রমজানের গুরুত্বপূর্ণ সকল আমল সমূহ:
সেহরীর সময়ের অমূল্য দোয়া:
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ الْحَيُّ الْقَيُّومُ القَائِمُ عَلَى كُلِّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ
রাসুলে আকরাম (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সাহরীর সময় সাতবার এই দোয়া পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে আসমানের প্রতিটি তারকার বিনিময়ে এক হাজার নেকী দান করবেন, এক হাজার গুনাহ মুছে দেবেন এবং তার মর্যাদাকে একহাজার গুন বাড়িয়ে দিবেন।
(আনিসুল ওয়ায়িযীন- ফারসী কিতাব)
আরো পড়ুনঃ
•দুরুদ শরিফের ফযিলত, বরকত এবং আমল।
•দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত।
•সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম।
•স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।
•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ।
•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি।
•শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।
•দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ।
•দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ।
•দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।
•দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ।
•দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।
•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।
প্রথম রমযানের আমল
রোজগারে বরকতের আমল:
মালফুজাতে আমীরে আহলে সুন্নাত دامت برکاتہم العالیہ
রমযানের চাঁদ দেখা গেলে মাগরীবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ২১বার সূরা কদর পাঠ করবে, তার রোজগারে এমন বরকত হবে, যেমন উজান থেকে দ্রুততার সহিত ভাটার দিকে পানি প্রবাহিত হয়, তেমনি দ্রুততার সহিত তার রোজগার (ধন সম্পদ) বৃদ্ধি পাবে এবং তার অভাব দূর হয়ে যাবে। এবং যে এই রাতে সূরা মূলক পাঠ করবে তার ৩০টি আয়াতের উসিলায় সারা মাস বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
ان شاء اللہ
রমজানের ইবাদত সমূহ:
মাহে রমযানুল মোবারকের মূল আমল হলো, আল্লাহর ফরজ হুকুম ও নবিয়ে পাক (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) এর সুন্নাত আমলের নিয়তে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়, পরকালে ক্ষমা লাভের আশায় রোযা রাখা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআন মাজিদের সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এই মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে রোজা পালন করে। (সূরা আল বাকারা, আয়াত নং- ১৮৫;)
আর রোজার ফজিলতের ব্যপারে আমাদের নবী, রাসূলে আরাবী (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে রোজা পালন করবে, তার অতীতের সকল গুনাহকে মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী শরীফ, হাদিস নং-২০১৪;)
সহীহ মুসলিম শরীফেত হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলে আকবার, উম্মতের সুপারিশকারী নবী (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন, যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা পালন করবে, তার সেই রোজার দ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে (নিরাপদ) রাখবেন। (সহীহ মুসলিম শরীফ,হাদিস নং- ২৭৬৭;)
আরো পড়ুনঃ
•ছোট ছেলে বাবুর আধুনিক ইসলামিক সুন্দর নাম।
•ছোট মেয়ে বাচ্চার ইসলামিক আধুনিক সুন্দর নাম।
•'আ' দিয়ে বাচাইকরা ছেলেবাবুর ইসলামিক আধুনিক নাম
•বাচাইকরা আনকমন ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নাম।
•আধুনিক স্টাইলিশ ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
•আরিয়ান নামের অর্থ কি? আরিয়ান নাম কি হিন্দু নাকি মুসলিম নাম?
•আয়াত নামের অর্থ কি? আয়াত নামের ব্যখ্যাগুলো জানুন।
• মুনতাহা নামের অর্থ কি? মুনতাহা নামের সকল তথ্য ও ব্যাখ্যা।
•রাইসা নামের অর্থ কি? রাইসা নাম কোরআনে আছে কিনা?
•আয়ান নামের অর্থ কি? আয়ান নাম ভাগ্য কেমন জানুন।
•মিম নামের অর্থ কি? মিম নাম কি মরিয়ম নামের হিব্রু ভাষা থেকে আসছে?
•সাদিয়া নামের অর্থ কি?সাদিয়া নামের মানুষ কেমন হয়।
রমজানের ফজিলত এর ব্যপারে হাজারো হাজার হাদিস শরিফ রয়েছে, মোট কথা হচ্ছে এটাই, রমজান মাসের মূল ইবাদত হলো রোজা রাখা, সিয়াম সাধনা করা। যাতে গরিব দুঃখি মানুষের কষ্ট অনুভব হয়, এবং নিজ শরীরের ক্ষতিকর উপাদান গুলো শেষ হয়, এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ হয়।
মাহে রমজানে সেহরী খেতে উঠার পর, যদি প্রথমেই অজু করে সুযোগ হলে সেহরী খাওয়ার আগেই ২ রাকাত, ৪ রাকাত, ৬ রাকাত, ৮রাকাত, ১০ রাকাত, সর্বোচ্চ ১২ রাকাত তাহাজ্জুদ নামায আদায় করে নিন। কেননা রমজানে সেহরী খাওয়ার জন্য উঠাতে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ।
হাদিস শরিফে এসেছে,
হযরত সাইয়্যেদুনা আবু হুরায়রা (رَضِىَ اللّٰهُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত, রাসুলে আকরাম (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) বলেছেন,
‘ফরয নামাযেরর পর, আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম পছন্দনীয় নামায হলো, রাতের বেলার তাহাজ্জুদের নামায। (সহীহ মুসলিম শরিফ, হাদিস নং- ২৮১২;)
মাহে রমজানে নেক আমলের কাজসমূহকে বাড়িয়ে দেয়া:
কেননা প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালার এক স্পেশাল ফেরেশতা আসমান থেকে ডাকতে থাকে, আর বলতে থাকে, নেক কাজ ও নেক আমলকারীদেরকে নেক আমল বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।
যেমন হাদিসে নববীতে এসেছে, হযরত সাইয়্যেদুনা আবু হুরাইরা رَضِىَ اللّٰهُ عَنْهُ ইরশাদ করেছেন,জামে ও সুনানে তিরমিজি শরিফের ৬৮৪নং হাদিস শরিফে বর্ণিত রয়েছে, প্রিয় রাসুলে আকরাম (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন, ‘নাহে রমজানের প্রতিটি রাতে একজন ঘোষণাকারী ফেরেস্তা এ বলে, ঘোষণা করতে থাকে যে, হে খায়ের ও কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরো এগিয়ে যাও! হে অসৎ কাজের পথিক, তুমি অন্যায় পথে চলা বন্ধ করো। (তুমি কি জান?) এই রমজান মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন? আল্লাহু আকবার। আমাদের উচিত এই মাসে নেকির কাজকে আরো বাড়িয়ে দেয়া, নেকির কাজে সহযোগিতা করা।
মাহে রমজানে সেহরী খেতে উঠার পর, যদি প্রথমেই অজু করে সুযোগ হলে সেহরী খাওয়ার আগেই ২ রাকাত, ৪ রাকাত, ৬ রাকাত, ৮রাকাত, ১০ রাকাত, সর্বোচ্চ ১২ রাকাত তাহাজ্জুদ নামায আদায় করে নিন। কেননা রমজানে সেহরী খাওয়ার জন্য উঠাতে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ।
হাদিস শরিফে এসেছে,
হযরত সাইয়্যেদুনা আবু হুরায়রা (رَضِىَ اللّٰهُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত, রাসুলে আকরাম (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) বলেছেন,
‘ফরয নামাযেরর পর, আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম পছন্দনীয় নামায হলো, রাতের বেলার তাহাজ্জুদের নামায। (সহীহ মুসলিম শরিফ, হাদিস নং- ২৮১২;)
•চাকরি পাওয়ার দোয়া ও ইন্টারভিউতে পাসের দোয়া।
•তারাবীহ নামাজের সকল দোয়া, তারাবির মুনাযাত, ও নিয়ম কানুন।
•আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।
•জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।
•নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।
•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সব দোয়া বাংলায়।
•আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।
•দোয়ায়ে কুনুত শিখুন। দোয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।
•দোয়ায়ে মাসুরা শিখুন। দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।
দোয়া কুনুত এর মাসয়ালা শিখার নিয়ম।
•সকাল সন্ধ্যার আমল দোয়া ও ওয়াজিফা যিকির সমূহ।
তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের জন্য জান্নাতের জাঁকজমকপূর্ণ ঘর
হযরত আলী (رَضِىَ اللّٰهُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত, রাসুলে পাক صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন, “জান্নাতে এমনও ঘর রয়েছে যার বাহিরের অংশ ভিতর থেকে দেখা যায় ও ভিতরের অংশ বাহির থেকে দেখা যায়। তখন এক বেদুঈন (আরব্য গ্রাম্য লোক) দাঁড়িয়ে আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم
এই ঘর কার জন্য?
রাসুলে পাক
(صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّم)
ইরশাদ করলেন:
এটা ঐ ব্যক্তির জন্য যে নম্র কথা বলে, মানুষদেরকে খাবার খাওয়ায়, লাগাতার রোযা রাখে, এবং রাতে যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে, তখন সে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহ্ তাআলার জন্য (তাহাজ্জুদের) নামায আদায় করে।
(সুনানে তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, ২৩৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৫৩৫ ও শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৪০৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৮৯২)
রমযানে রোযাদারকে ইফতার করানো:
মানুষ সর্বদা কল্যাণের সহিত থাকবে, যতদিন দ্রুত ইফতার করবে।
(বুখারী, ১ম খন্ড, ৬৪৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৯৫৭)
যে ব্যক্তি হালাল খাবার কিংবা পানীয় দ্বারা (কোন মুসলমানকে) রোযার ইফতার করালো, ফিরিশতারা মাহে রমযানের সময়গুলোতে তার জন্য ইস্তিগফার করেন(ফেরেস্তারা তার জন্য তার গুনাহগুলোর মাফ চায়) এবং জিব্রাঈল (عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَام) শবে কদরে তার জন্য ইস্তিগফার করেন।
(মু'জামু কবীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬১৬২)
যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রমযানে রোযার ইফতার করায়, রমযানের সমস্ত রাতে ফিরিশতারা তার উপর রহমত প্রেরণ করেন এবং শবে কদরে জিব্রাঈল (عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَام) তার সাথে মোসাফাহা করেন আর যার সাথে হযরত জিব্রাঈল (عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَام) মোসাফাহা করে নেন, তার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যায় এবং তার অন্তর নরম হয়ে যায়।"
(জমউল জাওয়ামে', ৭ম খন্ড, ২১৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২২৫৩৪)
যে ব্যক্তি রোযাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে আমার হাওযে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন, ফলে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সে পিপাসার্ত হবে না।
(সগীহ ইবনে খুযাইমা, ৩য় খন্ড, ১৯২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৮৮৭)
যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রোযার ইফতার করে, তবে যেন খেজুর কিংবা খোরমা খেজুর দিয়ে ইফতার করে, কেননা তা হচ্ছে বরকত এবং যদি না থাকে তবে পানি দ্বারা করবে, কেননা তা পবিত্রকারী।"
(তিরমিযী, ২য় খন্ড, ১৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬৯৫)
•রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
•শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।
•৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।
•আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।
•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
•ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।
•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।
•মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।
•দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।
• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।
• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।
•নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া।
•গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ।
•জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।
•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।
তারাবির নামাজের হাদিস ও ফজিলত
রাসুল (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم)ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের নিয়তে রমযানের রাতে তারাবির নামায আদায় করে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (সহীহ বুখারি শরীফ,হাদিস নং ২০৪৭;)
রাসুলে পাক (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم)ইরশাদ করেছেন,
যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রোজা রাখে, তারাবি নামাজ পড়ে এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করে, তার জীবনের আগের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(মিশকাত শরিফ, হাদিস নং- ১৮৬২;)
রমজানে কবর জিয়ারতের ফজিলত
রাসুলে আকরাম(صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতরা কবরে গুনাহ্ নিয়ে প্রবেশ করবে, আর তারা কবর থেকে বের হবে, গুনাহবিহীন অবস্থায়। কেননা, মু'মিনদের দোয়ার কারণে (কবর জিয়ারতের কারণে) তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
(আল মুজামুল আওসাত, ১ম খন্ড, ৫০৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ১৮৭৯)
রাসুলে পাক (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন, কবরে মুর্দাদের অবস্থা হচ্ছে; পানিতে ডুবন্ত মানুষের মত, সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে, তার মা-বাবা,ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের দোয়া করার দিকে। কেউ যখন দোয়া পাঠিয়ে থাকে, তখন সেটি তার জন্য দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু রয়েছে সব কিছু থেকে উত্তম হিসেবে কবুল হয়। কবরবাসীদের জন্য তার আত্মীয়দের পাঠানো হাদিয়ার সাওয়াবকে আল্লাহ্ তাআলা পাহাড়ের সমতুল্য করে তাদের দান করেন। মৃতদের জন্য জীবিতদের বড় উপহার হচ্ছে, মৃতদেত মাগফিরাতের (গুনাহ মাফের) দোয়া করা।
(শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ২০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭৯০৫)
পবিত্র হাদিসে পাকে বর্ণিত রয়েছে, রাসুলে পাক (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের আগে কবর-যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। (এখন ঐ নিষেধাজ্ঞা রহিত করা হচ্ছে) এখন তোমরা বেশি বেশি কবর যিয়ারত কর! কারণ কবর জিয়ারত দুনিয়ার মোহ মায়া দূর করে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুনানে ইবনে মাজাহ শরিফ, হাদিস নং- ১৫৭১; মিশকাত শরিফ, ১ম খন্ড,পৃষ্ঠা নং ১৫৪;)
রমজানে তাওবা ইস্তেগফার এর আমল
হযরত সায়্যিদুনা জুবাইর বিন আওয়াম( رَضِىَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম (صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন: যে ব্যক্তি এই কথাকে পছন্দ করে যে, কিয়ামতের দিন তার আমল নামা তাকে খুশী করে দিক, তবে তার উচিত দুনিয়াতে বেশি পরিমাণ ইস্তিগফার (তাওবার দোয়া) পাঠ করা করা।”
(মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ১০ম খন্ড, ৩৪৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৭৫৭৯)
রমজানে দরূদ শরিফের আমল:
উম্মতের মায়ায় দরদী, নবি করীম (صَلَّى اللَّهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন: হে মানুষেরা! নিশ্চয়ই কিয়মাতের দিনের ভয়াবহতা ও হিসাব-নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়াতে আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করবে।
(ফিরদাউসুল আখবার, ২য় খন্ড, ৪৭১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৮২১০)
রমজানে বেশি কালিমা শরিফ পড়ার আমল:
হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; রাসুলে মাকবুল (صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّم) ইরশাদ করেছেন:, যেই বান্দা ইখলাসের সাথে (তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) ُلَا اِلهَ إِلَّا اللهُ مُحَمَّد رَّسُوْلُ اللّٰهِ বললো তবে আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়। এমনকি তা আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যদি সে কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।
(সুনানে তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৩৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬০১)
যে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কালেমা শরিফ পাঠ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।সহীহ বুখারী শরিফ।
রমজানে আল্লাহর যিকির বেশি করার আমল।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রেখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরগুলো প্রশান্ত হয়। (সুরা রাদ, আয়াত নং- ২৮;)
অন্য আয়াতে আল্লাহ প্সক ইরশাদ করেছেন, যারা ঈমানদার তারা এমন যে যখন তাদের সামনে আল্লাহর নাম নেওয়া হয় তখন তাদের অন্তর ভীত হয়ে পড়ে।
(সুরা আনফাল, আয়াত নং- ২)
রাসুলে পাক(صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) বলেন, প্রত্যেক বস্তুকে (জিনিসকে) পরিষ্কার করার উপকরণ(পদ্ধতি) আছে। আর অন্তরের (কলবের) ময়লা পরিষ্কার করার উপকরণ (পদ্ধতি) হলো আল্লাহ পাকের যিকির করা।
(আত-তারগিব ওয়াত তারহিব : ২/৩২৭)
রাসুল (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم) বলেছেন, আল্লাহর জিকিরের চেয়ে আজাব থেকে বেশি নাজাত(মুক্তি) দানকারী আর কোনো আমল নেই।
(আল মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস নং- ১৬৭৪৫;)
রমযানে যিকিরের ফযীলত
আমীরুল মু'মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত যে, সরদারে দো'জাহান, মাহবুবে রহমান হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর রহমতপূর্ণ বাণী হচ্ছে: রমযান মাসে আল্লাহর যিকিরকারীকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং এই মাসে আল্লাহ তায়ালার দরবারে প্রার্থনাকারীরা বঞ্চিত থাকে না।
(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬২৭)
রমজানে কোরআন খতমের ফজিলত:
কুরআন তার তিলাওয়াত কারীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
হযরত সায়্যিদুনা আনাস رَضِىَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহর প্রিয় হাবীব صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিখায় এবং যা কিছু কুরআনে পাকে রয়েছে তার উপর আমল করে (অর্থাৎ কুরআন অনুযায়ী আমল করে), কুরআন শরীফ তার জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।”
(তারিখে দামেশক লি ইবনে আসাকির, ৪১তম খন্ড, ৩ পৃষ্ঠা, আল মু'জামুল কাবীর লিত তাবরানী, ১০ম খন্ড, ১৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১০৪৫০)
রমজানে দান সদকার ফজিলত:
রাসুলে পাক صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم বলেছেন, নিশ্চয়ই মানুষের সদকা,তাদের বিপদ-আপদের ৭০টি দরজা বন্ধ করে দেয়।
(আল মু'জামুল কবীর, ৪/২৭৪, হাদীস নং-৪৪০২)
অন্য হাদিসে এসেছে,
كُلُّ امْرِئٍ فِي ظِلِ صَدَقَتِهِ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ
অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন(নিজের সদকার ছায়ায় থাকবে, এমনকি মানুষের মাঝে ফয়সালা করে দেয়া হবে।
(আল মু'জামুল কবীর, ১৭/২৮০, হাদীস নং-৭৭১)
প্রিয়নবী صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, সদকা প্রদানকারীকে সদকা কবরের গরম (আযাব) থেকে রক্ষা করবে এবং নিঃসন্দেহে মুসলমান কিয়ামতের দিন নিজ সদকার ছায়ায় থাকবে।
(শুয়াবুল ঈমান, বাবুয যাকাত, ৩/২১২, হাদীস নং-৩৩৪৭)
হাদিসে এসেছে,
নামায হলো (ঈমানের) দলীল এবং রোযা হলো (গুনাহের) ঢাল স্বরূপ আর সদকা গুনাহকে এভাবে মিটিয়ে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে।
(তিরমিযী, আবওয়াবুস সফর, বাবু মা যিকরে ফি ফদলুস সালাত, ২/১১৮, হাদীস নং-৬১৪)
৫. بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَى الصَّدَقَةَ
অর্থাৎ ভোরে সদকা করো, কেননা বিপদাপদ সদকার আগে যেতে পারে না।
(শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফিয যাকাত, ৩/২১৪, হাদীস নং-৩৩৫৩)
রমজানে যাকাত দেয়ার আমল ও ফজিলত:
তোমাদের ইসলামে পূর্ণতা লাভ করা এটাই যে, তোমরা তোমাদের সম্পদের যাকাত আদায় করো।
(আত তারগিব ওয়াত তারহিব, কিতাবুস সাদাকাত, বাবুত তারগিবে ফি আদায়িয যাকাত, হাদীস নং-১২, ১ম খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা)
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم)এর প্রতি ঈমান রাখে, তবে তার জন্য আবশ্যক যে, নিজের সম্পদের যাকাত আদায় করা।
(আল মু'জামুল কবীর, হাদীস নং-১৩৫৬১, ১২ খন্ড, ৩২৪ পৃষ্ঠা)
রমজানে ওমরা করার আমল:
রমজানে ওমরা আদায় করা।
মক্কা মদিনার যিয়ারত করা।
হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِىَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا থেকে বর্ণিত; প্রিয়নবী صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মক্কা শরীফে রমযান মাস পেলো এবং রোযা রাখলো আর রাতে যথাসম্ভব কিয়াম (ইবাদত) করলো, তবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য অন্যান্য স্থানের এক লক্ষ রমযানের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রতিদিন একটি গোলাম মুক্ত করার সাওয়াব ও প্রতি রাতে একটি গোলাম মুক্ত করার সাওয়াব এবং প্রতিদিন জিহাদে ঘোড়ার উপর আরোহন করার সাওয়াব আর প্রত্যেক দিনে ও রাতে সাওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন।
(ইবনে মাজাহ, ৩য় খন্ড, ৫২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩১১৭;)
রমজানে বেশি বেশি দোয়া করার আমল:
রমজানে বেশি পরিমাণে ও বার বার দোয়া করা।
প্রিয় নবী রমযানে অধিকহারে দোয়া করতেন
হাদিসে পাকের এক বর্ণনায় এসেছে, যখন রমযান মাসের শুভাগমন হতো, তখন নবীয়ে আকরাম, নূরে মুজাসসাম, صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর রং মোবারক পরিবর্তন হয়ে যেতো আর বেশি পরিমাণে নামায আদায় করতেন এবং অধিকহারে দোয়া করতেন।"
(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬২৫)
প্রিয়নবী صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم মাহে রমযানে বেশি পরিমাণে দান করতেন।
হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا বলেন: “যখন রমযান মাস আসতো তখন নবী করীম صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّم প্রত্যেক কয়েদীকে মুক্ত করে দিতেন এবং প্রত্যেক ভিখারীকে দান করতেন।"
(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬২৯)
আরো গুরুত্বপূর্ণ সকল আমল পড়ুন:
গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল।
•নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল।
•গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।
•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম।
•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।
• দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া। দ্রুত বিয়ে হওয়ার সহজ আমল।
•খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়।
•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও ফযিলত
•খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত।
•খতমে জালালী বা জালালী খতমের নিয়ম ফজিলত বরকত।
•খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া এর ফজিলত ও আমলের নিয়ম।
•পুরুষের কাফন পরানো -দাফন করা, গোসল দেয়া ও জানাযার নিয়ম।
•মহিলাদের কাফন পরানো, দাফন করা এবং গোসল দেয়ার নিয়ম।
•জানাযার নামায শিক্ষা|জানাযার নামায পড়া ও পড়ানোর নিয়ম বাংলা।
•জানাযার নামাযের সকল দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ শিখে নিন।
•গায়েবানা জানাযার ইসলামী হুকুম। গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে কিনা?
•আল্লাহু ইয়া বাররু ৭ইয়াবার পড়লে কি হয়? এর ফজিলত ও বরকত।
মাহে রমজানের ২০টি স্পেশাল আমল
(ক) শা'বানের শেষ দিনে রমজানের চাঁদ দেখা।
(খ) দিনের বেলায় রোযা রাখা।
(গ) রাতের বেলায় তারাবীহ ও নফল নামায পড়া।
(ঘ) সেহরীর সময় একটু শেষ সময়ে অর্থাৎ দেরী করে সাহরী খাওয়া।
(ঙ) ইফতারের সময় দেরী না করে সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
(চ) ইফতারের
আগে ও সারাদিন বেশি বেশি দোয়া করা।
(ছ) কথা ও কাজে মিথ্যাচার এবং মুর্খতা
বর্জন করা।
(জ) মানুষদের সাথে ঝগড়া বিবাদে না জড়ানো।
(ঝ) অপর রোযাদার মুসলমানকে
ইফতার করানো।
(ঞ) কুরআন তিলাওয়াত, মর্মচর্চা ও শিক্ষা করা।
(ট) অধিকহারে দান সাদকা করা।
(ঠ) মিসওয়াক করা।
(ড) সামর্থ থাকলে ওমরা করা ও মদিনার নবিজি (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم)এর রওজা মোবারক জিয়ারত করা।
(ঢ) শেষ দশকে ইবাদতের জন্য কোমর বেধে চেষ্টা করা।
(ণ) শেষ দশকে মসজিদে ই'তিকাফ করা।
(ত) শেষ দশকের বেজোড় রাত সমুহে শবে কদর পাওয়ার জন্য ইবাদত করা।
(থ) সাদকাতুল ফিতর আদায় করা।
(দ) ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে
মুক্তির দু'আ করা।
(ধ) সাধারণ নেক আমল অধিক হারে সুন্দরভাবে
সম্পাদন করা।
(ন) পাপাচার পরিত্যগ বা তাক্বওয়ার অনুশীলন করা।
(প) যাকাত এর হিসেব করে যাকাত আদায় করা।
আপনার নিকট অনুরোধ: অনেক কস্টের পর পোস্ট সমূহ লিখা হয়, শেয়ার করলে অপর মোসলমান ভাই ও বোনেরা আমল করতে পারবে। শেয়ার করে অপরকে আমলের সুযোগ করে দিন।
0 মন্তব্যসমূহ