দরূদে নারিয়ার ফজিলত খতমে নারিয়ার নিয়ম।দরূদে নারিয়া বাংলা। durude nariya bangla

মহামারি,ফক্স-বসন্ত, মৃত্যু সজ্জায় বিচানায়,কঠিন বিমারীতে দরূদে নারিয়া আগুনের মত কাজ করে।যা আজ থেকে হাজারো বছর থেকে এই আমল চলে আসছে।

দরূদে নারিয়ার ফজিলতঃ

(1) দরূদে নারিয়া এর ফজিলত আগুনের মত সাথে সাথেই হয়ে থাকে, মৃত্যু সজ্জায় অসুস্থ ব্যক্তির জন্য এই খতম যুগ যুগ থেকে চলে এসেছে। রুগীর হায়াত থাকলে সুস্থ হয়ে যায় দ্রুত আর হায়াত না থাকলে ঈমানের সাথে কষ্ট না পেয়ে ইন্তেকাল হয়।এই জন্য এটি ৪৪৪৪ চার হাজার চারশত চুয়াল্লিশ বার পড়তে হয় এক বৈঠকে।

(2) কেউ যদি বৃহস্পতিবার রাত্রে এক একা নির্জন স্থানে তাহাজ্জুত নামাজের শেষে বসে ২৭বার দরূদে নারিয়া পড়ে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করে, তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা তার দোয়া কবুল করে নেয়। এবং সে ব্যক্তির মনের আশা পূর্ণ করে দেন।

(3) যদি কেউ কোনো মারাত্মক মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে মুমিন পরহেজগার কয়েকজন আলেমকে নিয়ে দরূদে নারিয়া ৪৪৪৪ বার(চার হাজার চারশত চুয়াল্লিশ বার) এক বৈঠকে পড়ে, তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তিকে সুস্থ্য করে দিবেন।ان شاء الله

(4) মনের সকল ইচ্ছা পূরণের জন্য দরূদে নারিয়া খুব কার্যকারী। ১১বার প্রতিদিন ১১দিন পর্যন্ত পড়তে হবে।এর পর দুয়া করবে।

(5) যদি কেউ ফজরের ও আসরের নামাজের পর মোট ১১ বার দরূদে নারিয়া পড়ে, তাহলে সে ব্যক্তির সকল মনের আশা আল্লাহ তা’আলা পূরণ করে দিবেন।

(6) কারো চাকরি চলে গেলে অথবা নতুন চাকরি হওয়ার জন্য ৪৪৪৪বার (চার হাজার চারশত চুয়াল্লিশ বার) পড়লে আল্লাহর রহমতে চাকরি মিলে যাবে।

(7) দরূদে নারিয়াকে রোগ মুক্তির জন্য বিশেষ ভাবে ফযিলত পূর্ন পাওয়া যায়। আরব বিশ্বের পূর্ব যামানার বুযুর্গানে দ্বীন বলেন, এই দরুদের নাম নারিয়া হওয়ার কারন হলো আগুন যেভাবে কাঠকে পুড়ে খেয়ে ফেলে ঠিক দরূদে নারিয়া রোগ বিমারী বিপদাপদকে জালিয়ে শেষ করে দেয়।

বুযুর্গানে দ্বীনগন এই দরুদে নারিয়াকে ইমাম হুসাইন(رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ)এর কারবালার ময়দানে জীবিত থাকা একমাত্র পুত্র ইমাম জয়নুল আবেদীন (رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ) এর দরূদ শরিফ বলে উল্লেখ করেছেন।

ইমাম নাবহানী(رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ ) বলেন, কঠিন বিমারী এবং রোগ মুক্তির জন্য দরূদে নারিয়া ১০০০বার পড়া খুবই উপকারী।

দরূদে নারিয়া ৪৪৪৪(চার হাজার চারশত চুয়াল্লিশ বার) পড়ার দ্বারা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের শিফা নসিব হয়।

দরূদে নারিয়া আরবী উচ্চারণঃ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ صَلٰوةً كَامِلَةً وَسَلِّمْ سَلَامًا تَامًّا عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ الَّذِيْ تَنْحَلُّ بِهِ الْعُقَدُ وَتَنْفَرِجُ بِهِ الْكُرَبُ وَتُقْضىٰ بِهِ الْحَوَائِجُ وَتُنَالُ بِهِ الرَّغَائِبُ وَحُسْنُ الْخَوَاتِمُ وَيُسْتَسْقَي الْغَمَامُ بِوَجْهِهٖ الْكَرِيْمِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ وَّنَفَسٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ

দরূদে নারিয়া বাংলা উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা সল্লি সলাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উক্বাদু ওয়া তানফারিযু বিহীল কুরাবু ওয়া তুক্বদ্বা বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রগাইবু ওয়া হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্ তাস্কাল গামামু বিওয়াজহিহিল কারীম। ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া ছাহবিহী ফী কুল্লি লামহাতিন ওয়া নাফাসিম বিআদাদি কুল্লি মা’লুমিল্লাকা।

দরূদে নারিয়ার বাংলা অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)'র উপর অগনিত পরিপূর্ণ দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করুন, যার কারনে (মুহাম্মদ ﷺ এর) সমস্ত কঠিন বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় এবং সব ধরণের বালা-মুছীবত দূর হয় এবং যার কারণে সকল প্রকারের হাযত পূরণ হয়। তাঁর কারণেই সমস্ত আশা আকাংখা বাস্তবায়িত হয় এবং তাঁর কারণেই ইমান অবস্থায় মানুষের মৃত্যু হয়। তাঁর সম্মানিত জাতের উসিলায় বৃষ্টিপাত হয় এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীদের উপর প্রতি মুহুর্তে ঐ পরিমাণ দুরূদ ও সালাম পাঠান যে পরিমাণ আপনার জ্ঞানে (ক্ষমতায়) আছে।