কাসিদায়ে গাউসিয়ার ফজিলত। Qaseda e gausiya fojilot. কাসিদায়ে গাউসিয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ।

 কাসিদায়ে গাউছিয়ার ফযীলত(qasida e gausiya)


Qaseda e gausiya bangla


এই কাসিদায়ে গাউসিয়া শরীফটি হুযুর সায়্যিদুনা গাউছে আযম, মাহবুবে ছোবহানী, কুতুবে রব্বানী, শায়খ আবদুল কাদের জিলানী رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর নুরানী ফয়েজ সমৃদ্ধ মুখ মোবারক দ্বারা পঠিত, এই কাসিদায়ে গাউসিয়া শরীফ পাঠ করাটা আমাদের সিলসিলায়ে আলীয়ায়ে কাদেরীয়ার মধ্যে জাহেরী ও বাতেনী দৌলত অর্জন করার একটি উত্তম মাধ্যম। এর মধ্যে ২৮ টি পংক্তিমালা রয়েছে। এই কুসিদার দৈনন্দিন পাঠে অনেক উপকারীতা রয়েছে।


(1) কাসিদায়ে গাউসিয়া পাঠের মাধ্যমে সৃষ্টিকে কাবুতে রাখার ক্ষেত্রে সীমাহীন কার্যকরী এবং আল্লাহ্ তাআলার নৈকট্য অর্জনের একটি মাধ্যম। অর্থাৎ কাসিদায়ে গাউসিয়া পাঠ করলে মানুষের মাঝে খুবই সম্মানিত হবে।


(2) এই মোবারক কাসিদায়ে গাউসিয়া নিয়মিত পাঠ করলে সীমাহীন স্মরণশক্তিকে বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুনঃ 

দুরুদ শরিফের ফযিলত,  বরকত এবং আমল।

দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত। 

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

দরুদে তাজের ফযিলত ও বরকত। 

স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।

•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি। 

শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।

দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ। 

দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ। 

দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।

দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ। 

দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।

•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।


(3) এই কাসিদায়ে গাউসিয়া পাঠ কারীর আরবী ইবারত পড়ার ক্ষেত্রে খুবই দক্ষতা অর্জন হয়। সে আরবী ইবারত পড়া খুব সহজে পড়তে পারে।


(4) যে কোন কঠিন কাজের জন্য আসানির জন্য ৪০ দিন পর্যন্ত পড়ুন اِنْ شَاء الله সেই কাজে অবশ্যই সফল হবেন।


(5) যে ব্যক্তি এই কাসিদায়ে গাউসিয়া মোবারককে নিজের সামনে রাখবে ও তিনবার পাঠ করবে তাহলে গাউছে পাক رَضِىَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর দরবারে সে মাকবুল হবে এবং إِنْ شَاء الله عَلَوَجَلَّ গাউছে পাক رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর যিয়ারত দ্বারা ধন্য হবে।


(6) কাদিদায়ে গাউসিয়া প্রত্যেক রোগ বা কষ্টের জন্য তিনবার বা পাঁচবার পড়া এবং ফুঁক দেয়া উপকারী।


(7) কোনো বন্ধ্যা মহিলা এই কাসিদায়ে গাউসিয়া মোবারক বিশুদ্ধ পাঠকারীর মাধ্যমে ৪১ বা ২১বার পড়িয়ে পানিতে ফুঁক দিয়ে ৪০ দিন পর্যন্ত পান করলে গর্ভধারণ করবে এবং হুযুর গাউছে আজম رَضِىَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْ এর বরকতে ছেলে সন্তান লাভ করবে।

ا إِنْ شَاءَ اللهُ عَزَّوَجَلَّ

আরো পড়ুনঃ 

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

• দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া। দ্রুত বিয়ে হওয়ার সহজ আমল। 


(8)কোনো জ্বিনে ধরা রোগীর জন্য কাসিদায়ে গাউসিয়া পড়ে তেলে ফুঁক দিয়ে তার শরীরে মালিশ করলে, إِنْ شَاءَ الله এর জ্বীনের আসর দূর হয়ে যাবে।


(9) অত্যাচারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কাসিদায়ে গাউসিয়া পড়লে জালিমের অত্যাচার মুক্তি লাভ হবে, এমনিভাবে তার শত্রু ও দুর হয়ে যাবে। إِنْ شَأْءَ اللَّهِ


কাসিদায়ে গাউসিয়া শরিফ (আরবী)


سَقَانِي الْحُبُّ كَاسَاتِ الوِصَالِ

فَقُلْتُ لِخَمْرَتِي نَحْوِي تَعَالِي

سَعَتْ وَمَشَتْ لِنَحْوِى فِي كُنُوسٍ

فَهِمْتُ بِسُكُرَتِي بَيْنَ الْمَوَالِي

فَقُلْتُ لِسَائِرِ الْأَقْطَابِ لُمُوا

بِحَالِي وَادْخُلُوا أَنْتُمْ رِجَالِي

وَهُمُوا وَاشْرَبُوا أَنْتُمْ جُنُودِى

فَسَاقِي الْقَوْمِ بِالْوَا فِي مَلَالِي

شَرِبْتُمْ فُضْلَتِي مِنْ بَعْدِ سُكْرِي

وَلَا يُلْتُمْ عُلُوّى وَاتِّصَالِي

مَقَامُكُمْ الْعُلى جَمْعًا وَلَكِنْ

مَقَامِي فَوْقَكُمْ مَّا زَالَ عَالِي

انَا فِي حَضْرَةِ التَّقْرِيبِ وَحْدِى

يُصَرِّ فُنِي وَحَسْبِي ذُوا الْجَلَالِ

أَنَا الْبَازِئُ أَشْهَبُ كُلِّ شَيْخٍ

 وَمَنْ ذَا فِي الرِّجَالِ اعْطِي مِثَالِي

كَسَانِي خِلْعَةٌ بِطِرَازٍ عَزْمٍ

وَتَوَجَنِي بِتِيْجَانِ الْكَمَالِ

وَأَطْلَعَنِي عَلَى سِرِّ قَدِيمٍ

وَقَلَّدَنِي وَأَعْطَانِي سُؤَالِي

وَوَلَا نِي عَلَى الْأَقْطَابِ جَمْعًا

فَحُكْمِي نَا فِنْ فِي كُلِّ حَالٍ

فَلَوْ الْقَيْتُ سِرِى فِي بِحَارٍ

لَصَارَ الْكُلُّ غَوْرًا فِي الزَّوَالِ

وَلَوْ الْقَيْتُ سِرِّي فِي جِبَالٍ

لَدُكَّتْ وَاخْتَفَتْ بَيْنَ الرِّمَالِ 

وَلَوْ الْقَيْتُ سِرِّي فَوْقَ نَارٍ

لَخَمِدَتْ وَانْطَفَتْ مِنْ سِرِّ حَالِي

وَلَوْ الْقَيْتُ سِرِّي فَوْقَ مَيْتٍ

لَقَامَ بِقُدْرَةِ الْمَوْلَى تَعَالِي

وَمَا مِنْهَا شُهُورٌ أَوْ دُهُورٌ

تَمُرُّ وَتَنْقَضِي إِلَّا أَتَانِي

وَتُخْبِرُ نِي بِمَا يَأْتِي وَيَجْرِى

وَتُعْلِمُنِي فَأَقْصِرْ عَنْ جِدَانِي

مُرِيدِى هِمْ وَطِبْ وَاشْطَحُ وَغَنِّى

وَافْعَلُ مَا تَشَاءُ فَالْاِسْمُ عَالٍ

مُرِيدِي لَا تَخَفْ اللَّهُ رَبِّي

عَطَانِي رِفْعَةً لِلْتُ الْمَنَانِي

طُبُولِي فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ دُقَتُ

وَشَاءُوسُ السَّعَادَةِ قَدْ بَدَانِي

بِلَادُ اللَّهِ مُلْكِى تَحْتَ حُكْمِي

وَوَقْتِي قَبْلَ قَلْبِي قَدْ صَفَالِي

نَظَرْتُ إِلَى بِلَادِ اللَّهِ جَمْعًا

كَخَرُ دَلَةٍ عَلَى حُكْمِ اتِّصَالِ

دَرَسْتُ الْعِلْمَ حَتَّى صِرْتُ قُطْبًا

وَلِلْتُ السَّعْدَ مِنْ مَّوْلَى الْمَوَالِي

فَمَنْ فِي أَوْلِيَاءِ اللَّهِ مِثْلِي

وَمَنْ فِي الْعِلْمِ وَالتَّصْرِيفِ حَالِي

رِجَالِي فِي هَوَا جِرِهِمْ صِيَامُ

وَفِي ظُلَمِ اللَّيَالِي كَاللَّاَلِي

وَكُلٌّ وَلِي لَهُ قَدَمٌ وَإِنِّي

عَلَى قَدَمِ النَّبِيِّ بَدْرُ الْكَمَالِ

نَبِيُّ هَاشِي مَكِي حِجَازِي

هُوَ جَدِي بِهِ لِلْتُ الْمَوَالِي

مُرِيدِي لَا تَخَفْ وَاشٍ فَإِنِّي

عَزُومٌ قَاتِلُ عِنْدَ الْقِتَالِ

أَنَا الْجِيْلِيُّ مُحْيِ الدِّينِ لَقَبِي

وَأَعْلَامِي عَلَى رَأْسِ الْجِبَالِ

انَا الْحَسَنِيُّ وَالْمُخْدَعُ مَقَامِي

وَأَقْدَامِي عَلَى عُنُقِ الرِّجَالِ

وَعَبْدُ الْقَادِرِ الْمَشْهُورُ اسْمِي

وَجَدِي صَاحِبُ الْعَيْنِ الْكَمَالِ

تَقَبَّلْنِي وَلَا تَرْدُدُ سُؤَالِي

اغِثْنِي سَيِّدِي انْظُرْ بِحَالِي

আরো পড়ুনঃ। 

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।

•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।

মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।

দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।

• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।

• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।

নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া

গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ। 

জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।

•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।


কসীদায়ে গাউসিয়া বাংলা উচ্চারণ:


১। ছাক্বানিল হুব্বু কা'ছাতিল বিছালী, 

ফা কুলতু লি-খামারাতী নাহ্ ভী তা'আলী।


২। ছাআত ওয়া মাশাত লি-নাহভী ফি কুউছিন, ফা-হিমতু বিছুকরাতী বাইনাল মাওয়ালী।


৩।ফাকুলতু লিছায়েরিল আক্ব তাবি লুম্মু, বি-হালি ওয়াদখুলু আনতুম রিজালী।


৪। ওয়া হুম্মু ওয়াশরাবু আনতুম জুনুদী, ফাছাক্বিল কাওমি বিল ওয়াফী মালালী।


৫।শারিবতুম ফুদলাতী মিম বা'দি ছুকরী, ওয়ালা নিলতুম উলুউয়ি ওয়াততিছালী।


৬। মাক্বামুকুমুলউ'লা জামআউ ওয়ালাকিন, মাক্বামী ফাওক্বাকুম মা-যালা 'আলী।


৭।আনা ফি হাদ্বরাতিত তাক্বরীবি ওয়াহ্দী, ইউছাররিফুনী ওয়া হাসবী  জুল-জালালী। 


৮। আনাল বা ঝিয়্যু আশহাবু কুলি শায়খিন, 

ওয়া মান যা ফির রিজালি'য়তি মিছালী।


৯।কাছানী খিল আতুন বিতারাজি আযমিন, ওয়া তাউওয়্যাজনী বিতীজানিল কামালী।


১০। ওয়া আত লাআনী আলা ছিররিন ক্বাদীমিন,

ওয়া ক্বাল্লাদানী ওয়া আ'তানী ছুআলী।


১১। ওয়া ওয়াল  নী আলাল আক্বতাবি জামআন, ফা-হুকমী নাফিযুন ফি কুল্লি-হালী।


১২।ফা লাও আল ক্বাইতু ছিররি ফি বিহারিন, লা-ছারাল কুল্লু-গাওরান ফিয যাওয়ালী। 


১৩।ওয়া লাও আলক্বাইতু ছিররি ফি জিবালিন, লা-দুককাত্ ওয়াখতাফাত্ বাইনার রিমালী। 



১৪।ওয়া লাও আলক্বাইতু ছিররি ফাওক্বা নারিন, লা খামাদাত ওয়ানতাফাত মিন ছিররি হালী।


১৫।ওয়া লাও আলক্বাইতু ছিররি ফাওক্বা মাইতিন, লা-ক্বামা বি-কুদরাতিল মাওলা তা'আলী। 



১৬।ওয়ামা মিনহা শুহুরুন আও দুহুরুন, তামুররু ওয়া তানক্বাদী ইল্লা আতালী।


১৭।ওয়া তুখবিরুনী বিমা ইয়াতী ওয়া ইয়াজরী, ওয়া তু'লিমুনী ফা-আকছির আন জিদালী। 


১৮। মুরিদী হীম ওয়া তীব ওয়াশাহু ওয়া গান্নী, ওয়াফ আলু মা তাশায়ু ফাল ইছমু আলী। 


১৯। মুরিদী লা তাখাফ আল্লাহু রাব্বি,

আত্বা রিফয়াতান লিলতুল মানালি।


২০। তুবুলি ফিস সামায়ি ওয়াল আরদ্বি দুক্বাত,  ওয়া শাউসুস সায়াদাত ক্বাদ বাদানী।


২১। বিলাদুল্লাহি মুলকি তাহতা হুকমী, ওয়া ওয়াক্বতী কাবলা ক্বলবী ক্বদ ছফালী।

 ২২। নাজারতু ইলা বিলাদিল্লাহি জাময়ান, কাখারদালাতিন আলা হুকমিত তিসালি।



২৩। দারাছতুল ইলমা হাত্তা ছিরতু কুত্ববান,

ওয়া নিলতুছ ছা'দা মিম মাওলাল মাওয়ালী।


২৪। ফামান ফি আউলিয়া ইল্লাহি মিছলী,

ওয়া মান ফিল ইলমি ওয়াত তাছরীফি হালী।


২৫।  রিজালি ফি হাওয়াযিরি হিম সিয়ামি, ওয়া ফি জুলমিল লায়ালি কাললায়ালি।



২৬। ওয়া কুল্লু ওলিয়্যি লাহু   ক্বাদমিন ওয়া ইন্নী,

আলা ক্বাদামিন নাবীয়্যি  বাদরিল কামালী।


২৭। নায়িয়্যুল হাশিমিয়ুন মাক্কি হিজাযি, হুয়া যাদ্দি বিহি লিলতুল মাওয়ালি।


২৮। মুরিদী লা তাখাফ ওয়াশিন ফা-ইন্নী, আযুমুন ক্বাতিলুন ইনদাল ক্বিতালী।


২৯। আনাল জিলীয়ু মুহিউদ্দীন ইছমী, ওয়া আলামী আলা রাছিল জিবালী।


৩০। আনাল হাসানিয়ু ওয়াল মুখদা'য়ু মাক্বামি, ওয়া আক্বদামী আলা উনুক্বীর রিজালী।


৩১।ওয়া আবদুল ক্বাদিরিল্ মাশহুরু ইছমী, ওয়া জাদ্দী ছাহিবুল আইনিল কামালী।




৩২।তাক্বাব্বালনী ওয়ালা তারদুদ সুয়ালী, আগিছনী সাইয়্যেযদী উনজুর বিহালী। 



(কাসিদায়ে গাউসিয়া সমাপ্ত)


বরকতের নিয়তে নিছের আশ'য়ার গুলো পড়া হয়।


 "মারহাবা ইয়া গাউসুল আজম মারহাবা,

 মারহাবা ইয়া কুতুবে আলম মারহাবা,

 আচ্ছালাম আয় নুরে চাশমে আম্বিয়া, আচ্ছালাম আয় বাদশাহে আওলিয়া।"

জেনেনিন সকল জেলার নামাযের ও সেহরি ইফতারের সঠিক সময়সূচিঃ

সকল জেলার মাগরিবের নামাযের শেষ সময় জানুন 

আপনার জেলার ফজরের নামাযের শেষ সময় জেনে নিন।

আজকের ইফতারের সঠিক সময় ও সেহরির শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের আসরের নামাযের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের ইশারের নামাযের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের যোহরের নামাযের শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 


সাওয়াবের নিয়তে আপনার ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপ, ইমু, মেসেঞ্জার,টেলিগ্রাম সহ সকল সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।


কাসিদায়ে গাউসিয়া এর সরল ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ


১. আল্লাহর প্রেম আমাকে মিলন মদিরাপান করিয়েছে। আমি প্রেমের গভীরতায় অতৃপ্ত হয়ে প্রেমসূধাকে আহবান জানিয়ে বললাম- এসো, পাত্র ভরে ভরে আমাকে আরও পান করিয়ে যাও- আমাকে তৃপ্ত করো।


২. সে প্রেমসূধা অফুরন্ত এসেছে। আমি পেয়ালার পর পেয়ালা পান করেছি। সে প্রেমসূধার মাদকতায় আমি বন্ধুমহলে ঘুরেছি ও বিশেষ মর্যাদা পেয়েছি।


৩. দুনিয়ার সব অলী-আউলিয়া এবং কুতুবগণকে বললাম, "তোমরা সবাই আমার হালের সাথে হাল মিশায়ে আমার ভক্তদলে শামিল হয়ে যাও"।


৪. তোমরা হিম্মত করে উচ্চাসীন হও এবং পাত্র ভরে প্রেমসূধা পান করো। কেননা, তোমরাতো (কুতুবগণ) আমারই বীর সেনানী। প্রেমাস্পদ সাকী পাত্র ভরে ভরে আমাকে প্রেমসূধা পান করাচ্ছেন আর বিভোর করে দিচ্ছেন।


৫. আমি প্রেমসূধা পান করে আল্লাহ প্রেমের এত উচ্চ মার্গে উন্নীত হয়েছি যে, তোমরা (কুতুবগণ) আমার অবশিষ্ট উচ্ছিষ্ট পান করার সুযোগ পেয়েছো। কাজেই তোমরা আমার মাকাম ও মর্যাদায় পৌঁছতে পারনি। 


৬. তোমাদের মর্যাদা যদিও উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত, কিন্তু আমার অক্ষয় আসন তার চেয়েও উর্ধে।


৭. আমিই কেবল আল্লাহর সর্বোচ্চ নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছি। এর অন্য কোন অংশীদার নেই। তিনিই আমাকে সর্বদা পরিচালনা করেন। মহা-মহিম আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট।


৮. 

বেলায়াত গগনে নেতৃস্থানীয় অলীকুলের তুলনায় আমি সর্বোচ্চ উচ্চতায় উড়ন্ত বাজ পাখি সদৃশ। আমার তুল্য মর্যাদা মানবকুলে কোন অলীকেই দান করা হয়নি।


৯. আল্লাহ পাক আমার দেহে এরাদা ও দৃঢ়তার ভূষণ পরিয়ে দিয়েছেন এবং কামালিয়াতের মুকুট আমার মাথায় পরিধান করিয়ে দিয়েছেন।


১০. তিনি আমাকে চিরন্তনের গুঢ়তত্ত্ব জ্ঞাত করালেন এবং মর্যাদার কণ্ঠহার পরিয়ে দিলেন। আমি তাঁর কাছে যা চেয়েছি, তিনি তা-ই আমাকে দান করেছেন।


১১. দুনিয়ার সকল অলী ও কুতুবগণের উপর তিনি আমাকে শাসক নিযুক্ত করেছেন। সুতরাং তাঁদের উপর আমার নির্দেশ সর্বদাই জারি ও কার্যকর থাকবে। উল্লেখ্যঃ প্রথমে গাউসে পাক "অলী" থেকে "কুতুবে" উন্নীত হয়েছেন। তার পর সর্বোচ্চ উড়ন্ত "বাজপাখি" এবং পরিণামে কুতুবগণের শাসক বা গাউসুল আ'জমে উন্নীত হয়েছিলেন। ইহাই এই কাসিদার মর্মার্থ।


১২. আমি যদি আমার প্রেমের গোপন রহস্য সমুদ্রে ছেড়ে দেই, তাহলে সমুদ্রজল সব শুকিয়ে ভূতলে নিঃশেষ হয়ে যাবে।

সমুদ্রজল আমার রহস্য ধারন করতে সক্ষম হবে না।


১৩. আমি যদি আমার প্রেমের গোপন রহস্য পর্বতসমূহে নিক্ষেপ করি, তাহলে তা চূর্ন বিচূর্ন হয়ে ধূলার ন্যায় উড়েযাবে।


১৪. আমি যদি আমার গোপন প্রেম-তত্ত্ব আগুনের উপর নিক্ষেপ করি, তাহলে সে আগুন আমার গোপন রহস্যের প্রভাবে নিভে যাবে এবং তার দাহিকা শক্তি হারিয়ে ফেলেন।


১৫. যদি আমি আমার প্রেম রহস্য কোন মৃতের নিকট ব্যক্ত করি, তাহলে সে মহাপ্রভুর কুদরতে তৎক্ষনাৎ জিন্দা হয়ে উঠে দাঁড়াবে।


১৬. অসীম কালের বুকে এমন কোন মাস বা যুগ গত হয়না, যা আমার কাছে আসেনা।


১৭. ঐ মাসসমূহ ও যুগ সমূহ বর্তমানে কি ঘটছে এবং ভবিষ্যতে কি ঘটবে, তা আমাকে বলে যায়। সুতরাং এ বিষয়ে আমার সাথে তর্ক ছাড়ো। অবনত মস্তকে মেনে নাও।


১৮. হে আমার মুরিদ! সাহস ও দৃঢ়তা অর্জন করো, আনন্দিত হও, নির্ভয়ে চলো এবং গুনগানে মত্ত থাকো। ইচ্ছা মাফিক নির্ভয়ে কাজ করে যাও। কেননা আমার নাম ও মর্যাদা অতি উচ্চ ও মহান। তোমরা তো আমারই মুরিদ।


১৯. হে আমার মুরিদ! তুমি কুৎসা রটনাকারী ভীষণ শত্রুকেও ভয় করো না। কেননা, আমি দৃঢ়চেতা যুদ্ধবীর। যুদ্ধকালে আমি তাকে হত্যাকারী। আল্লাহর প্রেমের পথে হিংসাকারী ও কুৎসা রটনাকারীর জন্য আমিই যথেষ্ঠ। তোমাদেরকোন চিন্তা নেই। নির্ভয়ে চলো।


২০. হে আমার মুরিদ। তোমার কোন ভয় নেই। আল্লাহ্ আমার রব। তিনি অনুগ্রহ করে আমাকে অতি উচ্চমান দান করেছেন। আমি দুনিয়া ও আখেরাতের উচ্চতর নেয়ামত লাভ করেছি।


২১. আসমান ও জমিনে আমার মর্যাদার ডঙ্কা বাজছে। সৌভাগ্য আর মর্যাদার উচ্ছলতা আমার আগে আগে চলছে।


২২.আল্লাহ্র সমগ্র রাজ্য আমার মুলুক এবং আমারই হুকুমের অধীন। আমার জন্মের পূর্ব হতেই আমার হাল ও অবস্থা পরিস্ফুট ছিল। (দিন, সপ্তাহ, মাস, বৎসর - সূর্য সবকিছুই আমাকে সালাম করে এবং পরিক্রমা শুরু করে - বাহজাতুল আসরার)


২৩. আল্লাহ্র রাজ্য সমূহের প্রতি আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলাম- এটা আমার কাছে একটি ক্ষুদ্র সরিষার দানার মত মনে হচ্ছে। বারি বিন্দু সাগরে পতিত হয়ে যেমন সাগর রূপ ধারন করে, বান্দাগণ তেমনি আল্লাতে লীন হয়ে সব কিছুকে ক্ষুদ্র মনে করে।


২৪. "জাহেরী বাতেনী জ্ঞানার্জন করে আমি কুতুব হয়েছি। মহাপ্রভুর পক্ষ হতেই আমি এ সৌভাগ্য লাভ করেছি”। (পরে কুতুবগণের শাসক বা গাউসুল আ'জমে উন্নীত হয়েছি- ১১নং কাসিদা)।


২৫."অলীকুলে কে আছে আমার সমকক্ষ? তত্ত্ব-জ্ঞানে ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতায় আমার সমকক্ষ দ্বিতীয় কে আছে? - নেই"। (সে - জন্যই তিনি অলিকুল সম্রাট ও সব অলীদের নিয়ন্ত্রণকারী)।


২৬. "সকল অলীগণই আমার পদাঙ্ক অনুসারী, আর আমি হলাম পূর্ণ চন্দ্রের ন্যায় পরিপূর্ণ নবীজির পদাঙ্ক অনুসরনকারী"। (নবীজী হলেন আম্বিয়াদের সর্দার, আর গাউসে পাক(রাঃ) হলেন আউলিয়াদের সর্দার - লেখক)।


২৭. আমার ভক্ত মুরিদগণের রিয়াজতের অবস্থা এই যে, তারা কঠিন গ্রীষ্মের খরতাপেও দিনের বেলায় রোজা পালন করতে কুণ্ঠিত হয়না এবং রাত্রের গভীর অন্ধকারেও তারা আল্লাহর ইবাদতে (তাহাজ্জুদ) মশগুল থাকে। একারণে তারা আধ্যাত্মিক জ্যোতি লাভ করে মুক্তার মত জ্বলতে থাকে।


২৮. আমি সৈয়দ বংশজাত হাসানী। "মাদা" আমার আধ্যাত্মিক মাকাম। একারণেই আমার চরন যুগল সকল অলীর গ্রীবাদেশে। (ক্বাদামী হাজিহী আলা রাক্কাবাতি কুল্লি অলীয়ি‍ল্লাহ্)।


২৯. আমার প্রকাশ্য নাম আবদুল কাদের। আমার প্রপিতামহ হচ্ছেন সমস্ত কামালতের উৎস ও ঝর্ণাধারা-হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم)।


৩০. জিলান আমার জন্মভূমি। উপাধী আমার মুহিউদ্দীন। পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়ায় আমার গৌরব ও মর্যাদার পতাকা উড্ডীয়মান।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার:

হযরত আল্লামা হাফিম মাওলানা আব্দুল জলিল  رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ 

কাসিদায়ে গাউসিয়ার সরল অনুবাদ- জনাব চৌধুরী নূরুল আজিম কাদেরী।


আপনার নিকট অনুরোধ: অনেক কষ্টের পর এবং দীর্ঘ সময় ব্যয়করে আপনাদের জন্য পোস্ট গুলো লেখা হয়। যদি একটা কমেন্ট করে আমাদের উৎসাহ বাড়াতে সাহায্য করেন, তাহলে আমরা খুশি হই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ