পরীক্ষা পাসে সেরাদের জন্য সেরা কৌশল।
ছাত্রজীবনের সবচেয়ে দুশ্চিন্তাময় সময় হলো পরীক্ষা ঘনিয়ে আসলে। সব সময় মাথায় টেনশন থাকে,পরীক্ষা কেমন হবে।পাস হবো কিনা? বন্ধুরা, পরীক্ষার সময় বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা করা যাবেনা।পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো ভাবে নিন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।আপনার আত্মবিশ্বাস যতো বেশি হবে,আপনার কাছে পরীক্ষা ততই সহজ লাগবে।
পরিক্ষা পাসের জন্য সেরাদের কিছু পরামর্শ:
১) মনোযোগের সাথে বিষয়টি পড়ুন,কমন প্রশ্ন বাচাই করে পড়ুন।
২) আপনার শিক্ষক থেকে পরামর্শ নিন কি ধরনের প্রশ্ন কমন আসতে পারে।কেননা আপনার শিক্ষকের অভিজ্ঞতা অনেক বড় বিষয়।
৩) হাতের লিখা যথেষ্ট সুন্দর করুন এবং দ্রুত করুন। কেননা আপনি যতই সব প্রশ্নের উত্তর জানেন কিন্তু হাতের লিখা সুন্দর এবং দ্রুত না হলে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া এবং বেশি নাম্বার পাওয়া খুবই কষ্টকর।তাই হাতের লিখা দ্রুত ও সুব্দর করুন।
৪) নিয়মিত ক্লাস, কোচিং ও রুটিন মোতাবেক পড়ায় সময় দিন।
৫) তুলনামুলক আপনার বেইচ এর জন্য কমন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুজে খুজে পড়ুন।
৬) অবশ্যই দ্রুত লিখা যায় এমন বলপেন কলম দিয়ে লিখবেন। মনে রখবেন কিছুটা মোটা কলম দিয়ে পরিক্ষায় বেশি সময় লেখা যায়না, কিছুক্ষণ লিখলে হাত এবং আঙ্গুল ব্যাথা হয়।
৭) পরীক্ষার খাতা অবশ্যই পরিস্কার রাখবেন।অতিরিক্ত কাটাছেড়া,হিবিযিবি লেখা থেকে বিরত থাকুন।
৮) যেই প্রশ্নের উত্তর বেশি ভালো ভাবে পারেন তা প্রথমেই লিখে পেলুন, এতে পরীক্ষক সন্তুষ্ট হন এবং পাস মার্কস আগেই নিশ্চিত
৯)মার্জিন দিতে পারেন,আর মার্জিন না দিলে সময় বাঁচবে,পরিক্ষার মধ্যে শেষ সময় গুলো খুবই মুল্যবান।মার্জিন না দিয়ে মার্জিনের যায়গা খালি রেখেও লিখতে পারেন।
১০) পরীক্ষার খাতায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, আন্ডার লাইন, মার্কিং, নাম্বারিং প্যারা, কলম, আর্ট পয়েন্ট করতে পারেন এতে খাতা সুন্দর দেখাবে।
১১) পরীক্ষার হলে সর্বদা সময় অপচয় থেকে বিরত থাকুন।পরীক্ষার আগেই অভিজ্ঞতার জন্য কয়েবার সময় অনুযায়ী গাইড থেকে বা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে কয়েকবার মডেল টেস্ট দিয়ে পেলুন, এতে সময় বাচানোর কৌশল শিখে যাবেন।
১২) হাতের লিখা সুন্দর করার জন্য,যাদের হাতের লিখা সুন্দর তাদের হাতের অনুকরণ করুন অর্থাৎ তাদের মতো সন্দর করে লিখার প্রেক্টিস করুন।
১৩) পরীক্ষার হলে যাবার সময় এডমিট কার্ড, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড এবং অতিরিক্ত কলম অবশ্যই নিবেন। মিনি স্টাপলার মেশিন, মার্কারপেন ও নিতে পারেন।
পরিক্ষা পাসের উপায়
১৪) পরীক্ষার রাতে বেশি রাত জাগা ভালো নয়,ভোরে ভোরে পড়লে পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়।পড়ার সময় সবচেয়ে বেশি যেটা খেয়াল রাখা চাই,সেটা হলো মনোযোগ। সাথে ফোন থাকলে সাইলেন্ট মুডে রাখুন।
১৫) পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে ভালো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার,ফলমূল, বেশি পরিমানে শাক-সবজি ও পানি খাওয়া চাই।
১৬) পরিক্ষা চলাকালীন আড্ডা দেয়া,বেশি কথা-বার্তা থেকে বিরত থেকে নিজের মাইন্ডকে শান্ত রাখুন। পড়ার ফাঁকে গ্রিন টি খেতে পারেন।একট-আদটু হাটাহাটি করতে পারেন,এতে মাইন্ড ফ্রেশ হবে।
১৭) যে বিষয়ে আপনি দুর্বল সে বিষয় আপনার শিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী অধ্যায়ন করুন।কিছু বেশি সময় সেটার জন্য দিন,আপনার ভীতি কেটে যাবে।
পরিক্ষা দেয়ার নিয়ম
১৮) সব সময় এটা মনে থাকা চাই,পড়া লেখা পরীক্ষা পসের জন্য নয় বরং সঠিক জ্ঞান অর্জন বা কিছু শিখার জন্য পড়বো।
১৯)পরীক্ষার খাতা অবশ্যই ১৫মিনিট আগে একবার রিভিশন দেয়া চাই।যাতে কোন লেখার ভুলত্রুটি চোখে পড়লে ঠিক করা যায়।
২০) সর্বোপরি, আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীনের উপর ভরসা রাখুন,পরীক্ষা পাসের জন্য দুয়া করুন,নিয়মিত নামায পড়ুন,নামাযের পর মোনাযাতে পরীক্ষা পাসের দোয়া করুন। মনে রাখবেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা এবং প্রার্থনা আপনার মনোবলকে অনেক ধাপ বাড়িয়ে দিবে।।
আপনার কাছের স্টুডেন্টদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।
পরীক্ষা সম্পর্কে মানুষ আরো জানতে চায়:
পরীক্ষা
পরীক্ষা পাসের আমল
পরীক্ষা পাসের দোয়া
পরীক্ষা নিয়ে ফানি স্ট্যাটাস
পরীক্ষা সন্ধি বিচ্ছেদ
পরীক্ষা এর সন্ধি বিচ্ছেদ
পরীক্ষা ভালো করার দোয়া
পরীক্ষা পাস করার দোয়া
পরীক্ষা এর প্রস্তুতি
পরীক্ষা সহজ হওয়ার দোয়া
পরীক্ষা রেজাল্ট
পরীক্ষা শেষ নিয়ে স্ট্যাটাস
পরীক্ষা নিয়ে ফানি পিক
0 মন্তব্যসমূহ