খতমে কাদেরিয়া। খতমে গাউসিয়া। khatme qaderiya bangla. Khatme gausiya bangla. খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়ার ফজিলত ও পড়ার নিয়ম।


খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়ার ফজিলত ও বরকত। 


খতমে কাদেরিয়া পড়ার নিয়ম


মিলাদে শায়খে বরহক্ব বা ‘ফজায়েলে গাউসিয়া’ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, গেয়ারভী শরীফের অসংখ্য ফজিলত ও বরকত রয়েছে; যার বর্ণনা লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে মুমিন মুসলমান বিশেষ করে গাউসুল আযম শেখ আব্দুল কাদের জিলানী  رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ এর  আশিকদের অবগতির জন্য কয়েকটি ফজিলত নিছে দেয়া হলোঃ


(1) যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে গেয়ারভী শরীফ আদায় করবে অর্থাৎ খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া আদায় করবে সে অল্প দিনের মধ্যে ধনী ও স্বচ্ছল হবে এবং তার দারিদ্র্য দূর হবে। যে ব্যক্তি এটাকে অস্বীকার বা ঘৃণা করবে সে দ্বীনি ও দুনিয়াবি  দারিদ্রের মধ্যে থাকবে।

খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া এর ফজিলত:


(2) “তানাজ্জালুর রাহমাতু ইনদা যিকরিছ সলিহীন" হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, গেয়ারভী শরীফ যেখানে পালিত হয় আল্লাহর রহমত সেখানে অবতীর্ণ হয়।


(3) বর্ণিত আছে যে, হযরত গাউসুল আ‘জম ( رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ ) ১২ই রবিউল আউয়াল শরিফকে খুব গুরুত্ব সহকারে পালন করতেন। একদিন স্বপ্নে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন- “আমার বারই রবিউল আউয়ালের প্রতি তুমি যে সম্মান প্রদর্শন করে আসছ এর বিনিময়ে আমি তোমাকে গেয়ারভী শরীফ দান করলাম।”


(4) যে ব্যক্তি খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পালন করবে সে খায়ের ও বরকত লাভ করবে এবং খতমে কাদেরিয়া পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত এটা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে।


(5) যে ব্যক্তি সব সময় খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পালন করবে সে বিপদ হতে রক্ষা পাবে; দুঃখ ও চিন্তামুক্ত হয়ে সুখ ও শান্তিতে জীবন যাপন করবে।

আরো পড়ুনঃ 

খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়। 

•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও  ফযিলত

খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত।

•খতমে জালালী বা জালালী খতমের নিয়ম ফজিলত বরকত।

খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া এর ফজিলত ও আমলের নিয়ম। 

(6) যে খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া নিয়মিত পড়ে তার সকল দোয়া কবুল হবে, সকল মনের আশা পূরণ হবে।


(7) যে ব্যক্তি দিনে একবার যে কোনো নামাযের পর খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পড়বে, তার সারাদিন খায়ের ও বরকত ও শান্তির সাথে অতিবাহিত হবে।


(8) যে খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তাকে বেশির থেকে বেশি রিজিক দান করবেন এবং তার সকল অভাব দূর হবে।


(9) যে খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পড়বে, সে কারো কাছে হাত পাততে হবেনা, আল্লাহ ব্যতীত কারো মুখাপেক্ষী হবেনা, আল্লাহর রহমতে তার অভাব আসবেনা।


(10) যত বড় বিপদ আসুক, খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পড়লে, সহজেই বিপদ দূর হয়ে যাবে।


(11) খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পড়লে, কারো ঋণ থাকলে ঋণ পরিশোধ এর সহজ ব্যবস্থা হবে। সহজে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তির পথ খুলে যায়। কিভাবে খুলবে সে নিজেও চিন্তা করতে পারবেনা।


(12) নিয়মিত প্রতিমাসে খতমে কাদেরীয়া বা খতমে গাউসিয়া পাঠকারীর শত্রু তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। শত্রু নিজেই নিজের ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ 

ছোট ছেলে বাবুর আধুনিক ইসলামিক সুন্দর নাম।

ছোট মেয়ে বাচ্চার ইসলামিক আধুনিক সুন্দর নাম।

•'আ' দিয়ে বাচাইকরা ছেলেবাবুর ইসলামিক আধুনিক নাম 

•বাচাইকরা আনকমন ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নাম।

•আধুনিক স্টাইলিশ ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

আরিয়ান নামের অর্থ কি? আরিয়ান নাম কি হিন্দু নাকি মুসলিম নাম?

আয়াত নামের অর্থ কি?  আয়াত নামের ব্যখ্যাগুলো জানুন।

• মুনতাহা নামের অর্থ কি? মুনতাহা নামের সকল তথ্য ও ব্যাখ্যা। 

রাইসা নামের অর্থ কি?  রাইসা নাম কোরআনে আছে কিনা?

আয়ান নামের অর্থ কি? আয়ান নাম ভাগ্য কেমন জানুন।

মিম নামের অর্থ কি? মিম নাম কি মরিয়ম নামের হিব্রু ভাষা থেকে আসছে?

সাদিয়া নামের অর্থ কি?সাদিয়া নামের মানুষ কেমন হয়।

(13) যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, আর সুস্থতার কোন পথ দেখেনা, সে সত্য নিয়তে খতমে কাদেরীয়া আমল করে পড়লে,হুজুরে গাউসে আযমের দোয়ায়  সে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। এবং সু-স্বাস্থ্যবান হয়ে যাবে।


(14) যে ব্যক্তি কোনো কারনে লাচার হয়ে গেলে, অসহায় হয়ে ভেঙে পড়লে  খতমে কাদেরিয়া আমলের বরকতে পেরেশানি দূর হবে।


(16) গাউসে আযমের মাযার শরিফ জিয়ারতের জন্য যে বাগদাদ যেতে চায়, তাহাজ্জুদের নামাজের পর খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া পড়ে দোয়া করলে সে ব্যক্তির বাগদাদ শরিফ যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।


(১৭) সকল নেক ও জায়েজ মনের আশা পূরণের জন্য খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া খুবই উপকারী আমল।


(১৮) কারো ঘরে খুব বেশি বিমারী, অসুস্থতা, তাহলে ঘরে খতমে কাদেরীয়া পড়ালে বড় বড় বিপদ, বিমারী অসুস্থতা দূর হয়ে যাবে। খতমে কাদেরীয়া এর মাধ্যমে বালামুসিবত দূর হয়।


বড় বড় বিপদ, বড় পেরেশানিতে খতমে কাদেরীয়া পেরেশানি দূর হয়ে যাবে।


কারো জেল হলে, মুক্তির কোনো পথ নজরে না আসলে আল্লাহ পাক মুক্তির কোনো না কোনো সহজ পথ বের করে দিবেন।


(১৯) যে নারীর সন্তান হয়না, সে নারী  ৪১দিন মাগরিবের নামাযের পরে  খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া নিজের ঘরে নিজেও পড়তে পারবে, বা মানুষদের দিয়েও পড়াতে পারবে। এর বরকতে সে সন্তানের নেয়ামত প্রাপ্ত হবে।



অতএব, অজুর সাথে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্মান সহকারে খতমে কাদেরিয়া বা খতমে গাউসিয়া অর্থাৎ গেয়ারভী শরীফ পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।


খতমে গাউসিয়া বা খতমে কাদেরিয়া পড়ার নিয়মঃ


(১) দরূদ তাজ শরিফ একবার।


(২) ইস্তিগফার  ১১১ বার


(আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাযী  লা ইলা হা ইল্লা হুওয়াল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আ'তূবু ইলায়হি।)



(৩) দরূদে গাউছিয়া ১১১বার পড়ুন।


اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَّعْدِنِ الْجُودِ وَالْكَرَمِ وَالِهِ وَبَارِكْ وَسَلَّمْ

("আল্লাহুম্মা সল্লে আলা সাইয়্যেদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিম মা'আদানিল জুদি ওয়াল কারামি, ওয়া আলিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম")


(৪) তৃতীয় কলেমা ১১১বার পড়ুন।


سُبْحْنَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ

(সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম।)


(৫) 'সূরা আলাম নাশরাহ' অর্থাৎ সূরা ইনশিরাহ-  ১১১বার পড়ুন।



بسمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ


أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ، وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ، الَّذِي

أَنقَضَ ظَهْرَكَ، وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ، فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا، إِنَّ

مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا، فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ، وَإِلَى رَبِّكَ فَأَرْغَب، 


(আলাম নাশরাহ লাকা সদ্বরাক, ওয়া ওয়া দ্বয়ানা আনকা য়িজরাক, আল্লাজি  আনকদ্বা জ্বহরাক, ওয়া রাফায়ানা লাকা জিকরাক, ফা ইন্না মায়াল উসরি ইউসরা, ইন্না মায়াল উসরি ইউসরা, ফা ইজা ফারাগতা ফাংছব, ওয়া ইলা রাব্বিকা ফারগাব।)


(৬) সূরা ইখলাস ১১১বার পড়ুন।


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ، اَللَّهُ الصَّمَدُ،


لَمْ يَلِدُ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ،


(ক্বোল হুয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সমাদ, লাম ইয়ালিদ, ওয়া লাম ইউলাদ, ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।)


(৭) ১১১বার।


يَا بَاقِي أَنْتَ الْبَاقِي

(ইয়া বাক্বী আংতাল বাক্বী)


১১১বার।


يَا شَافِي أَنْتَ الشَّافِي

(ইয়া শাফী আংতাশ শাফী)


১১১বার।


يَا كَافِي أَنْتَ الْكَافِي

(ইয়া ক্বাফী আংতাল ক্বাফী)


(৮) ১১১বার।


يَا رَسُولَ اللَّهِ انْظُرُ حَالَنَا يَا حَبِيبَ اللَّهِ اِسْمَعُ قَالَنَا إِنَّنِي فِي بَحْرِ هَمْ مُّغْرَقُ خُذْ يَدِى سَهِّلْ لَنَا أَشْكَا لَنَا

(ইয়া রাসুলাল্লাহি উংজুর হালানা, ইয়া হাবিবাল্লাহি ইসমা ক্বলানা, ইন্নানি ফি বাহরিহীম মিম মুগরাকুন, খুজ ইয়াদি সাহহিল লানা আশক্বালানা।)


(৯) ১১১বার


يَا حَبِيبَ الْإِِلَهِ خُذْ بِيَدِي مَا لِعَجْزِي سِوَاكَ مُسْتَنَدِى


(ইয়া হাবিবাল ইলাহি খুজ বিয়াদি মা লিয়াজযি সিওয়াকা মুসতানাদি।)


(১০) ১১১বার


فَسَهِّلْ يَا إِلهِي كُلَّ صَعْبٍ بِحُرْمَةِ سَيِّدِ الْأَبْرَارِ سَهِّلْ


(ফাসাহহিল ইয়া ইলাহি কুল্লা সাআ'বি বি হুরমাতি সাইয়্যেদিল আবরারি সাহহিল।)


(১১) ১১১বার 


يَا صِدِّيق يَا عُمَر يَا عُثْمَانَ يَا حَيْدَر

 دَفَعْ شَرْكُنْ خَيْرٍ أَوَرٍ يَا شَبِيرُ يَا شَبَّر

(ইয়া সিদ্দিক, ইয়া উমার, ইয়া উসমান, ইয়া হায়দার, দাফেয়ে শারকুন খায়ের, অর ইয়া শাব্বির ও শাব্বার)


(১২) ১১১বার


يَا حَضْرَتْ سُلْطَانُ شَيْخ سَيِّدِ شَاهِ عَبْدَ الْقَادِرُ جِيْلًا نِي شَيْئًا لِلَّهِ الْمَدَدْ،


(ইয়া হযরত সুলতান শায়খ সাইয়্যেদ শাহ আব্দুল ক্বাদির জিলানী শাইয়্যান লিল্লাহিল মাদাদ)


(১৩) ১১১বার

مَا هَمَهْ مُحْتَاجُ تو حَاجَتْ رَوَا الْمَدَدْ يَا غَوْثِ أَعْظَم سَيِّدَا

(মা হামাহ মুহতাজু, তু হাজাত রাওয়া, আল মাদাদ ইয়া গাউসে আযাম সাইয়্যেদা)

(১৪) ১১১বার 

مُشْكِلَاتِ بِے عَدَدْ دَارَيْم مَا الْمَدَدْ يَا غَوْثِ أَعْظَم پِيْرِ مَا

(মুশকিলাতে বে আদাদে দারায়েমে মা, আল মাদাদ ইয়া গাউসে আযাম পীরে মা)

(১৫) ১১১বার

يَا حَضْرَتْ شَيْخ مُحْيِ الدِّينَ مُشْكِلُ كُشَا بِالْخَيْرِ

(ইয়া হযরত শায়খ মহিউদ্দিন, মুশকিল খুশা বিল খায়ির)

(১৬) ১১১বার

اِمْدَادُ كُنْ إِمْدَادُ كُنْ أَزْبَنْدِ غَمْ آزَادُ كُنْ

 دَرْ دِینِ وَدُنْيَا شَادِ كُنْ يَا غَوْثِ أَعْظَمْ دَسْتَكِيرُ

(ইমদাদ কুন ইমদাদ কুন, আজ বান্দে গাম আযাদ কুন, দার দ্বীন ও দুনিয়া শাদ কুন, ইয়া গাউসে আযাম খাস্তগীর) 

(১৭) ১১১বার

يَا حَضْرَتْ غَوْثَ اَغِثْنَا بِإِِذْنِ اللَّهِ تَعَالَى

(ইয়া হযরত গাউস, আগিসনা বি ইজনিল্লাহি তায়ালা)

(১৮) ১১১বার

خُذْيَدِي يَا شَاهِ جِيْلَانُ خُذْيَدِي شَيْئًا لِلَّهِ أَنْتَ نُوْرٌ أَحْمَدِي

(খুজ ইয়াদি ইয়া শাহে জিলানী, খুজ ইয়াদি শাইয়ান লিল্লাহি, আংতা নুরে আহমাদি।)

(১৯) ১১১বার

طُفَيْلِ حَضْرَتْ دَسْتُكَيْر دُشْمَنْ هوى زَيْر

(তুফাইলে হযরতে দস্তগীর,  দুশমন হুয়ে যাইর)

(২০) সূরা ইয়াসিন শরীফ- ১বার।

 (২১) কাসিদায়ে গাউছিয়া শরিফ- ১বার।

 (২২) দরূদে গাউছিয়া-(আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম মায়াদানিল জুদি ওয়াল কারামি ওয়া আলিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম) ৩বার।

আরো পড়ুনঃ 

চাকরি পাওয়ার দোয়া ও ইন্টারভিউতে পাসের দোয়া। 

তারাবীহ নামাজের সকল দোয়া, তারাবির মুনাযাত, ও নিয়ম কানুন।

আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।

জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।

নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।

•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সব দোয়া বাংলায়। 

আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।

•দোয়ায়ে কুনুত শিখুন। দোয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।

•দোয়ায়ে মাসুরা শিখুন। দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।

দোয়া কুনুত এর মাসয়ালা  শিখার নিয়ম।

সকাল সন্ধ্যার আমল দোয়া ও ওয়াজিফা যিকির সমূহ।

কাসিদায়ে গাউসিয়া আরবী 


سَقَانِي الْحُبُّ كَاسَاتِ الوِصَالِ

فَقُلْتُ لِخَمْرَتِي نَحْوِي تَعَالِي

سَعَتْ وَمَشَتْ لِنَحْوِى فِي كُنُوسٍ

فَهِمْتُ بِسُكُرَتِي بَيْنَ الْمَوَالِي

فَقُلْتُ لِسَائِرِ الْأَقْطَابِ لُمُوا

بِحَالِي وَادْخُلُوا أَنْتُمْ رِجَالِي

وَهُمُوا وَاشْرَبُوا أَنْتُمْ جُنُودِى

فَسَاقِي الْقَوْمِ بِالْوَا فِي مَلَالِي

شَرِبْتُمْ فُضْلَتِي مِنْ بَعْدِ سُكْرِي

وَلَا يُلْتُمْ عُلُوّى وَاتِّصَالِي

مَقَامُكُمْ الْعُلى جَمْعًا وَلَكِنْ

مَقَامِي فَوْقَكُمْ مَّا زَالَ عَالِي

انَا فِي حَضْرَةِ التَّقْرِيبِ وَحْدِى

يُصَرِّ فُنِي وَحَسْبِي ذُوا الْجَلَالِ

أَنَا الْبَازِئُ أَشْهَبُ كُلِّ شَيْخٍ

 وَمَنْ ذَا فِي الرِّجَالِ اعْطِي مِثَالِي

كَسَانِي خِلْعَةٌ بِطِرَازٍ عَزْمٍ

وَتَوَجَنِي بِتِيْجَانِ الْكَمَالِ

وَأَطْلَعَنِي عَلَى سِرِّ قَدِيمٍ

وَقَلَّدَنِي وَأَعْطَانِي سُؤَالِي

وَوَلَا نِي عَلَى الْأَقْطَابِ جَمْعًا

فَحُكْمِي نَا فِنْ فِي كُلِّ حَالٍ

فَلَوْ الْقَيْتُ سِرِى فِي بِحَارٍ

لَصَارَ الْكُلُّ غَوْرًا فِي الزَّوَالِ

وَلَوْ الْقَيْتُ سِرِّي فِي جِبَالٍ

لَدُكَّتْ وَاخْتَفَتْ بَيْنَ الرِّمَالِ 

وَلَوْ الْقَيْتُ سِرِّي فَوْقَ نَارٍ

لَخَمِدَتْ وَانْطَفَتْ مِنْ سِرِّ حَالِي

وَلَوْ الْقَيْتُ سِرِّي فَوْقَ مَيْتٍ

لَقَامَ بِقُدْرَةِ الْمَوْلَى تَعَالِي

وَمَا مِنْهَا شُهُورٌ أَوْ دُهُورٌ

تَمُرُّ وَتَنْقَضِي إِلَّا أَتَانِي

وَتُخْبِرُ نِي بِمَا يَأْتِي وَيَجْرِى

وَتُعْلِمُنِي فَأَقْصِرْ عَنْ جِدَانِي

مُرِيدِى هِمْ وَطِبْ وَاشْطَحُ وَغَنِّى

وَافْعَلُ مَا تَشَاءُ فَالْاِسْمُ عَالٍ

مُرِيدِي لَا تَخَفْ اللَّهُ رَبِّي

عَطَانِي رِفْعَةً لِلْتُ الْمَنَانِي

طُبُولِي فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ دُقَتُ

وَشَاءُوسُ السَّعَادَةِ قَدْ بَدَانِي

بِلَادُ اللَّهِ مُلْكِى تَحْتَ حُكْمِي

وَوَقْتِي قَبْلَ قَلْبِي قَدْ صَفَالِي

نَظَرْتُ إِلَى بِلَادِ اللَّهِ جَمْعًا

كَخَرُ دَلَةٍ عَلَى حُكْمِ اتِّصَالِ

دَرَسْتُ الْعِلْمَ حَتَّى صِرْتُ قُطْبًا

وَلِلْتُ السَّعْدَ مِنْ مَّوْلَى الْمَوَالِي

فَمَنْ فِي أَوْلِيَاءِ اللَّهِ مِثْلِي

وَمَنْ فِي الْعِلْمِ وَالتَّصْرِيفِ حَالِي

رِجَالِي فِي هَوَا جِرِهِمْ صِيَامُ

وَفِي ظُلَمِ اللَّيَالِي كَاللَّاَلِي

وَكُلٌّ وَلِي لَهُ قَدَمٌ وَإِنِّي

عَلَى قَدَمِ النَّبِيِّ بَدْرُ الْكَمَالِ

نَبِيُّ هَاشِي مَكِي حِجَازِي

هُوَ جَدِي بِهِ لِلْتُ الْمَوَالِي

مُرِيدِي لَا تَخَفْ وَاشٍ فَإِنِّي

عَزُومٌ قَاتِلُ عِنْدَ الْقِتَالِ

أَنَا الْجِيْلِيُّ مُحْيِ الدِّينِ لَقَبِي

وَأَعْلَامِي عَلَى رَأْسِ الْجِبَالِ

انَا الْحَسَنِيُّ وَالْمُخْدَعُ مَقَامِي

وَأَقْدَامِي عَلَى عُنُقِ الرِّجَالِ

وَعَبْدُ الْقَادِرِ الْمَشْهُورُ اسْمِي

وَجَدِي صَاحِبُ الْعَيْنِ الْكَمَالِ

تَقَبَّلْنِي وَلَا تَرْدُدُ سُؤَالِي

اغِثْنِي سَيِّدِي انْظُرْ بِحَالِي


আরো পড়ুনঃ 

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।

বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়

শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।

৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।

আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।

•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।

ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।

•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।

মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।

দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।

• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।

• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।

নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া

গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ। 

জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।

•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল। 

নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। 

গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম। 

•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।

• দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া। দ্রুত বিয়ে হওয়ার সহজ আমল। 

পুরুষের কাফন পরানো -দাফন করা, গোসল দেয়া ও জানাযার নিয়ম।

•মহিলাদের কাফন পরানো,  দাফন করা এবং গোসল দেয়ার নিয়ম।

জানাযার নামায শিক্ষা|জানাযার নামায পড়া ও পড়ানোর নিয়ম বাংলা।

•জানাযার নামাযের সকল দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ শিখে নিন।

গায়েবানা জানাযার ইসলামী হুকুম। গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে কিনা?

আল্লাহু ইয়া বাররু ৭ইয়াবার পড়লে কি হয়? এর ফজিলত ও বরকত

কাসিদায়ে গাউসিয়া বাংলা উচ্চারণ:

কসীদায়ে গাউসিয়া শরীফ

১। ছাক্বানিল হুব্বু কা'ছাতিল বিছালী, 

ফা কুলতু লি-খামারাতী নাহ্ ভী তা'আলী।

২। ছাআত ওয়া মাশাত লি-নাহভী ফি কুউছিন, ফা-হিমতু বিছুকরাতী বাইনাল মাওয়ালী।

৩।ফাকুলতু লিছায়েরিল আক্ব তাবি লুম্মু, বি-হালি ওয়াদখুলু আনতুম রিজালী।

৪। ওয়া হুম্মু ওয়াশরাবু আনতুম জুনুদী, ফাছাক্বিল কাওমি বিল ওয়াফী মালালী।

৫।শারিবতুম ফুদলাতী মিম বা'দি ছুকরী, ওয়ালা নিলতুম উলুউয়ি ওয়াততিছালী।

৬। মাক্বামুকুমুলউ'লা জামআউ ওয়ালাকিন, মাক্বামী ফাওক্বাকুম মা-যালা 'আলী।

৭।আনা ফি হাদ্বরাতিত তাক্বরীবি ওয়াহ্দী, ইউছাররিফুনী ওয়া হাসবী  জুল-জালালী। 

৮। আনাল বা ঝিয়্যু আশহাবু কুলি শায়খিন, 

ওয়া মান যা ফির রিজালি'য়তি মিছালী।

৯।কাছানী খিল আতুন বিতারাজি আযমিন, ওয়া তাউওয়্যাজনী বিতীজানিল কামালী।

১০। ওয়া আত লাআনী আলা ছিররিন ক্বাদীমিন,

ওয়া ক্বাল্লাদানী ওয়া আ'তানী ছুআলী।

১১। ওয়া ওয়াল  নী আলাল আক্বতাবি জামআন, ফা-হুকমী নাফিযুন ফি কুল্লি-হালী।

১২।ফা লাও আল ক্বাইতু ছিররি ফি বিহারিন, লা-ছারাল কুল্লু-গাওরান ফিয যাওয়ালী। 

১৩।ওয়া লাও আলক্বাইতু ছিররি ফি জিবালিন, লা-দুককাত্ ওয়াখতাফাত্ বাইনার রিমালী। 

১৪।ওয়া লাও আলক্বাইতু ছিররি ফাওক্বা নারিন, লা খামাদাত ওয়ানতাফাত মিন ছিররি হালী।

১৫।ওয়া লাও আলক্বাইতু ছিররি ফাওক্বা মাইতিন, লা-ক্বামা বি-কুদরাতিল মাওলা তা'আলী। 

১৬।ওয়ামা মিনহা শুহুরুন আও দুহুরুন, তামুররু ওয়া তানক্বাদী ইল্লা আতালী।

১৭।ওয়া তুখবিরুনী বিমা ইয়াতী ওয়া ইয়াজরী, ওয়া তু'লিমুনী ফা-আকছির আন জিদালী। 

১৮। মুরিদী হীম ওয়া তীব ওয়াশাহু ওয়া গান্নী, ওয়াফ আলু মা তাশায়ু ফাল ইছমু আলী। 

১৯। মুরিদী লা তাখাফ আল্লাহু রাব্বি,

আত্বা রিফয়াতান লিলতুল মানালি।

২০। তুবুলি ফিস সামায়ি ওয়াল আরদ্বি দুক্বাত,  ওয়া শাউসুস সায়াদাত ক্বাদ বাদানী।

২১। বিলাদুল্লাহি মুলকি তাহতা হুকমী, ওয়া ওয়াক্বতী কাবলা ক্বলবী ক্বদ ছফালী।

 ২২। নাজারতু ইলা বিলাদিল্লাহি জাময়ান, কাখারদালাতিন আলা হুকমিত তিসালি।

২৩। দারাছতুল ইলমা হাত্তা ছিরতু কুত্ববান,

ওয়া নিলতুছ ছা'দা মিম মাওলাল মাওয়ালী।

২৪। ফামান ফি আউলিয়া ইল্লাহি মিছলী,

ওয়া মান ফিল ইলমি ওয়াত তাছরীফি হালী।

২৫।  রিজালি ফি হাওয়াযিরি হিম সিয়ামি, ওয়া ফি জুলমিল লায়ালি কাললায়ালি।

২৬। ওয়া কুল্লু ওলিয়্যি লাহু   ক্বাদমিন ওয়া ইন্নী,

আলা ক্বাদামিন নাবীয়্যি  বাদরিল কামালী।

২৭। নায়িয়্যুল হাশিমিয়ুন মাক্কি হিজাযি, হুয়া যাদ্দি বিহি লিলতুল মাওয়ালি।

২৮। মুরিদী লা তাখাফ ওয়াশিন ফা-ইন্নী, আযুমুন ক্বাতিলুন ইনদাল ক্বিতালী।

২৯। আনাল জিলীয়ু মুহিউদ্দীন ইছমী, ওয়া আলামী আলা রাছিল জিবালী।

৩০। আনাল হাসানিয়ু ওয়াল মুখদা'য়ু মাক্বামি, ওয়া আক্বদামী আলা উনুক্বীর রিজালী।

৩১।ওয়া আবদুল ক্বাদিরিল্ মাশহুরু ইছমী, ওয়া জাদ্দী ছাহিবুল আইনিল কামালী।

৩২।তাক্বাব্বালনী ওয়ালা তারদুদ সুয়ালী, আগিছনী সাইয়্যেযদী উনজুর বিহালী। 

(কাসিদায়ে গাউসিয়া সমাপ্ত)


বরকতের নিয়তে নিছের আশ'য়ার গুলো পড়া হয়।

 "মারহাবা ইয়া গাউসুল আজম মারহাবা,

 মারহাবা ইয়া কুতুবে আলম মারহাবা,

 আচ্ছালাম আয় নুরে চাশমে আম্বিয়া, আচ্ছালাম আয় বাদশাহে আওলিয়া।"


আপনার নিকট অনুরোধ: অনেক কষ্টের পর আমাদের পোস্ট গুলো লেখা হয়, একটা কমেন্ট আর আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার আশা করি।

জেনেনিন সকল জেলার নামাযের ও সেহরি ইফতারের সঠিক সময়সূচিঃ

সকল জেলার মাগরিবের নামাযের শেষ সময় জানুন 

আপনার জেলার ফজরের নামাযের শেষ সময় জেনে নিন।

আজকের ইফতারের সঠিক সময় ও সেহরির শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের আসরের নামাযের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের ইশারের নামাযের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 

আজকের যোহরের নামাযের শুরু ও শেষ সময় জেনে নিন। 


সাওয়াবের নিয়তে আপনার ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপ, ইমু, মেসেঞ্জার,টেলিগ্রাম সহ সকল সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

নামহীন বলেছেন…
আল্লাহ এর জাযা দান করুন।
মাশাল্লাহ খুবি সুন্দর পোস্ট। আল্লাহ তায়ালা আপনার এই দ্বীনি কাজকে কবুল করুক।এর উত্তম জাযা আপনাকে নসিব করুক