ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এর ফজিলত:
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা এর পবিত্র নাম সমূহ নিঃসন্দেহে বরকতময়। বান্দা যদি আল্লাহ তায়ালার বরকতময় নাম সমূহ একাগ্রচিত্তে স্মরণ করে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দার সেই আশা পূরন করবেন। কেননা আল্লাহ পাক কোরআনুল কারিমে বলেছেন, হে আমার বান্দারা তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। আল্লাহর অতি পবিত্র বরকতময় দুটি নাম "ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু" এই নামের আমলের বরকত পাওয়ার নিয়ম জানুন।
Table of Contents
1. ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নাম পড়ার নিয়ম।
2. ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নামের আমল।
3. ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নাম পড়ার কয়েক নিয়ম।
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নাম পড়ার নিয়মঃ
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এখানে দুটি নাম একত্রে রয়েছে, ইয়া আল্লাহু একটি নাম এবং ইয়া বাররু একটি নাম।
উভয় নাম আলাদা আলাদা অর্থা শুধু ইয়া আল্লাহু পড়লেও ফজিলত রয়েছে, আবার ইয়া বাররু পড়লেও ফজিলত রয়েছে। উভয় নাম একসাথে পড়লেও বরকত আরো বেড়ে যায়।
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নামের আমল:
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এই নাম পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে।এর মধ্যে যে ব্যক্তি ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নাম টি নবযাতক শিশু বা সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু সন্তানের মাথায় হাত রেখে প্রতিদিন সকাল এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৭বার পড়বে, আল্লাহ পাকের নামের বরকতে তার সন্তানের ভাগ্য উন্নত হবে, বদ নজর থেকে মুক্ত থাকবে, সুস্থ থাকবে, জাদুর আসর, জিনের আসর থেকে মুক্ত থাকবে। এই আমল একাদারে ৪০দিন করা খুবই উত্তম।
এই আমল সন্তান বড় হবার পরেও আমল করা যাবে। আল্লাহ চাইলে এর বরকত আমি দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
দুরুদ শরিফের ফযিলত, বরকত এবং আমল।
•দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত।
•সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম।
•স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।
•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ।
•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি।
•শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।
•দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ।
•দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ।
•দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।
•দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ।
•দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।
•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।
সন্তানকে কোথাও বিদায় দেয়ার সময়ও সন্তানের মাথায় হাত রেখেও এই আমল করতে পারেন আল্লাহ চাইলে, ,আপনার সন্তান নিরাপদ থাকবে।
ইয়া বাররু- অর্থ: শান্তি ও কল্যাণদাতা। এই নামটি সাতবার সন্তানের উপর পড়ে ফুঁক দিলে, সন্তান নিরাপদ থাকবে এবং সন্তান নেককার হবে।
যাদের ছেলে মেয়ে অকালে মারা যায় তারা আল্লাহ পাকের এই নাম ইয়া বাররু সাত বার পড়ে সন্তানের মাথায় ফুক দিবে এবং এই নিয়ত করবে, এই সন্তানকে আল্লাহর কাছে আমানত আর আল্লাহ আমানতের সর্বোত্তম হিফাজতকারী। আল্লাহ চাইলে সন্তান অকালের মৃত্যু থেকে নিরাপদ থাকবে। এই আমল ৪০দিন করুন বা দু একদিন পরপর করুন।
যে ব্যক্তি গাড়িতে, যানবাহনে উঠার সময় আল্লাহ পাকেরেই নাম "ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু" সাত বার পড়বে, সে সফরে নিরাপদ থাকবে এবং গাড়ি থেকে নিরাপদ নামবে, সফর থেকে নিরাপদ ফিরবে।
কেউ গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য ইয়া বাররু ২০২বার পড়ে এর পর সারাদিন চলতে ফিততে পড়লে আল্লাহ তার অন্তর থেকে গুনাহের অভ্যাস দূর করে দিবেন, তার অন্তর নেকির দিকে ফিরিয়ে দিবেন।
আরো পড়ুন:
চাকরি পাওয়ার দোয়া ও ইন্টারভিউতে পাসের দোয়া।
•তারাবীহ নামাজের সকল দোয়া, তারাবির মুনাযাত, ও নিয়ম কানুন।
•আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।
•জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।
•নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।
•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সব দোয়া বাংলায়।
•আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।
•দোয়ায়ে কুনুত শিখুন। দোয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।
•দোয়ায়ে মাসুরা শিখুন। দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ।
দোয়া কুনুত এর মাসয়ালা শিখার নিয়ম।
•সকাল সন্ধ্যার আমল দোয়া ও ওয়াজিফা যিকির সমূহ।
মা অথবা বাবা সন্তান ছোট অবস্থায় ঘুমে থাকার সময়, ইয়া বাররু ১৫বার পড়ে এই দোয়া একবার পাঠ করবে, "আল্লাহুম্মা বিববারকাতি হাজা ইসমি রাব্বিহি, লা ইয়াতিমা ওয়ালা লায়িমা" হে আল্লাহ এই নামের বরকতে এই সন্তান যেনো ইয়াতিম না হয় এবং অসৎপথে না যায় । আল্লাহ চাইলে সন্তান এবং মা বাবা নিরাপদ থাকে, সন্তানের স্বভাব ভালো হবে। সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় মা বাবা হারা হবেনা।
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু পড়ার কয়েক নিয়ম:
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এভাবেও এই নাম পড়তে পারেন। আবার ইয়া বাররু ইয়া রাহিমু একসাথে পড়তে পারেন, আবার ইয়া বাররুর রাহিম এভাবেও পড়তে পারেন। ইয়া বাররুর রাহিম এভাবেও পড়তে পারেন কেননা কোরআনে এভাবেই এসেছে। আবার বাররুর রুফুর রহিম ও পড়তে পারেন যার অসংখ্য বরকত লাভ হবে।
কারো সন্তান ভূমিষ্ট হবার পর ৭বার "ইয়া বাররু" পড়লে সন্তান আল্লাহর জিম্মায় হয়ে যায়,বালেগ ভা জাওয়ান হওয়া পর্যন্ত সে সন্তান নিরাপদে থাকে।
ইয়া বাররু এই নামটি জালালি নাম। এর অর্থ শান্তি কল্যাণ হলেও এর খমতা এবং আসর খুবই গরম বা শক্তিশালী।
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু পড়ার ফযিলত কি?
ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নামের আমল: ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এই নাম পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে।এর মধ্যে যে ব্যক্তি ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু নাম টি নবযাতক শিশু বা সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু সন্তানের মাথায় হাত রেখে প্রতিদিন সকাল এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৭বার পড়বে, আল্লাহ পাকের নামের বরকতে তার সন্তানের ভাগ্য উন্নত হবে, বদ নজর থেকে মুক্ত থাকবে, সুস্থ থাকবে, জাদুর আসর, জিনের আসর থেকে মুক্ত থাকবে। এই আমল একাদারে ৪০দিন করা খুবই উত্তম।
সন্তান নেককার হওয়া ও নিরাপদে থাকার আমল কি?
সন্তানকে কোথাও বিদায় দেয়ার সময়ও সন্তানের মাথায় হাত রেখেও এই আমল করতে পারেন আল্লাহ চাইলে, ,আপনার সন্তান নিরাপদ থাকবে। ইয়া বাররু- অর্থ: শান্তি ও কল্যাণদাতা। এই নামটি সাতবার সন্তানের উপর পড়ে ফুঁক দিলে, সন্তান নিরাপদ থাকবে এবং সন্তান নেককার হবে।
সন্তান অকালে না মারা যাওয়ার দোয়া কি?
যাদের ছেলে মেয়ে অকালে মারা যায় তারা আল্লাহ পাকের এই নাম ইয়া বাররু সাত বার পড়ে সন্তানের মাথায় ফুক দিবে এবং এই নিয়ত করবে, এই সন্তানকে আল্লাহর কাছে আমানত আর আল্লাহ আমানতের সর্বোত্তম হিফাজতকারী। আল্লাহ চাইলে সন্তান অকালের মৃত্যু থেকে নিরাপদ থাকবে। এই আমল ৪০দিন করুন বা দু একদিন পরপর করুন। যে ব্যক্তি গাড়িতে, যানবাহনে উঠার সময় আল্লাহ পাকেরেই নাম "ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু" সাত বার পড়বে, সে সফরে নিরাপদ থাকবে এবং গাড়ি থেকে নিরাপদ নামবে, সফর থেকে নিরাপদ ফিরবে।
মানুষ আরো খোঁজে:
ইয়া বাররু, ইয়া বাররুর রাহিম, ইয়া বাররু ইয়া রউফু, ইয়া বাররুর রউফুর রহিম , Ya Barro - Song by Qari Imran
, ইয়া বাররু অর্থ, ইয়া বাররু নামের ফজিলত, ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু, ইসমে আজম, ইসমে আজমের ফজিলত, আসমাউল হুসনা, আল্লাহর ৯৯ নাম, আল্লাহর ৯৯টি নামের ফজিলত, ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু অর্থ, ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু দোয়া, ইয়া আল্লাহ ইয়া বাররু, ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এর অর্থ কি, ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু এর ফজিলত, ইয়া আল্লাহু ইয়া বাররু অর্থ কি।
আরো পড়ুন জনপ্রিয় পোস্ট:
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
•বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
•শস কুফল বা বান জাদু টোনার ৬তালা দোয়া ও আমল।
•৩৩ আয়াত কি? ৩৩আয়াতের আমল ও বরকত।বিপদ থেকে বাঁচার দূর্গ।
•আয়াতে কুতুবের ১২ অলৌকিক ফযিলত ও ক্ষমতা।
•আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।
• ডেঙু, মেলিরিয়া, টায়পয়েড জ্বরের সর্তকতা ও দোয়া।
•ঘরের সবাইকে ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিরাপদের দোয়া।
•খিজির আলাইহিস সালাম এর দোয়া বা মুসাব্বাতে আশারা।
•মনের আশা পূরনের পরীক্ষিত আমল ও দোয়া বাংলায়।
•দোয়া কাবুল আমল বা দোয়া কবুল হওয়ার দোয়া।
• নাদে আলী দোয়া - নাদে আলী শরীফের আশ্চর্য ফযিলত ও বরকত বাংলায়।
• দুশ্চিন্তা পেরেশানি বিপদাপদ থেকে মুক্তির দোয়া।
•নতুন ঘরে প্রবেশের নিয়ম দোয়া। ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বের হবার দোয়া।
•গলার মাছের কাঁটা নামানোর দোয়া ও আমল। গলার কাঁটা নামানোর ঔষধ।
•জীবনে উন্নতি করার দোয়া। জীবনে সুখী হবার দোয়া।
•আয়াতে হিযব বা শত্রুর উপর বিজয় লাভের আমল।
•গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল।
•নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল।
•গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।
•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম।
•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।
খতম দুয়া সমূহ
•খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়।
•খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও ফযিলত
•খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত।
•খতমে জালালী বা জালালী খতমের নিয়ম ফজিলত বরকত।
দয়া করে সাওয়াবের নিয়তে শেয়ার করুন।
0 মন্তব্যসমূহ