শবে কদর (শবে কদর ২০২৪) শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে? শবে কদরের দোয়া। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত।

 শবে কদরের দোয়া ও শবে কদর কত তারিখে?

শবে কদর কত তারিখে


শবে কদর হাজার মাসের চেয়েও দামী একটি রাত। যাতে আল্লাহ কারীম নিজ বান্দাদেকে দয়া, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির এবং জান্নাত লাভ সহ অসংখ্য রহমত ও নেয়ামত দ্বারা ধন্য করেন। 

উম্মুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهَا বলেন: আমি প্রিয় নবী صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর বরকতময় খিদমতে আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ! যদি আমি শবে কদর সম্পর্কে জানতে পারি তবে আমি কি দোয়া পড়বো?" রাসুলে আকরাম صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: "তুমি এই ভাবে দোয়া করো: 

اَللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

(বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন কারীম,  তুহিব্বুল আফওয়া ফা'য়াফু আন্নি।)

অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করা পছন্দ করো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।(তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৩০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৫২৪)

আরো পড়ুন গুরুত্বপূর্ণ সকল পোস্ট:

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

• দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া। দ্রুত বিয়ে হওয়ার সহজ আমল। 

শবে কদরের অলৌকিক ঘটনা:

বনী ইসরাঈলের এক বুযুর্গ হযরত শামউন رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ হাজার মাস ধরে এভাবে ইবাদত করেছেন যে, রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং দিনে রোযা রাখতেন এবং রোজার পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার পথে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়তেন।

তিনি এতোই শক্তিশালী ছিলেন যে, লোহার ভারী ও শক্ত শিকল হাতে ভেঙ্গে ফেলতেন। অপদস্ত কাফিররা যখন দেখলো যে, হযরত শামউন رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ এর বিরুদ্ধে কোন চক্রান্তই কাজে আসছেনা, তখন পরস্পর পরামর্শ করার পর অনেক ধন সম্পদের লোভ দেখিয়ে তাঁর স্ত্রীকে এই বিষয়ে সম্মত করলো যে, সে কোন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সুযোগ পেলে তাঁকে খুবই মজবুত রশি দিয়ে বেঁধে তাদের নিকট সমর্পণ করে দেবে। অবিশ্বস্থ স্ত্রী তাই করলো। যখন তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ জাগ্রত হলেন এবং নিজেকে রশিতে বন্দী অবস্থায় পেলেন, তখন দ্রুত নিজের শরীরকে নাড়া দিলেন, তখন দেখতে না দেখতেই রশিগুলো ছিঁড়ে গেলো এবং তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ মুক্ত হয়ে গেলেন। অতঃপর তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন: "আমাকে কে বেঁধেছে?” অবিশ্বস্থ স্ত্রী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলে দিলো যে, আমিতো আপনার শক্তির পরীক্ষা করার জন্য এমন করেছিলাম। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে গেলো।

অবিশ্বস্থ স্ত্রী আবারো সুযোগের অপেক্ষায় রইলো। একবার আবারো যখন তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ গভীর নিদ্রায় বিভোর হলেন, তখন ঐ নিষ্ঠুর স্ত্রী তাঁকে লোহার শিকল দিয়ে ভালভাবে বেঁধে ফেললো। যখনই তাঁর ঘুম ভঙ্গলো, তখন তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ এক টানে শিকলের একেকটা কড়া ছিন্ন করে ফেললেন এবং মুক্ত হয়ে গেলেন। স্ত্রী এটা দেখে অস্থির করে উঠলো কিন্তু পুনরায় প্রতারণা করে একই কথা বললো যে, "আমি তো আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম।” কথা প্রসঙ্গে হযরত শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالَى عَلَيْهِ তাঁর স্ত্রীর নিকট নিজের রহস্য ফাঁস করে বললেন: আমার প্রতি আল্লাহ তায়ালা বড়ই অনুগ্রহ, তিনি আমাকে তাঁর বেলায়াতের মর্যাদা দান করেছেন, আমার উপর দুনিয়ার কোন জিনিষই প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা, কিন্তু "আমার মাথার চুল" ছাড়া। চালাক স্ত্রী সব কথা বুঝে গেলো।

আহ! তার স্ত্রীকে দুনিয়ার ভালবাসা অন্ধ করে দিয়েছিলো। অবশেষে একবার সুযোগ পেয়ে সে শামউন رَضِىَ اللّٰهُ عَنْهُ কে তার মাথার আটটি  চুল দিয়ে বেধে নিলো, যেগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল মাটি পর্যন্ত। (তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ ছিলেন পূর্ববর্তী উম্মতের বুযুর্গ, আমাদের প্রিয় নবী মুস্তফা صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর চুলের সুন্নাত হলো, অর্ধ কান, পুরো কান এবং মোবারক কাঁধ পর্যন্ত, কাঁধের নিচে পর্যন্ত পুরুষের চুল বৃদ্ধি করা হারাম।)  তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ চোখ খুলেই খুবই শক্তি প্রয়োগ করলেন, কিন্তু মুক্ত হতে পারলেন না। দুনিয়ার সম্পদের নেশায় মত্ত হয়ে অবিশ্বস্থ মহিলা নিজের নেক ও পরহেযগার স্বামীকে শত্রুদের হাতে তুলে দিলো। দুষ্ট কাফিররা হযরত শামউন )رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ কে একটি খুঁটির সাথে বেঁধে ফেললো এবং অত্যন্ত নির্মমভাবে তাঁর ঠোঁট ও কান কেটে ফেললো। তখন এই নেক বান্দা আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করলো যে, তাঁকে যেন এই বাঁধন খোলার শক্তি দান করা হয় এবং আল্লাহ তায়ালা সেই কাফেরদের উপর ঘরের ছাদ সহ এই খুঁটি ধ্বসিয়ে দেয় আর তাদের থেকে তাঁকে যেন মুক্তি দেয়। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা শামউন  رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ কে শক্তি দিলেন, তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ নাড়া দিলে সেই বাঁধন খুলে গেলো, তখন তিনি رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ সেই খুঁটিটি নাড়লেন, যার কারণে ছাদটি কাফেরদের উপর ধ্বসে গেলো এবং তারা সবাই ধ্বংস হয়ে গেলো আর সেই নেক বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা মুক্ত করে দিলেন। (মুকাশাফাতুল কুলুব থেকে সংক্ষেপিত, ৩০৬ পৃষ্ঠা) আর বনি ইসরাইলের এই  আল্লাহর ওলীর এক হাজার মাস  ইবাদতের সমান সাওয়াব আল্লাহ আমাদের উম্মতে মুহাম্মদিকে এক রাতেই দান করেছেন, সেটি হলো শবে কদর। سبحان الله


আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো পড়ুন:

চাকরি পাওয়ার দোয়া ও ইন্টারভিউতে পাসের দোয়া। 

তারাবীহ নামাজের সকল দোয়া, তারাবির মুনাযাত, ও নিয়ম কানুন।

আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।

জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।

নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।

•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সব দোয়া বাংলায়। 

আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।

•দোয়ায়ে কুনুত শিখুন। দোয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।

•দোয়ায়ে মাসুরা শিখুন। দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।

দোয়া কুনুত এর মাসয়ালা  শিখার নিয়ম।

সকাল সন্ধ্যার আমল দোয়া ও ওয়াজিফা যিকির সমূহ।

শবে কদরের ফজিলত (লাইলাতুল কদরের ফজিলত)

বায়হাকী শরিফের হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত নবিয়ে করিম (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) বলেছেন, শবে কদরের রাতে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে হযরত জিবরাইল (عليه السلام) একদল ফেরেশতাকে সাথে নিয়ে  জমিনে আগমন করেন, তাদের সাথে একটি সবুজ বর্ণের পতাকা থাকে,সেই পতাকার নিশানকে কাবা ঘরের ছাদের উপর পুতে রাখা হয়। অতঃপর জিবরাইল (عليه السلام) রহমতের দুইটি বাজু (ডানা) পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম  পর্যন্ত বিছিয়ে দেন। পরে ফেরেশতাগণ এই শবে কদরের রাতে প্রত্যেক নামাযীকে ছালাম ও মুসাফাহা করে থাকেন এবং নফল নামাযী ও ইবাদত কারীদের দোয়া কবুলের জন্য ফেরেস্তারা আল্লাহ তায়ালার নিকট সুবহে সাদিক পর্যন্ত প্রার্থনা করতে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ 

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।

•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।

মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।

দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।

• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।

• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।

নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া

গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ। 

জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।

•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।

কাসিদায়ে গাউসিয়া এর আমল ও ফজিলত বাংলা


নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতকে শবে কদর দান করেছেন এবং এই রাত তোমাদের আগে আর কোন উম্মতকে দান করেননি।

(আল ফিরদাউসু বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ১৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬৪৭)

হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুজাহিদ رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ বলেন, বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি সারা রাত ইবাদত করতো এবং সারা দিন জি*হা*দে লিপ্ত থাকতো আর এভাবে সে হাজারো মাস অতিবাহিত করে দিয়েছিলো, তাই আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে মোবারাকা অবতীর্ণ করেন:  

لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ اَلْفِ شَهْرٍ 

 অনুবাদ: কদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম।

 অর্থাৎ শবে কদরের কিয়াম (অর্থাৎ রাত জেগে নামায) এই  ইবাদতকারী শামাউন আবিদের এক হাজার মাস ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (তাফসীরে তাবারী, ২৪তম খন্ড, ৫৩৩ পৃষ্ঠা)


রাসুলে আকরাম صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন,  যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান ও একনিষ্ঠতার সাথে কিয়াম করলো (অর্থাৎ নফল নামায পড়লো), তবে তার পূর্ববর্তী সকল সগীরা গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারী, ১ম খন্ড, ৬৬০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২০১৪)


প্রিয়নবী صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم যখন রমযানুল মোবারকের শেষ দশদিন আসতো, তখন ইবাদতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন, এর মধ্যে রাতে জাগ্রত থাকতেন এবং নিজ পরিবারের সদস্যদেরকে ইবাদতের জন্য জাগাতেন। (ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ৩৫৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৭৬৮)

হযরত সায়্যিদুনা ইসমাঈল হক্কী رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ উদ্ধৃত করেন: বুযুর্গানে দ্বীন رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى এ দশদিন প্রতি রাতে দু'রাকাত নফল নামায শবে কদরের নিয়‍্যতে পড়তেন। তাছাড়া পূর্ববর্তী কিছু সংখ্যক বুযুর্গ থেকে উদ্ধৃত, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে কোরআন শরিফের  মাত্র দশ আয়াত শবে কদরের নিয়‍্যতে পড়ে নিবে, তবে এর বরকত ও সাওয়াব থেকে সে বঞ্চিত হবে না।

হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ বলেন: একবার যখন রমযান মাস আসলো তখন  রাসুলে আকরাম صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: তোমাদের নিকট এমন এক মাস এসেছে, যাতে একটি রাত এমনও রয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত হয়েছে, যেন সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং যদি এই রাতকে সে পেত, তবে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হতো না, কিন্তু যে এই রাতকে পেলো না, সে ব্যক্তি আসলেই বঞ্চিত হয়েছে। (ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৬৪৪)


আরো পড়ুনঃ 

খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়। 

•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও  ফযিলত

খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত।

•খতমে জালালী বা জালালী খতমের নিয়ম ফজিলত বরকত।

খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া এর ফজিলত ও আমলের নিয়ম। 

পুরুষের কাফন পরানো -দাফন করা, গোসল দেয়া ও জানাযার নিয়ম।

•মহিলাদের কাফন পরানো,  দাফন করা এবং গোসল দেয়ার নিয়ম।

জানাযার নামায শিক্ষা|জানাযার নামায পড়া ও পড়ানোর নিয়ম বাংলা।

•জানাযার নামাযের সকল দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ শিখে নিন।

গায়েবানা জানাযার ইসলামী হুকুম। গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে কিনা?

শবে কদরের নফল নামায সমূহ

হযরত সায়্যিদুনা ইসমাঈল হক্কী رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ “তাফসীরে রুহুল বয়ান” এর মধ্যে এ বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেছেন: যে ব্যক্তি শবে কদরের রাতে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়্যতে নফল নামায পড়বে, তার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে। (তাফসিরে রুহুল বয়ান, ১০ম খন্ড, ৪৮০ পৃষ্ঠা)

শবে কদর কত তারিখে? লাইলাতুল কদর কত তারিখে? 

উম্মুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهَا থেকে বর্ণিত; নবী করীম, صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: "শবে কদরকে রমযানুল মোবারকের শেষ দশদিনের বিজোড় রাতগুলোতে (অর্থাৎ একুশতম, তেইশতম, পঁচিশতম, সাতাইশতম ও ঊনত্রিশতম রাতে) অন্বেষণ করো।” (বুখারী, ১ম খন্ড, ৬৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২০১৭)

হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا থেকে বর্ণিত:  হুযুর পুরনূর 

 صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর কিছু সাহাবায়ে কিরাম عَلَيْهِمُ الرِّضْوَان কে শেষ রাতে শবে কদর দেখানো হয়েছে।  হুযুর পুরনূর صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: "আমি দেখছি যে, তোমাদের স্বপ্ন শেষ সাত রাতে সম্মত হয়ে গেছে। তাই এর অন্বেষণকারীরা যেনো তা শেষ সাত রাতে অন্বেষণ করে।” (বুখারী, ১ম খন্ড, ৬৬০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২০১৫)

শবে কদরের নামাজ কত রাকাত?

সাতাশ তারিখ রাতে দু'রাকাত নামায পড়বে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সাত বার করে সূরা ইখলাস পড়বে এবং সালাম ফিরিয়ে সত্তর বার নিম্মোক্ত তাসবিহ পাঠ করবে।

أَسْتَغْفِرُ اللَّهُ الْعَظِيمَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ.

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল আজী-ম, আল্লাজী লা ইলা-হা ইল্লাহুয়াল হায়্যুল কায়্যুম ওয়া আতু-বু ইলাইহি।

ইনশাআল্লাহু তা'আলা এই নামাযিকে তার নামাজের মুসল্লা থেকে উঠার আগেই তার এবং তার পিতামাতার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। এবং আল্লাহ তা'আলা ফেরেশতাদেরকে এই নামাযির জন্য জান্নাত সুসজ্জিত করার নির্দেশ দেবেন। আরো বলেছেন যে, এই নামাযি যতক্ষণ  স্ব-চোখে বেহেশতের নেয়ামত দেখবেন না, ততক্ষণ তার মৃত্যু হবে না। গুনাহের মাগফিরাতের জন্য এই নামায খুবই উত্তম।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম:

সাতাশ তারিখ রাতে দু'রাকাত নামায পড়বে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর একবার করে সূরা আলাম নাশরাহ এবং তিনবার করে সূরা ইখলাস পড়বে। সালাম ফিরিয়ে সাতাশ বার সূরা ক্বদর পড়বে। ইনশাআল্লাহ তা'আলা এই নামাযি অসংখ্য ইবাদতের সাওয়াব পাবে।


যে ব্যক্তি দু'রাকাত নামায পড়বে, সূরা ফাতিহার পর প্রত্যেক রাকাতে একবার সূরা ক্বদর, তিনবার সূরা ইখলাস পড়বে, সে ব্যক্তি শবে ক্বদরের সাওয়াব অর্জন করবে। সে ব্যক্তিকে হযরত শুইয়াব আলাইহিস সালাম, হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম, হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম এবং হযরত নুহ আলাইহিস সালামের ন্যায় সাওয়াব দেয়া হবে। তাকে পূর্ব-পশ্চিম সমান দূরত্বের একটি জান্নাতী শহর দেয়া হবে। (কিতাব: ফাযায়িলুশ শুহুর ওয়াল আইয়াম)

হুজুর সাল্লাল্লাহ তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শবে কুদরে দু'রাকাত নামায পড়বে, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস সাতবার পড়বে এবং নামায শেষে

أَسْتَغْفِرُ اللَّهِ الْعَظِيمَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ.

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্ আজী-ম আল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লাহ হুয়াল হায়্যুল কায়্যুমু ওয়া আতু-বু ইলাইহি।

সত্তর বার পড়বে, তখন এই নামাযি মুসল্লা থেকে উঠার আগেই তার এবং তার মাতা-পিতার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর তার জন্য বেহেশতে ফলের গাছ রোপণ করার নির্দেশ দেয়া হবে। জান্নাতে প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে এবং জান্নাতের ফোয়ারা ঝর্ণা প্রস্তুত করা হবে। এই নামাযি যতক্ষণ স্বচক্ষে এই নেয়ামত সমূহ না দেখবে ততক্ষণ তার মৃত্যু আসবে না। (তাফসীরে ইয়াকুব সরখী)


যে ব্যক্তি চার রাকাত নামায পড়বে। সে নামাযির মৃত্যুর কষ্ট সহজ হয়ে যাবে। কবরের শাস্তি মউকুফ হবে। সে ব্যক্তি জান্নাতের চার হাজার প্রাসাদের মালিক হবে। (নুযহাতুল মাজালিস, খন্ড: ০১;)

যে ব্যক্তি রমযানের সাতাশ তারিখ রাতে চার রাকাত নামায পড়বে, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর তিন বার এবং সূরা ইখলাস তিন বার পড়বে নামায শেষ করে 

 سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। ১০০বার পড়বে, সে যে দোয়া করবে তা পূর্ণ হবে।

যে ব্যক্তি রমযানের সাতাশ তারিখ রাতে চার রাকাত নফল নামায পড়বে, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর একবার করে এবং সূরা ইখলাস সাতাশবার করে পড়বে, সে লোক সদ্য প্রসূত শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে যাবে এবং তার জন্য জান্নাতে এক হাজার প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে।

হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের সাতাশ তারিখ রাতে ইশার নামাযের পর সাতাশ বার সূরা ক্বদর পড়বে, সে সকল মুসিবত থেকে মুক্তি পাবে এবং হাজার ফেরেশতা তার জন্য জান্নাত লাভের দোয়া করবে। (গুনিয়াতুত ত্বলেবীন, নুযহাতুল মাজালিস, ফাযায়িলুশ শুহুর ওয়াল আইয়াম।)

সাতাশ তারিখ রাতে সাতবার সূরা হা-মী-ম পড়লে তা কবরের আজাব এবং গুনাহ ক্ষমার জন্য সর্বোত্তম মাধ্যম হবে।

সাতাশ তারিখ রাতে সূরা মুলক সাতবার পড়া গুনাহ মাফের জন্য বড় উপাকারী।

শবে কদরের নামাজের নিয়ত:

"নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা রাকআ'তাই সলাতিল লাইলাতিল কদরিন নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। 

 শবে কদরের নামাজের বাংলায় নিয়ত: 

আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবর।


আরো পড়ুনঃ 

আল্লাহু ইয়া বাররু ৭ইয়াবার পড়লে কি হয়? এর ফজিলত ও বরকত।

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম এর শ্রেষ্ঠ ফজিলত ও আমল।

• শবে কদরের দোয়া ও শবে কদরের ফজিলত নামাজের নিয়ম

রমজানের গুরুত্বপূর্ণ সকল আমল সমূহ। 

এই বছরের ফিতরা কত টাকা ও ফিতরা দেয়ার সঠিক নিয়ম।


জেনেনিন সকল জেলার নামাযের ও সেহরি ইফতারের সঠিক সময়সূচিঃ

সকল জেলার মাগরিবের নামাযের শেষ সময় জানুন 

আপনার জেলার ফজরের নামাযের শেষ সময় জেনে নিন।

আজকের ইফতারের সঠিক সময় ও সেহরির শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের আসরের নামাযের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের ইশারের নামাযের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের যোহরের নামাযের শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 


সাওয়াবের নিয়তে আপনার ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপ, ইমু, মেসেঞ্জার,টেলিগ্রাম সহ সকল সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

মানুষ আরো খোঁজে :

শবে কদর

শবে কদর ২০২৪

শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে

শবে কদররে ফজিলত

শবে কদররে নামাজ

শবে কদররে নামাজের নিয়ম

শবে কদররে নামাজ কত রাকাত

শবে কদররে দোয়া

শবে কদররে নামাজের নিয়ত

শবে কদররে নামাজ পড়ার নিয়ম

শবে কদর নামাজের নিয়ম

শবে কদররে নিয়ত

শবে কদর ২০২৩

শবে কদররে নামাজের নিয়ম ও দোয়া

শবে কদররে আমল

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ