খতমে ইউনুস বা দোয়ায়ে ইউনুস (খতমে শিফা) পড়ার ফযিলতঃ
(1) কঠিন বিপদাপদ, মামলা-মোকাদ্দমা ও দুরাবস্থা, পেরেশানি, অভাবের সময় এই দোয়া সোয়া লক্ষ বার পড়লে আল্লাহ পাকের রহমতে উদ্ধার হওয়া যায়।
(2) একটি বর্ণনায় এসেছে, অসুস্থ ব্যক্তি এই দোয়া পড়লে তার গোনাহ মাফ হয়্র যাবে,আর যদি মরে যায়, তবে শাহাদতের মর্যাদা লাভ করবে।
(3) কোন কঠিন বিপদ আসলে মাঝ রাতে উঠে দু' রাকাত নফল নামায পড়ে সালাম ফিরিয়ে সিজদায় গিয়ে ৪০(চল্লিশ)বার দোয়ায়ে ইউনুস পড়লে বিপদ দূর হয়ে যায়।
আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুনঃ
•দুরুদ শরিফের ফযিলত, বরকত এবং আমল।
•দরূদে ইবরাহীম বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযিলত।
•সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়,তাওবা করার সঠিক নিয়ম।
•স্বপ্নে রাসুল(ﷺ)কে দেখার পরীক্ষিত আমল।
•দরূদে শিফা সর্বরোগ মুক্তির দরূদ।
•সবচেয়ে ছোট দরূদ শরিফ - ফযিলত অনেক বেশি।
•শ্রেষ্ঠ ফযিলতের ৭টি ছোট দরূদ শরিফ বাংলা।
•দরূদে গাউসিয়া বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দরূদ শরিফ।
•দরূদে রুইয়াত বা নবিজির যিয়ারত পাওয়ার দরূদ শরিফ।
•দরূদে মাহী- দরূদে মাহীর ফজিলত ও বরকত।
•দরূদে তুনাজ্জিনা- বিপদ মুক্তির দরূদ। ফযিলত বরকত বাংলা অর্থ সহ।
•দরূদে ফুতুহাত- উন্নতি লাভের দরূদ শরিফ। রিজিকে বরকত হবে।
•দরূদে নারিয়া- আগুনের মত শক্তিশালী ক্ষমতার দরূদ শরিফ। সম্পূর্ণ বাংলা।
(4) যে কেউ প্রতিদিন দোয়ায়ে ইউনুস এক হাজার বার পড়বে, সে সবার নিকট সম্মান মর্যাদা লাভ করিবে এবং তার রিযিক বৃদ্ধি পাবে ও দুঃখকষ্ট দূর হবে, শয়তান ও অত্যাচারীগণ তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাহার জন্য আল্লাহর রহমতের দরজা খোলা থাকবে।
(5) এক ব্যক্তি হযরত রসূলুল্লাহ (ﷺ)কে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমার একটি আশা আছে, আমি কি কিভাবে তা লাভ করতে পারব? তিনি(রসূলুল্লাহ(ﷺ) উত্তর দিলেন, তুমি সিজদায় গিয়ে ৪০(চল্লিশ)বার দোয়ায়ে ইউনুস পড়বে এবং শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে প্রত্যেকবার ইশারা করবে।
(6) যে কোনো কঠিন বিপদে, বলা মুসিবতে, বিদেশে পেরেশানিতে, কঠিন রোগ বিমারীতে, মামলা মোকাদ্দমায়, মহামারিতে, যে কোনো যায়েজ মনের আশা পূরনের জন্য এই খতম যুগ যুগ ধরে বরকতময় প্রমানিত হয়ে এসেছে।
আরো পড়ুনঃ •খতমে খাজেগান এর নিয়ম, ফযিলত, দোয়া বাংলায়।
দোয়ায়ে হযরত ইউনুস (عَلَيْهِ السَّلَامْ)
لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নী কুংতু মিনায যলিমীন ।
বাংলা অর্থঃ (হে আল্লাহ!) তুমি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই, তুমি পবিত্রতম, নিশ্চয় আমি যালিমগণের (অত্যাচারীদের) অন্তর্গত।
আরো পড়ুনঃ •খতমে আম্বিয়া খতমে তাহলীল পড়ার নিয়ম ও ফযিলত।
•ছোট ছেলে বাবুর আধুনিক ইসলামিক সুন্দর নাম।
•ছোট মেয়ে বাচ্চার ইসলামিক আধুনিক সুন্দর নাম।
•'আ' দিয়ে বাচাইকরা ছেলেবাবুর ইসলামিক আধুনিক নাম
•বাচাইকরা আনকমন ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নাম।
•আধুনিক স্টাইলিশ ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
•আরিয়ান নামের অর্থ কি? আরিয়ান নাম কি হিন্দু নাকি মুসলিম নাম?
•আয়াত নামের অর্থ কি? আয়াত নামের ব্যখ্যাগুলো জানুন।
• মুনতাহা নামের অর্থ কি? মুনতাহা নামের সকল তথ্য ও ব্যাখ্যা।
•রাইসা নামের অর্থ কি? রাইসা নাম কোরআনে আছে কিনা?
•আয়ান নামের অর্থ কি? আয়ান নাম ভাগ্য কেমন জানুন।
•মিম নামের অর্থ কি? মিম নাম কি মরিয়ম নামের হিব্রু ভাষা থেকে আসছে?
•সাদিয়া নামের অর্থ কি?সাদিয়া নামের মানুষ কেমন হয়।
খতমে ইউনুস বা দোয়ায়ে ইউনুস পড়ার নিয়মঃ
(১) দোয়ায়ে ইউনুস ১লক্ষ ২৫ হাজার বার ৩দিন, ৭দিন অথবা ৪১দিনের মধ্যে পড়ে শেষ করতে হয়। এই দোয়া অন্ধকার অথবা রাতে পড়লে আরো তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।
(২) খতম শেষ হলে এই আয়াত একবার পড়তে হবে।
فَسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِ وَكَذَا لِكَ نُنْجِى الْمُؤْمِنِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ ফাসতাযাবনা লাহু ওয়া নাযযাইনাহু মিনাল গাম্মি ওয়া কাযালিকা নুংজিল মু'মিনীন।
বাংলা অর্থঃ আমি নবী ইউনুস(عَلَيْهِ السَّلَامْ)'র দোয়া কবুল করেছি। তাকে দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছি। এমনিভাবে আমি মু'মিনদেরকেও বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। (স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজেই দোয়ায়ে এর ফযিলত বর্ণনা করেন।)
(সূরা আম্বিয়া, আয়াত- ৮৮, পারা-১৭;)
(৩) পাক পবিত্র হয়ে, আদব ও ইখলাসের সাথে এই খতম পড়তে হয়।এটি একা একাও পড়া যায়,এবং কয়েকজন একত্রে মিলেও পড়া যায়।
(৪)খতম শেষে দোয়া মুনাযাত করা সম্ভব হলে কিছু দান সদকা ও মানুষের খাবার খাওয়ানো যেতে পারে এতে বরকত বৃদ্ধি পাবে। এই নিয়ম হাজারো বছর থেকে পালন হয়ে এসেছে।
(৫) প্রতি একশত বার এই দোয়া পড়ে মুখে বা শরীরে পানির ছিটা দেয়া। এতে হযরত ইউনুস عليه السلام এর পানির সাথে মিল হবে। দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হবে। এটি একটি বরকতময় দোয়া।
আরো পড়ুনঃ •রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও ধনি হওয়ার খাস আমল।
দোয়ায়ে ইউনুস পড়া যাবে কিনা?
আকল ওয়ালা ব্যক্তির কাছে এটি একটি আযব প্রশ্ন। যেই দোয়ার ফযিলত খোদ আল্লাহ পাক আল কোরআনে বলেছেন সে দোয়া কেনো পড়া যাবেনা?
অবশ্যই পড়া যাবে।
আল্লাহ পাক বলেন, আমি নবী ইউনুস عليه السلام এর দোয়া কবুল করেছি, তাকে দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছি। এমনিভাবে আমি মু'মিনদেরকেও (বিপদাপদ বালা মুসিবত থেকে ) মুক্তি দেব।
(সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৮৮, পারা-১৭)
হযরত সায়্যেদুনা সা'দ (رَضِيَ اللّٰهًُ عَنْهُ) হতে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হযরত ইউনুস (عَلَيْهِ السَّلَامْ) এর দোয়া যা তিনি মাছের পেটে পাঠ করেছিলেন,সে দোয়ার মাধ্যমে যখনই কোন মুমিনগণ দোয়া করবে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করে নিবেন।
(জামে তিরমিযি,হাদিস নং-৩৫০৫)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার ভাই ইউনুসে(عَلَيْهِ السَّلَامْ)'র দোয়াটি খুবই সুন্দর। এতে প্রথমে কালিমায়ে ত্বায়্যিবা। মধ্যখানে আল্লাহর পবিত্রতার তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে দোষত্রুটির স্বীকারোক্তি। কোনো চিন্তিত, দুঃখিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন দোয়ায়ে ইউনুস তিনবার পাঠ করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার ডাকে সাড়া দিবেন।(কানজুল উম্মাল, হাদিস নং- ৩৪২৮;)
আরো পড়ুনঃ •বদনজরের থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া বাংলায়
এগুলা ছাড়াও অসংখ্য হাদিসে এবং বুযুর্গানে দ্বীনগন এই দোয়া পড়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন।
কিতাবের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, এই দোয়া ইসমে আযমের তাসির বা গুন সম্পন্ন। এতে গুপ্ত ভাবে ইসমে আযম রয়েছে।
প্রতিটা পোস্ট কষ্ট করে লেখা হয়, দয়া করে নিজ সোস্যাল মিডিয়া একাউন্টে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোঃ
•গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুয়া ও আমল।
•নিঃসন্তান বা সন্তানহীন এর সন্তান লাভের দোয়া ও আমল।
•গর্ভবতী নারীদের কোন মাসে কোন সুরা এবং দোয়া পড়তে হয়।
•মৃত মহিলাদের গোসল দেয়া, কাফন পরানো এবং দাফনের নিয়ম।
•মহিলাদের শুক্রবারের আমল,মহিলাদের জুমার দিনের করণীয় আমল ও ইবাদত।
মানুষ আরো জানতে চায়:
দোয়ায়ে ইউনুস, দোয়ায়ে ইউনুসের ফজিলত, দোয়ায়ে ইউনুস বাংলা, খতমে ইউনুস, খতমে ইউনুস পড়া যাবে কিনা, দোয়া ইউনুস খতম কতবার পড়তে হয়, খতমে ইউনুস এর ফজিলত।
0 মন্তব্যসমূহ