয়া ও ওয়াজিফা যিকির সমূহ।

( يَا حَيُّ ) ইয়া হাইয়্যু নামের ফজিলত:

১. যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০০০ বার এই পবিত্র নাম পাঠ করবে সে কখনো অসুস্থ হবে না।

২. যে ব্যক্তি চীনা মাটির পাত্রে মেশক ও জাফরানের পানি দ্বারা এ নাম লিখে মিষ্টি পানিতে ধুয়ে পান করবে অথবা কোনো রোগীকে পান করাবে, আল্লাহ চাইলে সে আরোগ্য লাভ করবে। 

( يَا قَيُّوْمُ )

ইয়া কুইয়ুম নামের ফজিলত:

• সাহরির সময় যে ব্যক্তি ইয়া কাইয়ুম এই নাম অধিক পরিমাণে পাঠ করবে, মানুষের মনে তার সম্মান বৃদ্ধি পাবে। নির্জনে বসে কেউ 'ইয়া কাইয়ুম' এ নাম পাঠ করলে সে আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করবে।

• ফজরের নাজাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কেউ ইয়া কাইয়ুম এ নাম পাঠ করলে তার অলসতা দূর হয়ে যাবে।

• যার ঘুম অত্যাধিক, কোনো ভাবেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারে না। অন্য লোক চেষ্টা করেও ঘুম ভাঙ্গাতে পারে না, সে ভোরে ঘুম থেকে উঠে  প্রতিদিন কয়েকবার ইয়া কাইয়ুম এ নামটির জিকির করলে তার অতিরিক্ত ঘুম  দূর করে দিবেন।

আরো পড়ুনঃ 

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।

•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।

মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।

দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।

• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।

• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।

নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া

গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ। 

জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।

•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।

 •ইয়া কাইয়ুম ( يَا قَيُّوْم ) সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত অগণিত ভাবে এই 'ইয়া কাইয়ুম' পবিত্র নাম পাঠ করবেন, আল্লাহ চাইলে  সমস্ত লোক তার অনুগত হয়ে যাবে।

• ইয়া কাইয়ুম পবিত্র নামটি মুশকিল আসানীর জন্য প্রতিদিন ২১ হাজার বার করে তিন দিনে মোট ৬৩ হাজার বার পাঠ করবে। আল্লার রহমতে মুশকিল আছান হবে। খেয়াল রাখতে হযবে,এই খতম পাঠকারীদের সংখ্যা তিন জনের অধিক না হওয়া চাই।

যে ব্যক্তি 'ইয়া কাইয়ুম' পবিত্র নামটি প্রতিদিন তিন শত বার করে পাঠ করবে আল্লাহ চাইলে, তার দিল সদা সর্বদা সন্তুষ্ট থাকিবে।

( يَا قَيُّومُ)

 যে ব্যক্তি সকালে 'ইয়া কাইয়ুম' অধিকহারে পাঠ করবে اِن شاء الله তার সম্মানের প্রভাব মানুষের অন্তরে প্রকাশ পাবে অর্থাৎ মানুষ তাকে পছন্দ করবে।

আরো পড়ুনঃ 

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

• দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া। দ্রুত বিয়ে হওয়ার সহজ আমল। 

(يَا تَيَّوْمٌ) ইয়া ক্বাইয়ুম

হে চিরস্থায়ী! প্রত্যহ সকাল বেলা এই নাম পড়লে, যাদের ঘুম বেশি তাদের অধিক ঘুম দূর হবে।

'ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম লা ইলাহা ইল্লা আংতা'

  (يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ) 

যে ব্যক্তি এই দোয়া টি ৪১বার প্রতিদিন পড়বে বাদে ফজর, ঐ ব্যক্তির অন্তর জীবিত থাকবে এবং সে ঈমানের সহিত মৃত্যু লাভ হবে।  (আল ওযীফাতুল করীমা, ২১ পৃষ্ঠা)

এই দোয়া ১০০বার পড়লে বিপদাপদ দূর হয়ে যায়।

ইসমে আজম বিশিষ্ট দোয়া:

হজরত সাইয়েদুনা আনাস বিন মালিক رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ বলেন, প্রিয়নবী রাসুলুল্লাহ ﷺ যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট বা চিন্তা, অস্থিরতা তথা হতাশাগ্রস্ত হতেন তখন বলতেন,

يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْتُ

বাংলা উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুমু বিরহমাতিকা আস্তাগিস। 

অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।

(মুসতাদরাকে হাকিম, মিশকাতুল মাসাবিহ, তিরমিযি-৩৫২৪;)

এই দোয়াটি অধিক পরিমানে পড়ুন সকল বিপদ দূর হবে, প্রতিদিন ১০০বার পাঠ করুন হায়ায় বাড়বে, মনের আশা পূরন হবে, দোয়া কবুল হবে। হাদিসে পাকে এই দোয়াকেও ইসমে আযম বলা হয়েছে।


কোনো দোয়া করার আগে, ১১বার দরুদ শরীফ পড়ে 'ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম' ৫২১ বার (পাঁচশত  একুশ বার) পড়ে দোয়া করলে কবুল হয়। এই আমল একাদারে ৪০দিন করলে আশা করাযায় কঠিন উদ্দেশ্য সফল হবে। 

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ঘুম থেকে উঠে ১১বার পড়লে রিজিকে বরকত হবে।

চাউল দানাদার পাখি খায় এমন শস্য দানা অথবা রুটির টুকরো ২৫বার ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম পড়ে সে খাবার পাখিকে খাওয়ালে আল্লাহ পাক মনের আশা পূরন করবেন, কঠিন কাজ সহজ হবে। ان شاء الله 


আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুনঃ 

খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়। 

•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও  ফযিলত

খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত।

•খতমে জালালী বা জালালী খতমের নিয়ম ফজিলত বরকত।

পুরুষের কাফন পরানো -দাফন করা, গোসল দেয়া ও জানাযার নিয়ম।

•মহিলাদের কাফন পরানো,  দাফন করা এবং গোসল দেয়ার নিয়ম।

জানাযার নামায শিক্ষা|জানাযার নামায পড়া ও পড়ানোর নিয়ম বাংলা।

•জানাযার নামাযের সকল দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ শিখে নিন।

গায়েবানা জানাযার ইসলামী হুকুম। গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে কিনা?

আল্লাহু ইয়া বাররু ৭ইয়াবার পড়লে কি হয়? এর ফজিলত ও বরকত।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ