দরূদে মাহী ফযীলত বরকত বাংলা

(1) দরূদে মাহী খুব কঠিন বিপদে, কঠিন দুরারোগ্য অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে ২১ দিনে অথবা ৪২ দিনে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পাঠ করলে আশ্চার্য অলৌকিক ফল পাওয়া যায়। এটি অত্যান্ত পরীক্ষিত আমল।

(2) দরূদে মাহী অযু সহকারে নদীর কিনারায় বসে পড়লে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়।আশা পূরণ হয়। এটি পরীক্ষিত আমল।

(3) প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর ৭ বার পাঠ করলে সব সময় সুস্থ থাকা যায়।

(4) প্রতিদিন ভোরে ৭বার দরূদে মাহী পাঠ করলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে এবং বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

(5) এই দরূদ শরিফ পাঠ করলে সকল নবী,ফিরিস্তা ও সলিহীন বান্দাদের দোয়া লাভ হয়।

(6) রোগ মুক্তির জন্য এই দরূদ শরিফের আশ্চর্য ফযিলত রয়েছে।

দরূদে মাহী আরবীঃ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ خَيْرُ الْخَلَائِقِ اَفْضَلُ الْبَشَرِ شَفِيْعِ الْاُمَّةِ يَوْمَ الْحَشْرِ وَ النَّشْرِ-

سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمِ لَّكَ وَصَلِّ عَلٰى جَمِيْعِ الْاَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ وَالْمَلَئِكَةِ الْمُقَرَّبِيْنَ-

وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ وَاَرْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ -

দরূদে মাহী বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুমা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন খাইরুল খালায়িক্বী আফদ্বালুল বাশারি শাফীয়িল উম্মাতি ইয়াওমাল হাশরি ওয়ান নাশরি, সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম্ বিয়াদাদি কুল্লি মা'লুমিল্লাকা, ওয়া সল্লি আলা জামীয়িল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীনা ওয়াল মালায়িকাতিল মুকাররাবীনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সলিহীনা, ওয়ারহামনা মাআহুম বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।

দরূদে মাহীর বাংলা অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি তোমার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব স্বীয় উম্মতগণের সুপারিশকারী, যাঁর পবিত্র নাম মুহাম্মদ (ﷺ), তাঁর উপর তোমার সৃষ্ট সকল জাহানের সৃষ্ট জিনিসের (বস্তুর) সংখ্যা পরিমাণ রহমত অবতীর্ণ কর। এবং তোমার প্রেরিত নবী, রসূল ও তোমার প্রিয় ফেরেশতাগণের ও ঈমানদার ব্যক্তিগণের উপর তোমার রহমত অবতীর্ণ কর।

দরূদে মাহী নাম করণের ঘটনাঃ

রাসুলে পাক(ﷺ)'র যামানায় একজন মুত্তাকী ব্যক্তি নদীর কিনারায় বসে সর্বদা এই দরূদ শরীফ পাঠ করতেন। ঐ নদীর একটি অসুস্থ মাছ এ দরূদ পাঠ সম সময় শুনতেন। সব সময় শুনতে শুনতে সে মাছটি এই দরূদ শরিফ শিখে ফেলে এবং পড়তে লাগল। ক্রমেই মাছটির রোগ আরোগ্য করতে লাগল এবং সে মাছের শরীরের রং স্বর্ণের রঙ হয়ে গেলো। একদিন এক ইহুদী জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ল। ইহুদীর স্ত্রী অনেক চেষ্টার পরও মাছটিকে কাটতে পারেনি। অবশেষে সে মাছকে ফুটন্ত গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হলো, কিন্তু মাছটি গরম তেলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে এই দরূদ শরীফ পড়তে লাগল। এটি দেখে ইহুদী খুবই আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেলো এবং মাছটিকে নিয়ে রাসুলে পাক (ﷺ)'র কাছে আসলো। রসুল (ﷺ) এর দোয়ায় মাছটির জবান খুলে গেলো এবং সম্পূর্ণ ঘটনা রাসুলে পাক (ﷺ)'র কাছে বর্ণনা করল। এটি শুনামাত্র সেখানে উপস্থিত ৭০ জন ইহুদী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ও রসূলে পাক (ﷺ) এর নবুয়তের উপর ঈমান আনলেন । পরবর্তীতে মাছটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হলো। একারণেই এ দরূদ শরীফ 'দরূদে মাহি' অর্থাৎ, মাছের দরূদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

দরূদে মাহীর ছবিঃ