দরূদ শরিফ বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ সহ। শ্রেষ্ঠ দরূদ শরিফ | সেরা দরুদ শরীফ | দরূদ শরিফ ছোট|

 

Srestho durud sharif

এই দরূদ শরিফ গুলোর ফযিলত অনেক অমূল্য।দরুদ শরীফ পড়া আমাদের জন্য রহমত লাভের মাধ্যম। আসুন গুনাহের কথায় আড্ডা না দিয়ে, অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তায় না মেতে অধিক পরিমাণ দরূদ শরিফ পাঠ করুন এবং আখিরাতকে সুন্দর করুন।

আরো পড়ুনঃ দুরুদ শরিফের ফযিলত,  বরকত এবং আমল।

(১) রাসুল(ﷺ)'র যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফঃ

বুযুর্গানে দ্বীন বা ওলী আওলিয়াগন বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত এই দরূদ শরীফ  কমপক্ষে একবার পাঠ করবে মৃত্যুর সময় রাসূলে পাক (ﷺ)এর  যিয়ারত লাভ করবে এবং তার লাশকে কবরে রাখার   সময় এটাও দেখবে যে, প্রিয় নবী (ﷺ) রহমতপূর্ণ নিজ হাতে তাকে কবরে রাখছেন। সেরা দরুদ শরীফ টি এইঃ-

اَللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيّدِنَا مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الْحَبِيْبِ الْعَالِي الْقَدْرِ الْعَظِيمِ الْجَاهِ وَعَلَى الِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمْ

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুমা সল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা সায়্যেদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যিল হাবিবিল আলিল কদরিল আযিমিল যাহ, ওয়া আলা আলিহি

 ওয়া আসহাবিবি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।(আফযালুস সালাওয়াতি আ’লা সায়্যিদিস সাদাত, ১৫১ পৃষ্ঠা)

আরো পড়ুনঃ •আয়াতে মুনজিয়াত বা হিফাজতের শ্রেষ্ঠ ৭টি আয়াত।

(২) গুনাহ মাফ হওয়ার দরূদ শরিফঃ

 নবীজি(ﷺ)এর খাদিম হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত; নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি এই দরূদ শরীফ পাঠ করবে, যদি সে দাঁড়ানো থাকে তবে বসার পূর্বেই আর বসা থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বেই তার সকল গুনাহ(সগীরা) ক্ষমা করে দেয়া হবে।

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَ عَلَى اَلٍهِ وَسَلَّمْ

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুমা সল্লি আলা সায়্যেদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম।

(আফযালুস সালাওয়াতি আ’লা সায়্যিদিস সাদাত, ৬৫ পৃষ্ঠা)

আরো পড়ুনঃ •দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ। 

 (৩) রহমতের দরজা খোলার দরূদ শরিফঃ

 যে ব্যক্তি এই দরূদ শরীফ পাঠ করবে তার উপর রহমতের ৭০টি দরজা খুলে দেয়া হয়। এটি সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ। এটি তসবিহ দিয়ে খুব সহজে অসংখ্য বার পড়া যায়। 

صَلَّى اللّٰهُ عَلَى مُحَمَّدٍ

বাংলা উচ্চারণঃ সল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ।

(আল ক্বউলুল বদী, দ্বিতীয় অধ্যায়, ২৭৭ পৃষ্ঠা)

আরো পড়ুনঃ •সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম

(৪) ছয়লক্ষ দরূদের সাওয়াবের দরুদ শরীফঃ

 হযরত আহমদ সাভী(رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ )অনেক  বুযুর্গ ওলী আল্লাহ'র কাছ থেকে বর্ণনা করেন: এই দরূদ শরীফ একবার পাঠ করলে ছয়লক্ষবার দরূদ শরীফ পাঠ করার সাওয়াব লাভ হয়।

 اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيّدِنَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا فِي عِلْمِ اللَّهِ صَلَاةٌ دَائِمَةً بِدَوَامِ مُلْكِ اللَّهِ 

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সায়্যেদিনা মুহাম্মাদিন আদাদা মা ফি ইলমিল্লাহি সলাতাং দায়িমাতাম বিদাওয়ামি মুলকিল্লাহ।

 (আফযালুস সালাওয়াতি আ’লা সায়্যিদিস সাদাত, ১৪৯ পৃষ্ঠা)

আরো পড়ুনঃ পরীক্ষা ভালো ফলাফলের দোয়া ও পরীক্ষা পাসের আমল।

(৫) কিয়ামতের দিন রাসুল (ﷺ)এর কাছাকাছি থাকার দরূদ শরিফঃ

একদিন এক ব্যক্তি আসলো প্রিয় নবী (ﷺ) তাঁকে নিজের এবং ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর  সিদ্দীকে আকবর(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ) এর মাঝখানে বসালেন, এটা দেখে সাহাবায়ে কিরামগণ (عليهم الرضوان) আশ্চার্যান্বিত হলেন যে, এ সম্মানিত লোকটি কে! যখন ঐ সম্মানিত ব্যক্তি চলে গেলেন তখন রাসূলে পাক(ﷺ) ইরশাদ করলেন: সে যখন আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে তখন সে এই দরুদ শরীফ পড়ে।এর থেকে বুঝাযায় যারা এই দরূদ পড়বে কিয়ামতের দিন তারা রাসুল(ﷺ)এর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবে।

اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ كَمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى لَهُ

বাংলা উচ্চারণঃ 

আল্লাহুমা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়া তারদ্বালাহু।

 (আল কুউলুল বদী, প্রথম অধ্যায়, ১২৫ পৃষ্ঠা)

আরো পড়ুনঃ ছোট ছেলে বাবুর আধুনিক ইসলামিক সুন্দর নাম।

ছোট মেয়ে বাচ্চার ইসলামিক আধুনিক সুন্দর নাম।

(৬) কিয়ামতের দিন রাসুল(ﷺ)এর শাফায়াত লাভের দরূদ শরিফঃ

নবী করীম(ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এভাবে দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার জন্য আমার শাফায়াত (সুপারিশ) ওয়াজীব হয়ে যাবে।

اللَّهُمَّ صَلَّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَانْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুমা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আংযিলহুল মাকয়াদাল মুকাররাবা ইনদাকা ইয়াওমাল কিয়ামাত।

 (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, ২/৩২৯, হাদীস ৩০)

আরো পড়ুনঃ •গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।

(৭) যে দরূদ বা দোয়া পড়লে ফিরিস্তারা এক হাজার দিনের নেকী লিখবেঃ

হযরত সায়্যিদুনা ইবনে আব্বাস(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এ দরূদ বা দোয়া পাঠকারীর আমল নামায় সত্তরজন ফিরিশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী সমূহ লিখতেই থাকেন।

جَزَى اللهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ

বাংলা উচ্চারণঃ যাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু।

 (মু'জামুয যাওয়ায়িদ, কিতাবুল আদইয়াহ, ১০/২৫৪, হাদীস ১৭৩০৫)

আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলি পড়ুনঃ 

আওয়াবিনের নামায কাকে বলে,কখন পড়তে হয় এবং ফযিলত বরকত।

জুমার দিনের আমল ও দোয়া।জুমার দিনের ২৬টি ফজিলত পুর্ন সুন্নত আমল।

নামাযের সকল ওয়াজিব। নামাযের নিয়ম কানুন।

•পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দোয়া বাংলায়। 

আইয়্যামে বিজ অর্থ কি? এর রোজার ফযিলত কি? কখন রাখতে হয়।

মানুষ আরো জানতে চায়:

দরুদ শরীফ 

দরূদ শরিফ এর ফজিলত 

দরূদ শরীফের আমল

দরূদ শরীফের বরকত।

দরূদ শরিফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ 

দরূদে নারিয়া

দরূদে তাজ

দরূদে তুনাজ্জিনা

দরূদে শিফা 

দরূদে শিফা

দরূদে মাহি

দরূদে মুকাদ্দাস

দরূদে যিয়ারত 

দরুদ শরীফ

দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ সহ

দরুদ শরীফের ফজিলত

দরুদ অর্থ কি

দরুদ ইব্রাহিম

দরুদ পাঠের ফজিলত

সকল দরুদ শরিফ একসাথে 

দরুদ শরীফের ফজিলত pdf

দরুদ বাংলা উচ্চারণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ